হাইকোর্টে জামিনপ্রার্থীদের ভিড়: ‘আদালতের বারান্দা এখন আমাদের ঘরবাড়ি’ by উৎপল রায়

শামসুল হক (৫৫)। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের নন্দোয়ার ইউনিয়নের ভণ্ডগ্রামের বাসিন্দা। রাণীশংকৈল থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে আসেন তিনি। গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স (বর্ধিত) ভবনের দোতলায় সংশ্লিষ্ট আদালতের বারান্দায় তিনিও লাইনে ছিলেন অন্যদের সঙ্গে। ভগ্ন শরীরের শ্মশ্রুমণ্ডিত শামসুল হকের চোখে মুখে ছিল দিশাহারা ভাব। দুশ্চিন্তার ছাপও স্পষ্ট। পাশেরজনকে কেবলই জিজ্ঞাসা করছেন ‘জামিন হইবো তো? তার পাশে থাকা তারই এলাকার কয়েকজন জানান, সহজ সরল শামসুল হক অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করেন। শারীরিকভাবেও অতটা সবল নন তিনি।
পড়াশুনা যেমন নেই, তেমনি তার উচ্চারণেও রয়েছে সমস্যা।
বিএনপির কোনো পর্যায়ের রাজনীতির সঙ্গেই তিনি নেই। তার সাতটি মেয়ে। ইতিমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আরো ৫ মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা ও পরিশ্রমে তার শরীর আরো ভেঙে পড়েছে। তিনি এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। অসুস্থ শরীর নিয়েই তিনি ঢাকায় এসেছেন নাশকতার মামলায় আগাম জামিন নিতে। এমনকি ঢাকায় আসা যাওয়ার ভাড়াও নেই তার কাছে। দেয়ালে ঠেস দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন শামসুল হক। তার পাশে থাকা কয়েকজন তাকে সান্ত্বনা দেন। শামসুল হক বলেন, কাজকাম কইরা কূল পাই না।
রাজনীতি করমো কহন। ঘরে ৫টা মাইয়া। কয়ডা দিন পালাইয়া ছিলাম। মেয়েগুলার চিন্তায় কিছুই করতে পারি না। এলাকার লোকজন কইলো হাইকোর্টে আইতে, তাই আইলাম। যদি জামিন না পাই তাইলে আমার সংসারডা কেডায় দেখবো? রানীশংকৈলের নন্দোয়ার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম বলেন, সহজ সরল শামসুল ইসলাম রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। আমরা বিএনপির সরাসরি রাজনীতি করলেও তিনি বিএনপির সমর্থক। কিন্তু এরকম একজন অসহায় মানুষের নামেও মামলা দেয়া হবে এটি আমরা ভাবিনি। পরে জানা যায়, দুপুর ২টার পর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান শামসুল হকসহ অন্যরা। আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনসহ বিভিন্ন মামলায় বেশকিছুদিন ধরেই আগাম জামিনের জন্য সারা দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসছেন সুপ্রিম কোর্টে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এত বেশি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন হাইকোর্টে জমা পড়েনি।
এত বেশি মানুষও হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য হাজির হননি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে আগামী নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার আতঙ্কে রেখে মাঠ খালি করে একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায়। এ জন্যই সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এসব ভিত্তিহীন গায়েবি ও কাল্পনিক মামলা দেয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সারা দেশ থেকে প্রতিটি কর্মদিবসেই বিএনপির শত শত লোক আগাম জামিন নিতে আসছেন। আর সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এত বেশি লোকের আগাম জামিন নিতে আসার নজির অতীতে যেমন নেই তেমনি এত বেশি গায়েবি মামলাও অতীতে হয়নি। এত বেশি লোক জামিন নিতে আদালতে আসেন নি।’ তিনি বলেন, আশার কথা এই যে হাইকোর্ট অনেক উদার হয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন দিচ্ছেন। তবে, দুর্ভাগ্য যে, হাইকোর্ট চার সপ্তাহ কিংবা আট সপ্তাহ আগাম জামিন দিলেও জামিন শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিম্ন আদালতে হাজির হলে অনেককেই কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় সরকার নিম্ন আদালতে হস্তক্ষেপ করছে।’ খন্দকার মাহবুব আরো বলেন, ‘যারা আগাম জামিন নিতে আসছেন তাদেরকে আমরা সর্বতোভাবে আইনি সহায়তা দিচ্ছি। কিন্তু এমনও আছেন যাদের ঢাকায় আসা যাওয়ার মতো ভাড়া নেই, খাওয়ার টাকা নেই। ওই সব লোকের নামেও মামলা দেয়া হচ্ছে।
