সিরিয়ায় তিন দেশের ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগারের ওপর বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও বৃটেনের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিমা জোট। শনিবার দিবাগত রাতে ১০৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে সিরিয়ায়। পেন্টাগন বলেছে, সিরিয়ার তিনটি রাসায়নিক অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো দামেস্কের বারজেহ জেলায় একটি গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কেন্দ্র। এ ছাড়া বাকি দুটি হলো হোম শহরে অবস্থিত দুটি রাসায়নিক প্রতিষ্ঠান বা অস্ত্রাগার। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে। এর জবাবে এমন হামলা চালানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে এটাই পশ্চিমা দেশগুলোর সবচেয়ে বৃহৎ বোমা হামলা। তবে এমন হামলার বিরোধী পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিপক্ষ রাশিয়া। হামলা চালানো তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও বৃটেন বলেছে, তারা সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র সক্ষমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। এটা তাদের সীমাবদ্ধ অভিযান। প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অথবা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করাও তাদের উদ্দেশ্য নয়। সিরিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার রাতের অভিযানকে সফল বলে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইটে বলেছেন, মিশন সম্পন্ন হয়েছে। যেন তার কণ্ঠে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানোর পর বলেছিলেন ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’। সিরিয়ায় হামলা চালানোর পর পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি সিরিয়ার বারজেহতে হামলা চালিয়ে আমরা তাদের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির একেবারে হৃৎপিণ্ডে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.