কীটনাশকে নষ্ট ১২০ বিঘা জমির কলা

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিটল পোকা ও সিগাটোগা রোগের জন্য কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগে ১২০ বিঘা জমির কলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুইট এগ্রোভেট লিমিটেডের ল্যামিরন ও সুইট স্টার নামের কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগে উপজেলার পীরগাছা গ্রামের মো. শামসুল আলমের বাগানের এসব কলা নষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শামসুল আলম।
সরজমিন ক্ষতিগ্রস্ত কলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, হৃষ্টপুষ্ট কলা গাছে কলাগুলো ছোট হয়ে পড়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, শামসুল আলম মধুপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় কলা চাষি। সে উপজেলার কালার পাহাড়ে (নয়নপুর) ২০ বিঘা, মুইনাটেকিতে (আঙ্গারিয়া) ৪০ বিঘা, চাঁদপুরে ২৮ বিঘা, বাঙালপাড়ায় ৩২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করেছেন।
শামসুল আলম জানান, সুইট এগ্রোভেট লিমিটেডের ল্যামিরন ও সুইট স্টার নামের কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগের ফলে আমার ১২০ বিঘা জমির কলার মোচা ও কাঁদিগুলো অস্বাভাবিকভাবে নষ্ট হয়ে বেরোচ্ছে। বাগানের প্রায় সবগুলো কলার ছড়িই নষ্ট হয়ে গেছে। কলা বাগান নষ্ট হওয়ার ফলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। সুইট এগ্রোভেট লিমিটেডের মাকেটিং অফিসার মো. আক্তারুজ্জামান জানান, শামসুল আলম সুইটের ২১০০ লিটার ল্যামিরন ও সুইট স্টার নিয়ে অন্য চাষিদের দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কারো কোনো প্রকার ক্ষতি হয়নি শুধু তার বাগানেরই কলা নষ্ট হয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সুইট এগ্রোভেট লিমিটেডের রিজিয়নাল ম্যানেজার ইমরান আলী খান (রতন) জানান, শামসুল আলম শুধু সুইটের কীটনাশক প্রয়োগ করেনি অন্য কোম্পানিরও ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। তাছাড়া তিনি আমাদের সুইট এগ্রোভেটের পরিবেশক ছিলেন, তার কাছে কোম্পানি ২৫ লাখ টাকা পান। ওই টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই এমন অভিযোগ করেছেন। মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি কলাবাগান দেখতে গিয়েছিলাম। তবে, কেন কলাগুলো নষ্ট হয়েছে তা নির্ণয় করতে সময় লাগবে।

No comments

Powered by Blogger.