দুপুর ১টা। সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স (বর্ধিত) ভবনের সামনে দীর্ঘ লাইন। পাশে দাঁড়িয়ে একজন সিরিয়াল নম্বর ও এলাকার নাম বলছেন। সঙ্গে সঙ্গে হাত তুলে ‘আছি’ বলে জানান দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরই সারিবদ্ধভাবে সবাই গিয়ে হাজির হন ওই ভবনের দোতলার একটি আদালতে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই ঠাকুরগাঁও জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মী। নাশকতা, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে এসেছেন সর্বমোট ২৪০ জন। তাদের সবাই হাজির কি-না এবং জামিন যাতে হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত হতেই এ বিশেষ লাইনের ব্যবস্থা।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও একই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া আলাপকালে জানান, গত ১লা সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১১টার দিকে মিলাদের আয়োজন করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনিসহ ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এতদিন অনেকটাই আত্মগোপেনে ছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে বৃহস্পতিবার আগাম জামিন নিতে এসেছেন তারা। তিনি আরো জানান, বিগত কয়েক মাসের মধ্যে ১৭টি মামলায় ওই জেলার বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৬শ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৪০ জন আগাম জামিন নিতে এসেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বলেন, নেতাকর্মীদের আগাম জামিনের জন্য বেশকয়েকদিন ধরে হাইকোর্টে আসতে হচ্ছে। এর আগেও ধাপে ধাপে ২শ’ জনের বেশি নেতাকর্মীর আগাম জামিন হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় গতকাল হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে এসেছিলেন রানীশংকৈলের ৮ নম্বর নন্দোয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ। তিনি বলেন, গত ১লা সেপ্টেম্বর স্থানীয় থানায় আমার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। সেই থেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকায় নিয়মিত যেতে পারছি না। শুধু আমি নই ওই থানার বিএনপির সকলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের একই অবস্থা। অনেকেই এলাকাছাড়া। আবার অনেকেই আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে আসছেন।
সোহেল মৃধা (৩৩)। চাদপুর মতলব (উত্তর) ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। নাশকতার একটি মামলায় গতকাল হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে এসেছেন তিনি। সোহেল মৃধা বলেন, বিগত এক বছরের মধ্যে আমার নামে ৫টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতেই জামিনে আছি। আজকে (গতকাল) একটি মামলায় ৮ সপ্তাহের জামিন হয়েছে। তিনি জানান, নারায়নগঞ্জের পঞ্চবটী এলাকায় কফেকশনারীর ব্যবসা রয়েছে তার। পুলিশি ঝামেলার ভয়ে অনেকদিন ধরেই পরিবার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন তিনি। মতলবের (উত্তর) গ্রামের বাড়িতে না থেকে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটী এলাকায় থাকেন। সোহেল মৃধা বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে একটি মামলায় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর কারাগার। ১৮ দিন কারাবাস শেষে চাঁদপুরের একটি আদালত থেকে জামিন পাই। এরপর থেকে ভয়ে গ্রামের বাড়িতে নিয়মিত যাই না। তিনি বলেন, ২৫শে নভেম্বর আমার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সৌশি আক্তারের বার্ষিক পরীক্ষা। মেয়েটার ইচ্ছে ছিল পরীক্ষার সময় আমি তার কাছে থাকবো। কিন্তু মনে হয় তা সম্ভব হবে না। আতঙ্কে থাকি কখন না আবার মামলা হয়, গ্রেপ্তার হয়ে যাই। সোহেল মৃধা আরো বলেন, মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। প্রতিনিয়ত আদালতে দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। একমাত্র অবলম্বন ব্যবসাটাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
