মেগানের উপর কি ঘনিয়েছে প্রিন্সেস ডায়ানার ছায়া?

প্রিন্স হ্যারির বাগদত্তা মেগান মার্কেল।
বিয়ের বাদ্য বাজছে। আর তিন দিন পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজবধূ হতে যাচ্ছেন মেগান মর্কেল। কিন্তু এরইমধ্যে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাতাসে। নতুন বউ মেগানের উপরে কি পড়তে যাচ্ছে তার শাশুড়ি প্রিন্সেস ডায়ানার ছায়া?
গণমাধ্যমের চাপ: মেগান যখন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু
গণমাধ্যমকে সামাল দেবার ক্ষেত্রে মেগানের রয়েছে দারুণ নৈপুণ্য। ঠিক প্রিন্সেস ডায়ানার মতো।
মার্কিন এই অভিনেত্রী নিজেও একজন সুদক্ষ ‘কমিউনিকেটর’।
ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের সামনে মেগান সবসময় সপ্রতিভ। একইরকমভাবে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তিনি দুর্দান্ত।
অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে অভিনয় করে মেগান খ্যাতি পেয়েছেন।
এছাড়া সাক্ষাতকার, ভ্রমণ, বক্তৃতা ও ভক্তবৃন্দের সাথে বিভিন্ন আশরে যোগ দিয়েছেন।
ফলে, গণমাধ্যমকে সামলানোর তরিকা মেগান হয়তো বেশ ভালোই রপ্ত করেছেন।
কিন্তু এখন তো তিনি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ রাজবধূ!
রাজবধূ হিসেবে এখন থেকে দিনে-রাতে অষ্টপ্রহর তাকে ঘিরে থাকবে পাপারাজ্জির চোখ।
ব্রিটিশ রাজবধূ হতে যাচ্ছেন মেগান মার্কেল।
গুঞ্জন উঠেছে, এতো তীব্র চাপ মেগান সামলাতে পারবেন তো?
কারণ অভিনেত্রী হলেও হলিউড মাতানো কোনো মহাতারকা তো আর মেগান ছিলেন না।
তাই, চাইলেই এমনকি যে কোনো একটা সাধারণ রেস্তোরাঁয় বসেও দিব্যি সেরে নিতে পেরেছেন দুপুর বা রাতের খাবার। সেসময় হয়তো তাকে খুব খেয়ালও করেনি মানুষজন।
কিন্তু এখন! এ এক কল্পনাতীত ব্যাপার!
মেগানের নিকটাত্মীয়রা খুঁজছে পাপারাজ্জির চোখ!
মেগানের দিকে সারাক্ষণ তাক করা কারো না কারো ক্যামেরার ল্যান্স।
আর তাকে অনুসরণ করার অংশ হিসেবেই মেগানের নিকটাত্মীয়দের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বৈকি!
তার মা এমনকি দরজা খুলে বাড়ির বাইরে বের হতে গেলেও দেখছেন বেজে উঠছে ক্যামেরার শাটার।
এমনকি মেগানে গাঁটের খবর বের করতে তার পুরনো প্রেমিককে টাকা দিয়ে হাত করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে শিকারির দল।
মেগান হয়তো প্রিন্সেস ডায়ানার মতোই খুবই দৃঢ়চেতা, স্বাধীন আর বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বধারী।
তাই, এই অবস্থায়ও তিনি মিডিয়ার চাপ সইতে পেরেছেন। কিন্তু তার আত্মীয়দের বেলায় কী হবে?
তারা যে এতো চাপ সামলাতে পারবেন না ইতোমধ্যেই অবশ্য সেই লক্ষণ মিলেছে।
মেগানের পরিবারের সদস্যদেরকে অনুক্ষণ ক্যামেরা হাতে অনুসরণ করার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে ইতোমধ্যেই একবার উষ্মাও প্রকাশ করেছেন স্বয়ং প্রিন্স হ্যারি।
ছোট ছেলে হ্যারির সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়না।
মেগানের উপর যখন ঘনিয়েছে ডায়ানার ছায়া
আজ থেকে দুই দশকেরও বেশি সময় আগে ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই বলেছিলেন, তার যুগে তার বোনই ছিলেন সবচে তাড়া খাওয়া মানুষ।
কারণ সবাই তার বোনের পিছু ছুটেছেন।
আর মাত্র দু’দিন পর রাজবধূ হতে যাওয়া মেগানের ভাগ্যও যেন ডায়ানার দিকেই যাচ্ছে।
ডায়ানার মতোই মেগান ও তার পরিবারও এখন শুনছে শিকারির পদধ্বনি।
সূত্র: বিবিসি

No comments

Powered by Blogger.