আমিরাত-সৌদিতে নিষিদ্ধ আলজাজিরা
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কাতারের স্যাটেলাইট চ্যানেল আল-জাজিরা এবং কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার ওয়েবসাইট। বুধবার থেকে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আঞ্চলিক স্পর্শকাতর ইস্যুতে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে সানির কিছু বক্তব্যের পর সৌদি আরব ও আমিরাত এ ব্যবস্থা নিল। কাতারি আমিরের বক্তব্যে পারস্য উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে বিবাদ বেড়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাতারের যেসব চ্যানেল এবং পত্রিকার ওয়েবসাইট ও টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো- কাতার নিউজ এজেন্সি, আল-জাজিরা ডকুমেন্টারি চ্যানেল, আল-জাজিরা ইংলিশ নিউজ চ্যানেল, আরবি ভাষার পত্রিকা আল-ওয়াতান, আধা সরকারি পত্রিকা আল-রাইয়া, আল-আরব এবং সরকারপন্থি আশ-শার্ক পত্রিকা। এছাড়া, গতকাল কিছু সময়ের জন্য আরব আমিরাতে আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলও দেখা যায়নি। কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টানাপড়েনের কারণে সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে গ্যাস-সমৃদ্ধ কাতার।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারি গণমাধ্যম বন্ধের এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে ইরানকে “ইসলামি শক্তি” এবং ফিলিস্তিনের হামাস আন্দোলনের প্রশংসা করে সংগঠনটিকে “ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ প্রতিনিধি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মিশরের গণআন্দোলন ও ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ক্ষমতায় আসাকে কাতার সবসময় সমর্থন করেছে এবং মোহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আস-সিসি এবং প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সমালোচনা করে আসছে। এজন্য ২০১৪ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সরকার কাতার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় এবং আট মাস পর তাদেরকে আবার কাতারে পাঠানো হয়। এছাড়া, হামাসের সাবেক প্রধান খালেদ মাশআল কয়েক বছর ধরে কাতার সরকারের অনুরোধে দেশটিতে বসবসা করছেন। সূত্র : ওয়েবসাইট
No comments