খালেদার জামিনের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি: দফায় দফায় উত্তেজনা, হট্টগোল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগে গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি শেষ করেন। তাদের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানি শুরু করেন। দুপুর সোয়া একটায় শুনানি শেষে তা মূলতবি করেন আদালত। আজ আবারো শুনানি হবে। গতকাল শুনানিকালে আদালতে দফায় দফায় হট্টগোল ও হৈচৈ হয়। এ নিয়ে আদালত আইনজীবীদের সতর্কও করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
গতকাল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে শুনানি শুরু করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। প্রথমে তিনি এই মামলার পেপারবুক ও খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশের নথি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান। আদালতকে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে তাকে (খালেদা জিয়া) বিচারিক আদালত ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আর সহযোগী আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অথচ খালেদা জিয়া এই মামলার মূল আসামি। তার বয়স, শারীরিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে লঘু দণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে দেয়া এই লঘু দণ্ড জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কারণ হতে পারে না। হাইকোর্ট তাকে ৫টি গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছেন। আমাদের দুঃখ হলো, আমাদের ভুল হতে পারে, কিন্তু হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও কোনো ফাইন্ডিং দেননি। শুনানিতে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী। তিনি এই মামলায় বিচারিক আদালতের কয়েকটি আদেশ পড়ে শোনান। দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি না নিয়েই লন্ডনে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসার কোনো সনদ আদালতে তার আইনজীবীরা জমা দেননি। এমনকি হাইকোর্টেও খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো সনদপত্র জমা দেয়া হয়নি।
এ সময় আদালত খুরশিদ আলমের কাছে প্রশ্ন রাখেন, বয়স ও অসুস্থতা জামিনের ক্ষেত্রে কোনো কারণ হতে পারে কি না? জবাবে খুরশিদ আলম খান আদালতকে বলেন, দণ্ডিত হওয়ার পর বয়স জামিনের কারণ হতে পারে না। এই মামলায় বয়স বিবেচনায় নিয়েই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা কম দিয়েছেন। আর একই কারণ দেখিয়ে তার আইনজীবীরা জামিন চাইছেন। এ সময় দুটো মামলার নজির উল্লেখ করে দুদক আইনজীবী বলেন, অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করেই কোনো কোনো সময় আপিল বিভাগ জামিন বাতিল করেছেন। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন। কিন্তু এ মামলায় খালেদা জিয়া কত দিন কারাগারে ছিলেন, সে বিষয়টি এখানে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত তিনি এই মামলায় চার মাস ২২ দিন সাজা খেটেছেন। ওনি কতদিন কাস্টডিতে ছিলেন এ বিষয়টি সমন্বয় করে যদি হাইকোর্ট আদেশ দিতেন তাহলেও কথা ছিল।
কারাগারে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা নিয়ে তার চিকিৎসকদের বরাতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে দুদক আইনজীবী বলেন, এগুলো তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বক্তব্য। আর অসুস্থতার কথা বলে যে পেপারবুক আসামিপক্ষ আদালতে দিয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বক্তব্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবেদন তো আসতে হবে।
দুদকের আইনজীবীর বক্তব্যের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি শুনানি করেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কিছু বক্তব্য রাজনৈতিক- এমন অভিযোগ করে একাধিকবার উঠে দাঁড়িয়ে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালতে হট্টগোল, হৈচৈ হয়। শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলার নথি থেকে আদালতকে পড়ে শোনান। তিনি বলেন, এই মামলায় বিচারিক আদালতে ৬৭টি তারিখের মধ্যে খালেদা জিয়া মাত্র আট দিন হাজির ছিলেন। বার বার সময় নিয়েছেন। মামলার পাঁচ বছর পর চার্জ গঠন করা হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্টে এসেও সময় ব্যাহত করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এটা বুঝাতে চাইছি যে তিনি (খালেদা জিয়া) কিভাবে এই মামলার বিচারকাজকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছেন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন উঠে দাঁড়িয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন মাননীয় আদালত, এখানে আমাদের আপত্তি আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল। সবার অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি এসব কি পড়ছেন? উনি কি পড়ছেন না পড়ছেন উনার বক্তব্য আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ সময় আদালতে বসে থাকা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা জয়নুল আবেদীনের বক্তব্যকে সমর্থন দিয়ে ‘ইয়েস’ ‘ইয়েস’ ‘ঠিক’ ‘ঠিক’ বলে চিৎকার করেন। এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমরাতো ওনাদের বক্তব্যের সময় কোনো কথা বলিনি। আমি রেকর্ড থেকে বলছি। এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে নথির গুরুত্বপূর্ণ অংশ পড়ে শোনানোর জন্য বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আবারো পড়া শুরু করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের দুর্নীতি মামলায় সাজার বিষয়টি উল্লেখ করেন। জনতা টাওয়ার মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাজা পাওয়া এবং দীর্ঘ সময় পর জামিন পাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে বলা হচ্ছে তিনি (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি তো এখন অন্য আসামিদের মতো না। যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি তো এখন বিশ্রামে আছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। আদালতের এজলাসের সামনে বসে থাকা খালেদা জিয়ার কয়েকজন আইনজীবীও এ বক্তব্যে আপত্তি তোলেন। খালেদা জিয়ার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের কথা হলো এসব পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উনি (খালেদা জিয়া) ইউনাইটেড হাসপাতালে যেতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। কেননা এখানে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা পিজি হাসপাতালেও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) সম্ভব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেখানে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এমন কোনো তথ্য নেই। কিন্তু খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার ব্যথার জন্য ওষুধ লিখেছেন শুধু নাপা। আমি ডাক্তার নই, তাই এ বিষয়ে বলা ঠিক হবে না। কিন্তু যেকোনো মানুষ জানে, যে রোগের চিকিৎসা শুধু নাপা সেটা বড় কোনো সমস্যা হতে পারে না। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে, প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে, চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ কথাগুলো শুধু উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত সরকারি মেডিকেল বোর্ড সেটা বলেনি। তারপরও খালেদা জিয়া যদি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান, তাহলে যেতে পারেন। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে চিকিৎসার জন্য তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন না। এ ছাড়া, ইউনাইটেড হাসপাতালেও তাঁর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যখন খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তখন তাঁকে হুইল চেয়ার দেয়া হলেও তিনি তাতে চড়ে যাননি। পায়ে হেঁটে গিয়েছেন। তিনি কারাগারে সম্পূর্ণ রেস্টে আছেন। একজন অসুস্থ মানুষের রেস্টের প্রয়োজন। জামিনের কী দরকার। তিনি বলেন- এই মামলায় ফেয়ার ট্রায়াল হয়েছে। এর চেয়ে ফেয়ার ট্রায়াল দুনিয়ার কোথাও হয়নি।
শুনানির একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই মামলার নথি দেখে বোঝা যায় এমন নিরপেক্ষ বিচার পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে আবারো আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ সময় আদালতে আবারো হট্টগোল শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, মাননীয় আদালত এখানে পাবলিক পারসেপশনের বিষয় জড়িত। অ্যাটর্নি জেনারেল যেসব কথা বলছেন তা আগামীকাল পত্রিকায় আসবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি এগুলো এজন্যই বলছি যে এই মামলায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে পাঁচজনকে যুক্তিতর্কের শুনানিতে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্কে যা যা বলেছে তার সব কিছুর জবাবই তার আইনজীবীরা দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলায় হাইকোর্টে আপিলের পেপারবুক তৈরি হয়ে গেছে। দ্রুত আপিলের শুনানি শুরু হোক। আপিলে তিনি খালাস পেলে পাক। অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, এই মামলায় বিচারিক আদালতে ৯ বছর সময় লেগেছে। এখানে যেন তা না হয়। দীর্ঘ দিনেও আপিলের শুনানি হবে না- এটি হতে পারে না। এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা এখানে বেইল পিটিশন (জামিনের আবেদন) দিয়েছি, আপিলের পিটিশন দিইনি। আপনি (অ্যাটর্নি জেনারেল) যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন এভাবে তো বেইল পিটিশনের শুনানি হয় না। এ পর্যায়ে আবারো আদালতে হৈচৈ ও হট্টগোল শুরু হয়। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের দৃষ্টি আকার্ষণ করে বলেন, তারা এমন করলে তো শুনানি করা সম্ভব হবে না। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আদালতে এরকম করলে আমরা শুনানি করতে পারবো না। একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তব্য শেষ করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। দুদকের মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদক আইনের বিধি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। তাদের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল রয়েছে। দুদকের প্রসিকিউটররাই এসব মামলা পরিচালনা করেন। এখানে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক। আইনের তোয়াক্কা না করে তিনি রাজনৈতিক সাবমিশন (বক্তব্য) দিয়েছেন। এ জে মোহাম্মদ আলীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অবশ্যই এ মামলার বিষয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন না। আমরা আপনার (এ জে মোহাম্মদ আলী) বক্তব্য শুনবো। কিন্তু আপনার সমর্থকদের বক্তব্য শুনবো না। শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনি (অ্যাটর্নি জেনারেল) রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড হয়ে এসব কথা বলছেন। শুনানিতে একটি মামলার নজির উল্লেখ করে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এই মামলায় বিচারিক আদালত আসামিকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিল। হাইকোর্ট বিভাগ আসামিকে জামিন দেয়। কিন্তু আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ জে মোহাম্মদ আলীর বক্তব্য শেষে আদালত বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুর রেজাক খান, মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, মীর মো. নাছিরউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আবদুস সালাম, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ, মোতাহার হোসেন সাজু প্রমুখ। বিএনপি নেতাদের মধ্যে- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজ আবারো শুনানি করবেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গতকাল আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও তার আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি ফটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.