বিএনপির ভুল কি? by মুবাশ্বের হাসান ও এরিল্ড এঙ্গেলসেন রাড

জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এই দেশটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রায় সবটাতেই বিজয়ী হয়েছে। এটাই এযাবতকালের মধ্যে তাদের সেরা ফল। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীদলীয় জোট মাত্র ৭টি আসন নিশ্চিত করতে পেরেছে।
গত বছরের নির্বাচনে বিএনপির হতাশাজনক ফলে বাংলাদেশের অনেক পর্যবেক্ষকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, দলটি গঠিত হয়েছে ১৯৭৮ সালে। তারপর থেকে চারটি জাতীয় নির্বাচন ও দুটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে তারা। ২০০৬ সাল থেকে তারা ক্ষমতায় নেই।
এর আগে ক্ষমতায় থাকা এই দলটি কি দেশের বড় কোনো রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান আর ফিরে পাবে কখনো?
বর্তমানে বাংলাদেশে বিএনপির পুনরুত্থান দৃশ্যত সম্ভব মনে হচ্ছে না তিনটি কারণে।
জনসমর্থন হারাচ্ছে
প্রথমত, বিএনপি আর পপুলার বা জনপ্রিয় সমর্থন পাচ্ছে না।
দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে জেলে। তার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১০ বছরের বেশি লন্ডনে নির্বাসনে বসবাস করছেন। শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে। ওই হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। দলটির অনেক নেতাও সুপরিচিত বহু সমর্থক এখন হয়তো জেলে, নির্বাসনে আর না হয় পালিয়ে আছেন। বাকিরা নিজেকে কম প্রকাশের চেষ্টা করছেন। দলটি সুনিশ্চিতভাবে এর নেতারা কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি জানিয়ে আসছে। বলা হচ্ছে, সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।
তা সত্ত্বেও, এসব অভিযোগের কারণে এ দলটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমর্থককে হারিয়েছে।
উপরন্তু, মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে ২০১৩ সালে হরতাল অবরোধ ও রাজপথে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আইন সংশোধনের দাবি জানায়। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে হয়নি বলে অভিযোগ তুলে তারা ওই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা বর্জন করলেও শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন নিয়ে সামনে এগিয়ে যায় এবং খুব সহজেই তারা জিতে দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় যায়। জবাবে বিএনপি অস্থিরতা অব্যাহত রাখে। বাসে আগুন দেয়। বোমা ছোড়ে। জনজীবনে বড় ধরনের বিঘœ ঘটায়। এসব কারণে জনগণ প্রধান বিরোধী এই দলের দিক থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
২০১৮ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণে সম্মত হয়। কিন্তু তারা পপুলার সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হয়। দলটির বেশির ভাগ নেতা-কর্মী হয়তো আত্মগোপনে ছিলেন অথবা জেলে ছিলেন। এ জন্য নির্বাচনী প্রচারের সময় এবং ভোটের দিনে তারা ছিলেন একরকম অদৃশ্য। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিলেও বিএনপির প্রতি জনসহানুভূতি আসতে দেখা যায়নি।
এটা বলার দরকার পড়ে না, নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না অথবা তারা বড় কোনো অর্জন করতে পারতো না, যদি ভোট পুরোপুরি অবাধ ও সুুষ্ঠুও হতো।  বিএনপি ও এর নেতারা যে অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তার প্রতি জনগণের যে অনাগ্রহ তা থেকে একটি জিনিস পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। তা হলো, বিএনপি যদি কোনো অর্জন পায় তাহলে তা হবে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের কারণে, বিএনপির প্রতি জনগণের সমর্থনের কারণে নয়।
প্রাসঙ্গিকতায় ব্যর্থতা
দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছর ধরে জনগণকে একীভূত করে মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার শাহবাগ ব্যাপক জনপ্রিয় এক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা মেনে চলার দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়। এর দু-এক মাস পরে ডজনখানেক অথবা এমন সংখ্যক ইসলামপন্থি সংগঠনের জোট হেফাজতে ইসলাম দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। এই পরস্পর সংঘাতমূলক দুটি আন্দোলনের পক্ষেই হাজার হাজার বাংলাদেশি রাজপথে নামেন। এতে রাষ্ট্রের অত্যন্ত মৌলিক মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।
