ঝিনাইদহে ৪ মাসে ৩০ জনের ধর্ষণজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা

ঝিনাইদহে আশংকাজনক হারে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। গত চার মাসে ঝিনাইদহ জেলার ৫টি উপজেলায় ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, চার মাসে বেশি ধর্ষণজনিত ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ সদরে। এই দুই উপজেলায় ১৮ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হরিণাকুন্ডুতে ৪জন, কোটচাঁদপুরে ১ জন ও আদালতের নির্দেশে ৫ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
আরএমও অফিসের রেজিষ্টার ক্লার্ক ফেরদৌস জানান, অন্যান্য বছরে সারা বছরেও ৩০টি ডাক্তারী পরীক্ষা হয় না। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ৩রা মে পর্যন্ত ৩০ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এই চার মাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে। স্থানীয় দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী গনধর্ষণের শিকার হয়। গত ২৫শে জানুয়ারী মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হলে এক ধর্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষিত ওই ছাত্রীকে আবারো অপহরণ করা হয়। সেই মামলায় ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান।

No comments

Powered by Blogger.