ফুটপাতের হোটেলে চেটেপুটে নিশিভোজ

দেখে পানীয় আর খাবারে মনোযোগী মনে হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা আসলে ‘জনগণমন’ কূটনীতিতে ব্যস্ত। একসময়
মার্কিন বোমার আঘাতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল ভিয়েতনাম।
এবার তাদেরকেই নিজেদের অস্ত্রে সজ্জিত করার প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন ওবামা। সে উপলক্ষ্যেই কিঞ্চিত জলপান! সোমবার
রাতে ভিয়েতনামের রাস্তার এই চিত্রটি মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে বিবিসি
হ্যানয়ের রাস্তায় বসে রাতের খাবার খেলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তারপর চুমুক দিলেন স্থানীয় বিয়ারে। করলেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। প্রোটকলের হাকডাক নেই। হুটহাট ঘটে গেল ঘটনাটা। বিখ্যাত ভিয়েতনামি পাঁচক অ্যান্থনি বোর্দাইন মঙ্গলবার এমন কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করেন নিজের টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। নতুন নতুন স্ট্রিটফুডের উদ্ভাবক হিসেবে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন অ্যান্থনি। তার সঙ্গেই সোমবার রাতের বেলা ঘুরতে বেরোন ওবামা। দিনের আলোয় ভিয়েতনামের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাতেই চেখে দেখলেন সেখানকার আহারের স্বাদ। এ সময় ন্যুডলস, সবজি এবং শূকর ভাজা খান তিনি। তবে এ উপলক্ষে আলাদা কোনো আয়োজন ছিল না সেখানে। প্লাস্টিকের এক সাধারণ টুলে বসেই আহারপর্ব সারেন ওবামা। খাওয়া শেষে পরিশোধ করেন ৬ ডলারের বিল।
এ ব্যাপারে রেস্তোরাঁ মালিক থাই লিয়ের বলেন, ‘আমি জানতাম একজন অতিথি আসবেন। তবে তিনি যে ওবামা হবেন তা জানতাম না।’ ওবামার চপস্টিক ব্যবহারের কায়দাকানুন দেখে রীতিমতো মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তিনি। এত নম্র এবং আলতোভাবে স্টিক ব্যবহার করে ওবামাকে খানা খেতে দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। ওবামার এই সফরের মধ্যদিয়ে সম্প্রতি দীর্ঘদিনের শত্রু থেকে বাণিক বন্ধুতে পরিণত হয়েছে রাষ্ট্র দুটি। দুষ্টলোকরা বলছে-৪ এমন পরিস্থিতিতে জনগণমন জয়ে ওবামাই শুধু ওবামার জুড়ি! তবে ডিনার শেষে চলে যাওয়ার সময় উৎসুক মানুষের সঙ্গে হাত মেলান ওবামা। ওবামার এই খাপছাড়া খামখেয়ালিপনা দূরদর্শী কূটনীতিরই একটা অংশ। আর সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আপাদত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শেষ। এবার শুরু বন্ধু বন্ধু মেলা। দক্ষিণ চীন সাগরে প্রভাব বিস্তারে ভিয়েতনামকে কতটা কাজে লাগাতে পারেন ওবামা- সেটাই এখন দেখার বিষয়। ওবামার এই ‘জনগণমন’ কূটনীতি কতটা সফল হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে হ্যাঁ, স্ট্রিট ডিনারের ভিডিওটা সেপ্টেম্বরে সম্প্রচার করা হবে বলে হোয়াইট হাউস প্রতিনিধির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.