এ নিয়ে যখন জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক তখন তার মধ্যে নিজের স্থান খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলো বিএনপি। শাহবাগের যুব আন্দোলন এই ধারা ধরে রাখে। যেহেতু এরই মধ্যে নিজেরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তাই বিএনপির সমর্থনকে অবজ্ঞা করা শুরু করে হেফাজত। এই জোটে যুক্ত হয়েছেন সারা বাংলাদেশের ২৫ হাজারেরও বেশি ধর্মীয় স্কুলের সংগঠনগুলো।
২০১৫ সাল থেকে আরো তিনটি উল্লেখযোগ্য যুব আন্দোলন হয়েছে। তার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর কোনো ভ্যাট নয়। বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকারের ট্যাক্স বসানোর প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়। আরেকটি আন্দোলন হলো, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলন। শেষেরটি হলো নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন। এসব বিক্ষোভের কোনোটিতে কোনো রকম ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় নি বিএনপি। এমন কি এ নিয়ে যে বিতর্ক তাতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয় নি তারা।
সুস্পষ্ট এজেন্ডার ঘাতটি
তৃতীয়ত, বিএনপিতে রয়েছে সুস্পষ্ট এজেন্ডার ঘাতটি।
বাংলাদেশের জনগণের দৃষ্টিতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় এলে প্রকৃতপক্ষে কি করবে অথবা কি পরিবর্তন আনবে সে বিষযে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
একটি দেশের সুস্থতার জন্য নিয়মিতভাবে ক্ষমতাসীন এলিটদের পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু যখন বিকল্প হিসেবে প্রধান পক্ষ আকর্ষণীয় প্রস্তাবনা  আনতে ব্যর্থ হয়, তখন পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন হয়ে ওঠে জনগণের কাছে অধিক কম আকর্ষণের বিষয়।
উপরন্তু, দৃশ্যত বিএনপি কোনো সুনির্দিষ্ট আদর্শ অনুসরণ করে না। এর ফলে এ দলটি কম আকর্ষণীয় বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও গ্রুপ খুব বেশি ক্লায়েন্টনির্ভর, তখন তাদের একটি মোদ্দাগত আদর্শ আছে। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আছে জাতীয়তাবাদী আদর্শ, বিশেষ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে তাদের ভূমিকা থেকে কিছুটা নমনীয় বা শিথিল হয়েছে তারা।
অন্যদিকে বিএনপি একটি লিগেসি গড়ে তুলতে পারেনি, যা সুসংগত ও আকর্ষণীয় আদর্শে পরিণত হতে পারে। শুরু থেকেই এতে ছিল বিভিন্ন রকম উপাদানের এক হচপচ অবস্থা। এতে স্থান হয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয়তাবাদে অসন্তুষ্ট বাম ঘারানার মানুষ, ইসলামপন্থিদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পক্ষের ডানপন্থিরা, সুযোগ সন্ধানীরা, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান আমলে সরকারের যেসব ব্যক্তি একপেশে হয়ে পড়েছিলেন তাদের।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রধান দুটি প্রচারণার বিষয় ছিল জেলবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার। দৃশ্যত, খালেদা জিয়ার বন্দিত্ব নিয়ে বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক মানুষই খুব বেশি কেয়ার করেন না। জনসাধারণের মধ্যে দৃশ্যত যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে তা হলো তিনি একজন রাজনীতিক এবং সব রাজনীতিকই দুর্নীতি করেন।
অনেকে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কার আনার কারণে নির্বাচনে বিএনপির জেতার সুযোগ নিঃশেষিত হয়ে গেছে। অবশ্যই বেশির ভাগ ভোটারেরই কাম্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ২০১৩-২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে, তাতে বড় মাত্রায় দুর্ভোগ ও বিঘœ ঘটে। এতে অনেক বাংলাদেশি বিশ্বাস করেন যে, দেশের সমস্যাবহুল নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করার মতো সক্ষমতা নেই বিএনপির।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বিাচন বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারে।
যখন বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হয় তখন বেশির ভাগ বাংলাদেশি নিজেকে প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে যা করছে না, এমন কি করতে পারবে বিএনপি?
তাহলে এখন কি? আওয়ামী লীগ সফলতার সঙ্গে রাষ্ট্রকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রচলিত যে দ্বিদলীয় প্রথা আছে তা অস্থিতিশীল করে তুলেছে। উপরন্তু দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানব উন্নয়নসহ বেশ কিছু সূচকে খুবই ভালো করছে। তাহলে কি জনগণের সমর্থন ফিরে পাওয়া ও সর্বশক্তিশালী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো সুযোগই নেই বিরোধীদের?
