৪১ বছর পর তাঁরা জানলেন

লিওন সোয়ানসন ,ডেভিড টেইট জুনিয়র
দুজন একে অপরকে চিনতেন দীর্ঘদিন থেকে। বসবাসও একই শহরে। কিন্তু ঘুণাক্ষরে টের পাননি তাঁরা একে অপরের পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। ৪১ বছর আগে জন্মের পর হাসপাতাল থেকে অদলবদল হয়ে ভুল পরিবারে চলে যান লিওন সোয়ানসন ও ডেভিড টেইট জুনিয়র। ঘটনাক্রমে জানতে পারেন, তাঁরা দুজন একে অপরের বাবা-মায়ের কাছে লালিতপালিত হয়েছেন। ডিএনএ পরীক্ষাতেও তা প্রমাণিত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে আদিবাসী ক্রি জনগোষ্ঠীর বসবাস। ১৯৭৫ সালে সরকারি নরওয়ে হাউস হাসপাতালে ডেভিড ও লিওনের জন্ম।
বয়সে একে অন্যের চেয়ে তিন দিনের ছোট-বড়। তাঁরা যে ছোট শহরে বেড়ে উঠেছেন, সেখানকার অধিবাসী মাত্র পাঁচ হাজার। ফলে তাঁরা একে অপরকে চিনতেন এবং এক সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি ডেভিড ও লিওন জানতে পারেন এক নির্মম সত্য। হাসপাতালের ভুলে তাঁদের বাবা-মা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ডেভিড টেইট যে পরিবারে মানুষ হয়েছেন, সেটি আসলে বন্ধু সোয়ানসনের পরিবার। আর সোয়ানসন যে পরিবারে মানুষ হয়েছেন, সেটি ডেভিডের পরিবার। এক সংবাদ সম্মেলনে ডেভিড টেইট বলেন, এ ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট জবাব চাই। তবে যারা আমাকে লালন-পালন করেছেন তাঁরা বরাবরই আমার বাবা-মা থাকবেন।

No comments

Powered by Blogger.