স্ত্রীকে ‘ফার্স্টলেডির’ মর্যাদা দিলেন কিম জং উন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আসন্ন বৈঠক সামনে রেখে নিজের স্ত্রী রি সল জুকে ‘ফার্স্টলেডির’ মর্যাদা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশটির রাষ্ট্র     নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমে প্রথমবারের মতো রি সল জু’কে ‘সম্মানিত ফার্স্টলেডি’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় গত ৪০ বছর সময়ে এই প্রথম ‘ফার্স্টলেডি’ উপাধি দেয়া হলো। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, প্রশাসনিক কার্যক্রমে রি সল জু’কে বিভিন্ন সময়ে কিম জং উনের পাশে দেখা গেছে। তবে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফররত চীনা সেনাদের একটি অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো যুগলভাবে উপস্থিত হন কিম জং-রি সল দম্পতি। ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে রি সল জুকে ফার্স্টলেডি সম্বোধন করা হয়। এতে তাকে এমন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয় যা শুধু সে দেশের নেতার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
চীনা সেনাদের ওই অনুষ্ঠানে কিম জং উনের সঙ্গে মৃদু গোলাপি রংয়ের স্কার্টের ওপর কোট পরে হাজির হন রি সল জু।  এসময় তাদের সঙ্গে কিমের ছোট বোন ইয়ো জং সহ উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রি সল মূলত একজন সংগীত তারকা। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা বলছেন, তার বয়স ২৯ বছর। খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তার বাবা শিক্ষক, মা ডাক্তার। কিম জং-রি সল দম্পতির ৩টি সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে একজন মেয়ে। কিমের স্ত্রী হিসেবে এতদিন প্রকাশ্যে তার ভূমিকা ছিল খুই সামান্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রি সলকে ফার্স্টলেডির মর্যাদা দিয়ে কিম উত্তর কোরিয়াকে একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে সে বিষয়টিই বুঝাতে চান কিম। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্টলেডি কিম জং সুক ও মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়ার মতোই উত্তর কোরিয়ার ফার্স্টলেডি হিসেবে রি সল জুকে বিশ্বের সামনে পরিচিত করতে চাইছেন।

No comments

Powered by Blogger.