পুলিশী নির্যাতনের বিচার চেয়ে গভর্নরের চিঠি

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনকারী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপি একেএম শহীদুল হককে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
আজ বুধবার এ চিঠি দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান। এদিকে নির্যাতনের পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রাব্বী কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে গোলাম রাব্বী মোহাম্মদপুরে খালার বাসা থেকে কল্যাণপুর নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তার শার্টের কলার ধরে বলেন, তোর কাছে ইয়াবা আছে। তিনি অস্বীকার করলে ওই পুলিশ তাকে ধরে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারের কাছে নিয়ে যান। এসআই মাসুদও তাকে বলেন, তার কাছে ইয়াবা আছে। তিনি আবার অস্বীকার করলে এসআই মাসুদসহ পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি নিজের পরিচয় দেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। একপর্যায়ে তাকে জোর করে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। সেখানে তাকে মারধরও করা হয়। থানায় নেয়ার পর তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে বেরিবাধে ফেলে রাখার হুমকি দেয়া হয়। নির্যাতনের পর শেষ রাতে তাকে ছেড়ে দেয় এসআই মাসুদ।
পরের দিন রোববার পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন গোলাম রাব্বী।
এ ঘটনায় সারাদেশের গণমাধ্যম এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। পরে গত সোমবার চাঁদা না দেয়ায় রাব্বীকে তল্লাশির নামে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে এসআই মাসুদকে প্রত্যাহার করে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের এসি হাফিজ আল ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।

No comments

Powered by Blogger.