ছাত্রলীগ নেতাদের ডোপ টেস্ট করানোর দাবি: বিতর্কিত ৯৯ জনের তালিকা প্রকাশ

ছাত্রলীগের নব গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া বিতর্কিত ৯৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে পদবঞ্চিত নেতারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে বিতর্কিত সবাইকে সংগঠন থেকে বিতাড়নের দাবি জানান। পদবঞ্চিতদের ভাষায় এরা সংগঠনের টিউমার, যা এক সময় ক্যান্সারে পরিণত হবে। এদিকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে আবারো মাদকাসক্ত দাবি করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডোপ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিতরা। তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ হতে পারে না।
ছাত্রলীগ আদর্শের সংগঠন, অপকর্মকারীদের অভয়ারণ্য নয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ১৩ই মে মধুর ক্যান্টিনে পদ বঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলনে হামলা ও নারী লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু। নবগঠিত কমিটিতে স্থান পাওয়া বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হত্যা মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়সোত্তীর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, জসিম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান, কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীনসহ শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা। সাইফউদ্দিন বাবু বলেন, তিনদিন আগে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে, যা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। সেসব ত্রুটির বিরোধিতা করে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু সেদিন আমাদের ভাই-বোনদের মেরে জখম করা হয়েছে।
অনেককে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগে প্রত্যেক নেতাকর্মীর কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। পদ-পদবী পাওয়ার পর একজন কর্মী যেমন আনন্দ-উল্লাস করতে পারে, তেমনি দীর্ঘদিন পর গঠিত কমিটিতে পদায়ন না হলে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে একটি অর্থবহ ও সুন্দর কমিটি উপহার দেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রাণপ্রিয় নেত্রী ইতোমধ্যেই বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা শেখ হাসিনার যে কোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত। তবে, কমিটি পুনর্গঠনের নামে যদি ফের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে এর যথোপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। সাইফ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বারবার একটি কথাই বলেন যে, ছাত্রলীগের কমিটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পরও যদি তারা ১৭ জনের নাম পায়, তাহলে আরেকটু বিশ্লেষণ করলে সেটা একশর বেশি হতে পারে। তাই বিতর্কিত ১৭জন নয়, আরও বেশি হবে। ‘ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও মাদকাসক্ত আপনাদের এ তথ্যের সত্যতা কি’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, গোলাম রাব্বানী যে মাদকাসক্ত এমন অনেক ভিডিও ইউটিউবে আছে। আমাদের কাছেও সব তথ্য প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, আমরা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডোপ টেস্ট করানোর দাবি করছি।
বিতর্কিত ৯৯ জনের তালিকায় যারা
এদিকে পদবঞ্চিতদের প্রকাশিত ৯৯ জনের তালিকায় সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন ২৮ জন। তারা হলেন- তানজিল ভূইয়া তানভীর (বয়স উত্তীর্ণ ও ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত, সম্মেলনের সময় বয়স ২৯ বছর ৬ মাস ১৭দিন), রেজাউল করিম সুমন (চাকুরীজীবী ও মাদকাসক্ত), আরেফিন সিদ্দিক সুজন (মাদক ব্যবসায়ী, সূর্যসেন হলের  তার নিজ কক্ষ ৩১৫ রুম থেকে হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে মাদক উদ্ধার করা হয় এবং রুম সিলগালা করা হয়। তার পিতা মাদারীপুর এর পাচখোলা ইউনিয়নের জামায়াতের আমির ছিলেন), আতিকুর রহমান খান (মাদকাসক্ত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত ছিল), বরকত হোসেন হাওলাদার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার), আবু সালমান প্রধান শাওন (মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়), শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ (মাদকাসক্ত ও মাদকের মামলা রয়েছে), ফুয়াদ রহমান খান (বয়স উত্তীর্ণ ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), সাদিক খান (বিবাহিত, মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি ও জামায়াতঘেষা পরিবারেরর সন্তান), এসএম তৌফিকুল হাসান সাগর (পিতা যুদ্ধাপরাধী), তৌহিদুর রহমান হিমেল (ঠিকাদার ব্যবসা), মাহমুদুল হাসান (জামায়াত পরিবারের সন্তান), সৃজন ভূইয়া (চাকুরীজীবী অগ্রণী ব্যাংক), তৌহিদুর রহমান পরশ (জীবনের প্রথম পদ), কামাল খান (কোটা আন্দোলনকারী), আবু সাইদ (সাস্ট, ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার ও শিক্ষককে অপমান করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত), খালিদ হাসান নয়ন (বয়স উত্তীর্ণ ও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ও ডাকাতি মামলার বর্তমান আসামি), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং ৬টি মামলার আসামি), রুহুল আমিন (সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিবাহিত), সোহানী হাসান তিথি (একাধিকবার বিবাহিত), মাহমুদুল হাসান তুষার (শিবির কর্মী), এসএম হাসান আতিক (৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ও বিবাহিত), সুরঞ্জন ঘোষ (বয়স উত্তীর্ণ), জিয়ান আল রশিদ (ব্যবসায়ী, গ্লোব কোম্পানীর পরিচালক), সোহেল রানা (বয়স উত্তীর্ণ ও প্রথম পদ), মুনমুন নাহার বৈশাখী (বিবাহিত ও জামায়াত পরিবারের সন্তান), তরিকুল ইসলাম (চার্জশিটভুক্ত ছয়টি মামলার আসামি ও নিয়োগ বাণিজ্য প্রতারণা)। তিনজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন- প্রদীপ চৌধুরী (নকলের দায়ে ঢাবি থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার ও পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আগুন ভাঙচুর), শাকিল ভূইয়া (পিতা খোকন ভূইয়া মাদারীপুর পৌর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক), মোর্শেদুল হাসান রুপম (ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন)। সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম (রাজাকার পরিবারের সন্তান, যৌন হয়রানিকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত), উপ-প্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন শাওন (বিবাহিত ও সন্তান রয়েছে), উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সি (কোটা আন্দোলন এর সংগঠক, বঙ্গবন্ধু হল) উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সৌরভ নাথ (লুবনান থেকে চাঁদাবাজির দায়ে ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি), উপ-সাংস্কিৃতিক সম্পাদক আফরীন লাবনী (একাধিক বিবাহিত), উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফুয়াদ হাসান (বয়স উত্তীর্ণ, মাদকব্যবসায়ী), উপ-পাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী (বিবাহিত), ধর্ম সম্পাদক তাজউদ্দিন (শিবির এর অর্থ সম্পাদক), উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণ (প্রথম পদ), উপ-ত্রান ও দুর্যোগ সম্পদক সালেকুর রহমান শাকিল (প্রথম পদ), উপ-স্বাস্থ সম্পাদক ডা. শাহজালাল (প্রথম পদ ও সাবেক শিবিরকর্মী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রেস রিলিজে আছে), উপ-গণযোগাযোগ সালাউদ্দিন জসিম (ওয়ারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর প্রচার সম্পাদক (বিবাহিত), সুশোভন অর্ক (উপ-গণযোগাযোগ, চাকুরিজীবী, বাংলাট্রিবিউন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার), আসিফ ইকবাল অনিক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক, বিবাহিত), মো. তুষার (উপ- বেসরকারী, প্রথম পদ), রাকিবুল ইসলাম সাকিব (উপ-বেসরকারি, বিবাহিত), শাহরীয়ার মাহমুদ রাজু (উপ-আপ্যয়ন, জসিমউদ্দিন হলের ৩২১নং রুম থেকে ইয়াবা সেবনকালে হল প্রোভোস্টের সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ), হিরণ ভুইয়া (উপ-মানবসম্পদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিস্কৃত), এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু (কৃষি সম্পাদক, বিবাহিত), অভিমুন্য বিশ্বাস অভি (উপ-কর্মস্‌ংস্থান, ইউনানী ঔষধ ব্যবসায়ী), জাফর আহমেদ ইমন (সহ-সম্পাদক, ছাত্রদল নেতা, প্রথম পদ), তানভীর আব্দুল্লাহ (সহ-সম্পাদক, ব্যবসায়ী/প্রথম পদ), সামিহা সরকার (সহ-সম্পাদক, পিতা- গাজিপুর সিটি কর্পেরেশনের বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিবাহিত), ফারজানা ইসলাম রাখি (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত), তামান্না তাসনিম তমা (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত/প্রথম পদ), মোঃ মেহেদী হাসান রাজু (সহ-সম্পাদক, এসআই পরীক্ষার প্রক্সি দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক এবং সাজাপ্রাপ্ত), আঞ্জুমান আরা অনু (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত, প্রশ্নফাঁস জালিয়াতের সঙ্গে জড়িত), আসিফ রায়হান (সহ-সম্পাদক, পিতা-৬নং গুপ্তি ইউনিয়ন, চাঁদপুর বিএনপির সভাপতি), শফিকুল ইসলাম কোতয়াল (সহ-সম্পাদক, ১ম পদ), শেখ আরজু (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত), ফয়সাল করিম দাউদ খান (সদস্য, ১ম পদ), আল ইমরান (উপ-কর্মসংস্থান, বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, প্রথম পদ), ওয়াহিদুজ্জামান লিখন (উপ-আন্তর্জাতিক, ১ম পদ), সোহেল রানা সান্ত (সহ-সম্পাদক, আজীবন বহিস্কার), বেলাল মুন্না (উপ-মানব, বিবাহিত) মেসকাত হোসেন (উপ-প্রশিক্ষন, সাংবাদিকদের রুম ভাংচুর করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিস্কার), শহিদুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, সাবেক চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), ফরহাদ হোসেন তপু (সহ-সভাপতি, বিবাহিত) তানজীদুল ইসলাম শিমুল (সহ-সভাপতি, বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ছাত্রলীগের কোন মিছিল মিটিং এ দেখা যায়নি), সোহানুর রহমান সোহান (সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। মাদকাসক্ত ও মাদকব্যবসায়ী), আরিফ শেখ (উপ-প্রচার, পুলিশের কাছে মাদকসহ আটক), বায়েজিদ কোতয়াল (উপ-ক্রীড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত), মহসিন খন্দকার (উপ-অর্থ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের বাসার দেখাশোনা করে), রাকিনুল হক চৌধুরী (আন্তর্জতিক সম্পাদক, সভাপতির আপন ভাই), রনি চৌধুরী (সহ-সম্পাদক, মুন্সিগঞ্জ এর কোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ হাওলাদার এর হত্যা মামলার আসামি), এম সাজ্জাদ হোসেন(সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগের প্রথম পদ ও বিবাহিত), এস এম মাহবুবুর রহমান সালেহী (উপ-আন্তর্জাতিক, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রীয়), ওমর ফারুক পাংকু (সহ-সম্পাদক, বিএনপি পরিবার, আপন চাচা শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, বাবা শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি), আলিমুল হক (সহ-সভাপতি, পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নি সংযোগকারী।বড় ভাই মঞ্জিল হক শুনই ইউনিয়ন বিএনপির নেতা), মোঃ রাকিব হোসেন (অর্থ সম্পাদক, আপন বড় ভাই রাজু আহমেদ সহ-সভাপতি, নড়ীয়া উপজেলা ছাত্রদল, মামা এ্যাডভোকেট হেলাল আকন্দ শরীয়তপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক), শফিউল ইসলাম সজিব (উপ-স্বাস্থ্য, ৩৯ তম বিসিএসের সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত, ছাত্রলীগের প্রথম পদ), মাজহারুল ইসলাম মিরাজ (সহ-সভাপতি, বিএনপি পরিবারের সন্তান), রাকিব উদ্দিন (সহ-সভাপতি, ঠিকাদার) নাজিম উদ্দিন (সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে), রেজাউল করিম (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত, বয়সউত্তীর্ণ ও মাদক মামলা আছে), ফেরদৌস শাহরিয়ার নিলয় (উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগসম্পাদক, বিএনপি পরিবার), নিলায়ন বাপ্পী (উপ-প্রচার, বিবাহিত),  মোমিন শাহরিয়ার (উপ-দপ্তর, মামলার আসামী), মাজহারুল কবির শয়ন (উপ-নাট্য বিতর্ক, কোটা আন্দোলনকারী), নাজমুল হুদা সুমন (উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন, বিবাহিত), রবিউল ইসলাম হাসিব মীর (উপ-কৃষি শিক্ষা, ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আছে), ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি (সদস্য, সাবেক চাকুরিজীবী), জাভেদ হোসেন (পাঠাগার সম্পাদক তার বাবা জামায়াত করে, চাচা কুমিল্লার লাঙ্গল কোট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক), ফুয়াদ হোসেন শাহাদাৎ (আইন সম্পাদক, বিবাহিত), সালেকুর রহমান শাকিল (উপ-ত্রান ও দুর্যোগ, পিতা- ভুরুঙ্গামারি উপজেলার বিএনপির মৎস বিষয়ক সম্পাদক), আরিফ হোসেন (বিএনপি পরিবারের সন্তান), শফিউল ইসলাম সজিব (উপ-সাস্থ্য, বিএনপি পরিবারের সন্তান), তৌহিদুল ইসলাম জহির (সহ-সভাপতি, পিতা-ইদ্রিস চৌধুরী শোভন ডন্ডি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, মেজভাই গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী পুটিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। মাতা শাহনেওয়াজ চৌধুরী ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিল)।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় বিতর্কিত ১৭ জন
এদিকে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর কমিটিতে জায়গা পাওয়া বিতর্কিতদের নিয়ে যাচাই বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। গত বুধবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে ১৭ জনের নাম পেয়েছি। যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা নির্দোষ। অন্যথায় তাদের পদগুলো শূণ্য ঘোষণা করা হবে। আর যোগ্যতার বিচারে পদবঞ্চিতদের এসব পদে পদায়ন করা হবে। এসময় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিতর্কিত ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। এ তালিকায় রয়েছেন- সহ সভাপতি আরেফিন সিদ্দিকি সুজন ও আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। আর শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে সহ সভাপতি বরকত হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। কমিটিতে স্থান পেলেও বয়সসীমা পার হয়েছে সহ সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ ও তানজীল ভূঁইয়া তানভীরের।
সংগঠনের নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সহ সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে চেতনা ধারণ করেন বলে অভিযোগ। এছাড়া পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে সহ সভাপতি তৌফিক হাসান সাগরের বিরুদ্ধে। এছাড়া, কমিটিতে স্থান পাওয়া সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নামে মামলা রয়েছে। চাকরি করছেন দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব। এছাড়া কমিটিতে পদ পাওয়াদের মধ্যে বিবাহিত বলে অভিযোগ এসেছে সহ সভাপতি সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, উপ সম্পাদক রুশি চৌধুরী, মুনমুন নাহার বৈশাখী এবং আফরিন লাবণীর বিরুদ্ধে।

No comments

Powered by Blogger.