রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৭ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের চেষ্টায় অপহরণ করে নির্জন বিলে তুলে নিয়ে যায় ৩ বখাটে। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীর পরিবারকে গ্রামছাড়া করেছে তারা। গোপনে আজ শনিবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীর মা। গত ৩রা মে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বরালু পাড়াগাও পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটনা।
শিক্ষার্থীর মা হাসি বেগম তার লিখিত অভিযোগে জানান, তার মেয়ে শারমীন আক্তার ফরিদা (১৪) স্থানীয় বরালু পাড়াগাও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে একই এলাকার হারিস মিয়ার মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ছেলে নাসিরসহ তার বাহিনীর সদস্য আতাবুদ্দিনের ছেলে উজ্জল এবং আবু বক্করের ছেলে আবু তালেব তাকে উত্যক্ত ও অশ্লীল ইঙ্গিত করতো। এছাড়া তারা তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে কুপ্রস্তাব দিতো। এ ঘটনা ফরিদা তার মাকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত সন্ত্রাসীরা গত ৩রা মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ফরিদা তার নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী তার ফুফুর বাড়ি যাবার পথে ৩ বখাটে মুখ চেপে তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তারা তাকে পার্শ্ববর্তী নির্জন টেকবাড়ির ঢালে নিয়ে হাত পা বেধে ফেলে। ফরিদার এসময় চিৎকার শুরু করে।
তখন গ্রামের লোকজন টের পেয়ে লাঠিসোটা নিয়ে তারা করে আহত ও বাঁধা অবস্থায় ফরিদাকে উদ্ধার করে। তারা যাতে এ ঘটনায় মামলা করতে না পারে সে জন্য সে রাতেই সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীটির পরিবারকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। অন্যথায় তার দু ভাইকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। সেদিন রাতেই ধর্ষিতাকে নিয়ে তার মা অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। এই ঘটনার ৩ দিন শিক্ষার্থীর মা হাসি বেগম আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গোপনে রূপগঞ্জ থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা এ ধরণের সংবাদ পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখোঁজি করে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি। তার পরিবারের পূর্ন নিরাপত্তার আশ^াস দিয়ে তাদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.