সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে তেহরান-ইসলামাবাদ

ইরান এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এ অঞ্চলে মার্কিন প্রভাব এবং ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব টুইটার বার্তার মাধ্যমে ইরান ও পাকিস্তানি জাতির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বিবৃতি দেয়ার পর তারা পরস্পরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। বৃহস্পতিবার ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দাস্তগির খানের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী হাতামি তেহরান এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমশ বৃদ্ধির বিষয়ে ভূঁয়সী প্রশংসতা করেন। হাতামি বলেন, এ অঞ্চলে এবং মুসলিম বিশ্বের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আলোকে ইরান এবং পাকিস্তানের মতো দুই প্রভাবশালী মুসলিম দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অন্যের ওপর দোষ চাপানোর অভ্যাস রয়েছে মার্কিনীদের এবং তারা কোনো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নীতি অনুসরণ করে থাকে। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমেরিকার শয়তানী এবং বোকামিপূর্ণ নীতির কারণে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং প্রতিদিনই আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ায় বেসামরিক ব্যক্তিরা মারা যাচ্ছে। এছাড়া, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অপার সম্ভাবনা রয়েছে-এ কথা উল্লেখ করে হাতামি জোর দিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে দুই দেশের উচিত তেহরান-ইসলামাবাদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানো। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ সময় ইরানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আঞ্চলিক পরিস্থিতির আলোকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.