মুস্তাফিজ যাবেন নাকি যাবেন না সাসেক্সে

অনেকদিন পর দেখা হল দুই ভাইয়ের। রোববার সকালে
কলকাতায় আদরের ছোট ভাই মুস্তাফিজুরের সঙ্গে বড়
ভাই মাহফুজার রহমান মিঠু -ওয়েবসাইট
মুস্তাফিজুর রহমানের অপেক্ষায় দিন গুনছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সাসেক্স। কিন্তু মুস্তাফিজকে ইংল্যান্ডে খেলতে পাঠানো হবে কিনা, এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইপিএল খেলে দেশে ফেরার পর বিসিবির ফিজিও দেখবেন মুস্তাফিজকে। ফিজিওর রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে ইংল্যান্ডে খেলার ব্যাপারে মুস্তাফিজুরের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।   কাল বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান যুগান্তরকে বলেন, ‘মুস্তাফিজুরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আইপিএল থেকে দেশে ফেরার পর ফিজিও তার ফিটনেস দেখবেন। এরপর কোচ জানাবেন তার ইংল্যান্ডে যাওয়া উচিত কিনা।’ তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে মুস্তাফিজকে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। ভালোটা হল, তার অভিজ্ঞতা হবে। মন্দ দিকটা হচ্ছে, তার অনেক ম্যাচ খেলা হচ্ছে। চাপ আরও বাড়বে। তবে ইংল্যান্ডে খেলার ব্যাপারে মুস্তাফিজুরের সিদ্ধান্তটাও গুরুত্বপূর্ণ। সে কী চায়, সেটাও জানা দরকার।’
আইপিএলের ফাইনাল রোববার। মুস্তাফিজুরের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফাইনালে উঠলে সোমবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার কারণে দেশে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন তিনি। এছাড়া ইংরেজি ও হিন্দি ভালোমতো বুঝতে না পারায় সবার সঙ্গে ঠিকমতো মিশতেও পারছেন না এই কাটার মাস্টার। গত রোববার কলকাতা নাইটরাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল হায়দরাবাদের। তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান মিঠু আদরের ছোট ভাইকে দেখতে গিয়েছিলেন কলকাতায়। হোটেলে দুই ভাই একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটান। ওইদিন ইডেন গার্ডেনে বসে ছোটভাইয়ের বোলিং দেখেছেন মাহফুজার। ম্যাচে ২২ রানে হেরে যায় মুস্তাফিজের দল। এদিকে মুস্তাফিজুরকে দেরিতে হলেও পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না সাসেক্সের অধিনায়ক লুক রাইট। কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকাকে রাইট বলেন, ‘ফিজ (মুস্তাফিজুর) অবশ্যই আসছে। আমরা শুধু নিশ্চিত করছি কয়টা ম্যাচ খেলবে সে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে ওর বয়স কম। দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির বাইরে আছে, এমন একটা পরিবেশে যেখানে সে ভাষাটা বুঝতে পারে না। অনেক ম্যাচ খেলেছে। এজন্য ওকে আমরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে চাই, যেন ওর কাছ থেকে সেরাটা পেতে পারি।’ ২০ বছর বয়সী এই পেসার আইপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েই টানা ১৪ ম্যাচ খেলেছেন। এর আগে বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার আইপিএলে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।

No comments

Powered by Blogger.