একই পরিবারের পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কষ্ট

জন্ম থেকে একই পরিবারের পাঁচজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তারা সরকারি ভাতা ছাড়া অন্য কিছুই পান না। এর মধ্যেও আরেক প্রতিবন্ধী ছেলের ঘরে রাবেয়া নামের একমাত্র শিশুকন্যা (৩) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পরেই হাসপাতালের বিছানায় সে বড় হয়ে উঠছে। দুই লাখ টাকা যোগাতে না পারায় শিশুটির পিতা তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। রোববার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের মাঈনুদ্দীন বেপশুরী বাড়িতে গিয়ে এই মানবেতর জীবনযাপনের করুণ চিত্র দেখা গেছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে শিশুটির সুচিকিৎসাসহ পরিবারটি সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।
শিশুটির পিতা দৃষ্টিহীন আয়াতউল্যা জানান, তার পিতা হাফেজ ইসমাইল (৫৫), ফুফু আমেনা বেগম (৬৫), ভাই রহমত উল্যা (৩২), নেয়ামত উল্যা (১১), ও একমাত্র শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার (৩) জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। একমাত্র তাদের মা হাজেরা বেগম মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারিভাবে কোনো কিছুই পান না। হাফেজ ইসমাইল বাড়ির সামনেই একটি ফোরকানিয়া মাদরাসা পরিচালানা করেন। অন্যরা গৃহকর্মী মা ও দৃষ্টিহীন  বাবার উপর ভরসা করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রায় তিন বছর আগে আয়তউল্যার ঘরে জন্ম নেন দৃষ্টিহীন শিশু রাবেয়া। তাকে ঢাকা ফার্মগেট ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তার সাজ্জাদ ইফতেখারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ না যোগাতে না পেরে গত একমাস আগে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তার বলেছেন রাবেয়া যেন চোখে দেখতে পারে ২০০০+১৭০০ পাওয়ারের চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রায় ২ লাখ টাকার ব্যবস্থা হলে শিশুকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার দুই চোখে আলো দেখতে পাবে। তাই দেশের সরকারসহ ভিত্তবানদের কাছ সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: আয়াতউল্যা, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৩৮৪৮, ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখা, লক্ষ্মীপুর। মোবাইল: বিকাশ (০১৭২৭৫৬০৪৩৭)। কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান কামাল বলেন, সরকারি ভাতার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে দৃষ্টিহীন পরিবারকে সহযোগিতা করে আসছি। শিশু রাবেয়ার চোখের চিকিৎসার সহযোগিতা জন্য সরকার ও ভিত্তবানদের প্রতি আমারও আহবান রইলো।

No comments

Powered by Blogger.