মতলব (উত্তর) উপজেলা যুবদলের সভাপতি রাশেদ হাসান টিপু (৪৩) বলেন, আমার নামে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফারক আইনের দুটি মামলা রয়েছে। দুটিতেই জামিনে আছি। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি মামলায় কারাগারে নেয়া হয় আমাকে। ২৫ দিন কারাগারে থেকে পরে মুক্তি পাই। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) এই উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা জামিন নিতে এসেছেন তাদের অনেকেই মামলায় বিপর্যস্ত। কেউবা অসহায়। অনেকের ঢাকায় আসা ও যাওয়ার মতো ভাড়াও নেই। আমরা যারা নেতৃত্বস্থানীয় তারাই তাদের জামিনের জন্য চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, আমরা মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এলাকায় যেতে পারি না। যদি যেতেও হয় সকালে গিয়ে ওই দিনই ফিরে আসি। সবশেষ গত ২০শে অক্টোবর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রাতে থাকতে পারিনি। ওই দিনই চলে আসি। তিনি বলেন, স্থানীয় এলাকায় বালু পাথরের ব্যবসা রয়েছে আমার। কিন্তু সেই ব্যবসাও অনেকটাই স্লথ। গ্রেপ্তার হয়রানির ভয়ে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতেই থাকি।
নাশকতার মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে এসেছেন মতলবের (উত্তর) ১০ নম্বর পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সজীব আল ফালাক (২৬)। তিনি জানান, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তার নামে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি জামিনে আছেন। ওয়েস্ট কোস্ট ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজিতে মেকানিক্যাল বিভাগে এমএসসি করছেন তিনি। পাশাপাশি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সজীব আল ফালাক বলেন, রাজনীতি যে এত কঠিন সেটি আগে বুঝিনি। গ্রেপ্তার হয়রানির আতঙ্কে থাকি প্রতিনিয়ত। পড়াশুনাও বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্রামের বাড়িতে নিয়মিত যেতে পারি না। এখন থাকি পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ এলাকায় এক আত্মীয়র বাসায়। বলা চলে দুঃসহ জীবন পার করছি। আগাম জামিন নিতে আসা চাঁদপুর বিএনপির একজন নেতা বলেন, এভাবে আদালতে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই পরিবারের কাছ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।
হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে আসা ময়মনসিংহের গৌরিপুরের মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াদুজ্জামান (৩৬) বলেন, গত ৭/৮ বছরে আমার নামে ৫২টি মামলা হয়েছে। এর সবগুলোতে জামিনে আছি। একটি মামলায় গত ১৩ই অক্টোবর কারাগারে যাই। প্রায় একমাস পর কারামুক্তি পাই। আজও (গতকাল) তিনটি মামলায় ১০৪ জনের আগাম জামিন হয়েছে। এর মধ্যে আমিও আছি। তিনি বলেন, গত কয়েকবছরে আদালতের বারান্দায় হয়ে গেছে আমাদের বাড়িঘর। আজ এই মামলা তো কাল সেই মামলা। শুধু আমি নই এলাকার আমাদের প্রায় সব নেতকর্মীরই একই অবস্থা। মামলায় হাজিরা দিতে দিতে আমাদের এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এটাই বোধহয় আমাদের নিয়তি। গৌরিপুরের ডৌহাখলার মজিবুর রহমান জানান, এলাকায় তিনি কৃষিকাজ করেন। বিএনপির কোনো পর্যায়ের রাজনীতির সঙ্গেই তিনি জড়িত নন। তবে, ওই রাজনৈতিক দলের সমর্থক হওয়ার কারণেই তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মজিবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধইরা পালাইয়াছিলাম। আইজ জামিন পাইছি।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায়। আলাপকালে জানান বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমিসহ আরো অনেকের নামে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫টি মামলায় ঘুরেফিরে ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাইকোর্টে এসেছিলাম আগাম জামিন নিতে। তিনি বেলন, আদালত আমাদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। কিন্তু ভয় আর আতঙ্ক আমাদের কাটে না। এই বুঝি নতুন কোনো মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়, সেই দুশ্চিন্তায় থাকি। তিনি বলেন, আমাদের নামে যে হারে মামলা করা হচ্ছে এবং যেভাবে আমরা আদালতের বারান্দায় দৌড়াচ্ছি তাতে এটি আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। পরিবার পরিজন, কাজকর্ম বাদ দিয়ে আমরা এখন কেবলই মামলা নিয়ে দৌড়াচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.