অগত্যা না।
বাংলাদেশ এখনো একটি অসম শিল্পয়ানের দেশ। তা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমানভাবে। রয়েছে উচ্চ মাত্রায় বেকারত্ব ও আংশিক কর্মসংস্থান। দেশের ভিতর বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে। আছে শরণার্থীবিষয়ক সংকট। আছে সীমান্ত সমস্যা। আছে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বহু ইস্যু। বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে, শক্তিশালী একটি বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও রাষ্ট্রের ভিতরকার সমর্থন আওয়ামী লীগের জন্য বাস্তব, যা শর্ত সাপেক্ষে তাদের সফলতার পারফরমেন্সের জন্য। অর্থনীতির উত্থানপতন অথবা রাজনৈতিক বড় কোনো ভুলের কারণেই শেখ হাসিনার দল সহজে জনপ্রিয়তা হারাতে পারে এবং তাদের ক্ষমতা ফসকে যেতে পারে।
উপরন্তু ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনসমর্থন সমানভাবেই প্রতীয়মান। এতে বেশির ভাগ ভোটার আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন। এটা এ জন্য নয় যে এই দলটি তাদের সব ধর্মবিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে অথবা তাদের সব বেদনার সমাধান দেয়। তারা এ দলটিকে এ জন্য পছন্দ করেন যে, ক্ষমতাসীন দলটি মন্দের ভালো এ জন্য।
১৬ কোটি মানুষের বিপুল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ।
এখানে আছেন বামধারার মানুষ। আছেন রক্ষণশীল। শহরবাসী। আর কয়েক কোটি মানুষ বসবাস করেন গ্রামে। এখানে আছেন জাতীয়তাবাদী, সমাজতান্ত্রিক, ইসলাপন্থি ও সংখ্যালঘুরা। পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে এখানকার মানুষরা উদ্বিগ্ন। আছেন নারী অধিকারকর্মী। এই সময়ে দেশের রাজনীতিতে সুনির্দিষ্ট প্রতিনিধিত্ব নেই এসব গ্রুপের। এর ফলে তাদের অনেকেই ভোট দেন আওয়ামী লীগকে।
এই রকম অভিযোজন দীর্ঘ সময় এক ছাতার নিচে রাখা যাবে না, যেহেতু রাষ্ট্রীয় উৎস সীমিত। রাজনৈতিক শ্রেণির মধ্যে সাধারণ একটি অসন্তোষ আছে, আছে রাষ্ট্রীয় বৈধতায় ঘাতটি, ব্যাপক দুর্নীতি, ব্রেইন ড্রেইন, দুর্বল অবকাঠামো। আর আছে নিজের ভারে থাকা একটি রাজধানী শহর।
ক্ষমতাসীন দলের ভুলত্রুটি নিয়ে বিরোধী আন্দোলনের প্রচুর সুযোগ আছে। তারা জনগণের গভীরে প্রোথিত উৎপীড়নের বাস্তবসম্মত সামাধান প্রস্তাব করতে পারে। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী মানচিত্রে নিজেদেরকে একটি প্রভাবশালী স্থানে নিয়ে আসতে পারে। এমন কি ক্ষমতাসীনরা কঠোরভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে বিরোধীরা। সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিরোধী পক্ষ কল্পনা ও রাজনৈতিক দক্ষতার সঙ্গে যুবকদের অপ্রত্যাশিত, তবে রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর গণ-আন্দোলনে বাংলাদেশের সহজেই মাঠে নামাতে পারে এবং পরিবর্তন আনতে পারে।
কিন্তু বিএনপি সম্ভবত সেই বিরোধী শক্তি হতে পারবে না।
গত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল সফল হতে পারেনি শুধু এ জন্যই নয় যে, সরকার তাদের ওপর নিষ্পেষণ চালিয়েছে, কণ্ঠ রুদ্ধ করেছে। তারা ব্যর্থ হয়েছে এ জন্য যে, তারা তাদের পুরনো ও অপরিকল্পিত নেতৃত্বের জন্য, একটি উৎসাহমূলক এজেন্ডা দিতে সক্ষম না হওয়া এবং দেশকে নতুন পথে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে না পারার জন্য তারা হেরেছে।
বাংলাদেশে এখনও পরিবর্তনের একটি সুযোগ আছে। কিন্তু তা বিএনপি পারবে বলে মনে হয় না।
(মুবাশ্বের হাসান ইউনিভার্সিটি অব অসলোতে ডিপার্টমেন্ট অব কালচার স্টাডিজ অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজের পোস্ট ডক্করাল ফেলো। এবং এরিল্ড এঙ্গেলসেন রাড নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলোর সাউথ এশিয়া স্টাডিজের একজন প্রফেসর। অনলাইন আল জাজিরায় প্রকাশিত তাদের লেখা ‘হোয়াট ওয়েন্ট রং উইথ দ্য বিএনপি, বাংলাদেশজ মেইন অপোজিশন পার্টি?’ শীর্ষক লেখার অনুবাদ)

No comments

Powered by Blogger.