বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচনে অযোগ্য খোমেনির নাতি

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করতে
দেখা যায় হাসান খোমেনিকে (ডানে)। ছবি: এএফএপি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির নাতি হাসান খোমেনি ‘যোগ্যতার অভাবে’ আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ‘বিশেষজ্ঞ পরিষদের’ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। পর্যাপ্ত ধর্মীয় দক্ষতা না থাকার কথা উল্লেখ করে তাঁকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির সাংবিধানিক নজরদারি কর্তৃপক্ষ ‘অভিভাবক পর্ষদ’ (গার্ডিয়ান কাউন্সিল)। খবর এএফপির।
‘বিশেষজ্ঞ পরিষদের’ কাজ হলো ইরানের বর্তমান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষজ্ঞ পরিষদ’ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন হাসান খোমেনি (৪৩)। তিনি নির্বাচিত হলে আয়াতুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর এই প্রথম তাঁর পরিবারের কেউ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ পর্যায়ে স্থান পেতেন। মঙ্গলবার হাসানের ছেলে আহমেদ তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘বিভিন্ন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমর্থন থাকার পরও’ তাঁর বাবাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ৮৮ সদস্যের ‘বিশেষজ্ঞ পরিষদ’ ও ২৯০ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ জনগণের ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হবেন।
পরিষদের প্রার্থী হতে হলে প্রথমে তাঁদের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে পাস হয়ে আসতে হয়। এরই মধ্যে ৮০০ জন প্রার্থী গার্ডিয়ান কাউন্সিলে আবেদন করেছেন।
সেন্ট্রাল ইলেকশনস সুপারভাইজিং কমিটির মুখপাত্র সিয়ামাক রাহ-পেক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বাদ পরা ব্যক্তিরা আগামী শনিবার পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ পরিষদ নির্বাচনের জন্য ১৬৬জন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। ১১১জন অনুমোদন পাননি, ২০৭ জনকে অযোগ্য ও ৫৮জন নিজেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সঙ্গে হাসান খোমেনি সুসম্পর্ক থাকায় তাঁর প্রার্থিতা বিতর্কের মুখে পড়তে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কেননা গার্ডিয়ান কাউন্সিল রক্ষণশীলদের দ্বারা প্রভাবিত।
চলতি মাসের ৫ তারিখ গার্ডিয়ান কাউন্সিলের এক সদস্য বলেছিলেন, হাসান খোমেনি বাদ পড়তে পারেন। কেননা তিনি গার্ডিয়ান কা​​উন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নেননি।
তবে হাসান খোমেনির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তাঁর কাছে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো চিঠি বা খুদে বার্তা আসেনি। পরীক্ষার সময় তিনি ধর্মশাস্ত্র বিষয়ে এক জায়গায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.