প্রতি ২ জঙ্গি পিছু নিহত ১ জওয়ান, জানাল সরকার

জঙ্গি দমনে সাফল্য আসছে ঠিকই, কিন্তু অফিসার-জওয়ানদের প্রাণের বিনিময়ে। প্রতি দু’জন জঙ্গিকে শেষ করতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে গড়ে এক জন জওয়ানকে। গত পাঁচ বছরে অফিসার-জওয়ানদের মৃত্যুর সংখ্যা এ ভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকার পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরে জঙ্গি সমস্যা মেটাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি হাতে নেয়। জঙ্গি দমনে শুরু হয় বাড়ি-বাড়ি ঢুকে তল্লাশি। এতে জঙ্গি দমনে সাফল্য এলেও যে ভাবে সেনা-আধাসেনারা সরাসরি সংঘর্ষে মারা যাচ্ছেন তা উদ্বেগের বলে
ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র।
লোকসভায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয়েছে গত পাঁচ বছরে ওই রাজ্যে ৯৬০ জন জঙ্গি নিহত গিয়েছে। অন্য দিকে নিহত হয়েছেন প্রায় ৪১৩ জন জওয়ান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, এর প্রধান কারণ জঙ্গি দমনে নিরাপত্তাবাহিনীর সক্রিয়তা। তৎপরতা বাড়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। তাছাড়া একাধিক সেনা ছাউনিতে হামলা, সীমান্তে গুলি বিনিময়ের মতো ঘটনাতেও নিরাপত্তাবাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। তবে কেন্দ্রের দাবি, প্রাণের বিনিময়ে সীমান্তে কড়া হাতে অনুপ্রবেশ আটকানোয় গত বছরের প্রথম ছ’মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছ’মাসে জঙ্গি অনুপ্রবেশ প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছে।
এরই মধ্যে শ্রীনগর থেকে বশির আহমেদ পোন্নু নামে এক জইশ জঙ্গিকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২০০৭ সালে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে গ্রেফতার হয় বশির এবং আরও তিন জঙ্গি শাহিদ গফুর, ফয়াজ় আহমেদ লোন ও আব্দুল মজিদ বাবা। দায়রা আদালত বশিরকে মুক্তি দেওয়ার পরে গা ঢাকা দেয় সে। দিল্লি হাইকোর্ট দায়রা আদালতের রায় খারিজ করে। তার পর থেকেই ফের বশিরকে খুঁজছিল পুলিশ। অন্য দিকে বারামুলা থেকে আজ আকিব হাজাম ও আকিব শাল্লা নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তাদের দাবি, ওই দুই যুবক জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার ছক কষছিল। ওই দুই যুবক জঙ্গি কার্যকলাপের উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করতে তাদের সামির আহমেদ নামে ব্যবসায়ীকে খুন করার ভার দিয়েছিল জঙ্গি নেতারা। জঙ্গিদের সন্দেহ ছিল সামির বাহিনীর চর। ৩০ জুন সামিরকে খুন করে হাজাম, শাল্লা ও তাদের তৃতীয় সহযোগী উজ়েইর আমিন। ওই ঘটনার পরেই আমিন জঙ্গি দলে যোগ দেয়।

No comments

Powered by Blogger.