হাজিদের নিরাপত্তায় মিনার সড়ক চওড়া করার সুপারিশ

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের কাছের ও মিনার সড়কগুলো আরও চওড়া করার সুপারিশ করেছে দেশটির শুরা কাউন্সিল। গত বছর পবিত্র হজ পালনকালে মিনায় পদপিষ্ট হয়ে প্রায় দুই হাজার হাজির মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষাপটে হাজিদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর চেষ্টায় এ সুপারিশ করা হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
গত বছরের ওই দুর্ঘটনার জন্য হাজিরা মিনার কিছু সড়ক আটকে দেওয়া ও অপর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাকে দায়ী করেছিলেন। তবে সৌদি কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করে বলেছেন, হাজিরা নির্দেশনা না মানাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
সৌদি মন্ত্রিসভাকে পরামর্শদানকারী শুরা কাউন্সিল গত সোমবার বলেছে, হজ মন্ত্রণালয় ও হজ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার উচিত মিনা এবং মক্কাসহ অন্য পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে হাজিদের চলাচল বা পরিবহনব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা।
সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেছে, শুরা কাউন্সিল জামারাতের স্থান (শয়তানের উদ্দেশে কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান) অভিমুখী সড়ক চওড়া করতে ও মিনায় হাজিদের থাকার স্থানগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছে।
প্রত্যেক হাজির জন্য বর্তমানে যতটুকু স্থান বরাদ্দ রয়েছে তা ও সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা বাড়ানো এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ও পর্যালোচনা করতে বলেছে এ কাউন্সিল।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মিনা দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফ। তিনি সৌদি হজ কমিটিরও প্রধান। তবে ওই তদন্তের ফলাফল এখনো অজানা।
বিদেশি কর্মকর্তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিনা দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজার ২৯৭ জন হাজি নিহত হন। যদিও সৌদি সরকার এ সংখ্যা ৭৬৯ জন বলে জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সৌদি সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার ঝড় ওঠে; বিশেষত তীব্র ক্ষোভ জানায় ইরান। তেহরানের হিসাবে, দুর্ঘটনায় কেবল তাদেরই ৪৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবছর পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদি আরবে সমবেত হন। গত বছর মিনার এ দুর্ঘটনা ছাড়াও হজ শুরুর মাত্র কয়েক দিন আগে পবিত্র হারাম শরিফে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি ক্রেন ভেঙে হাজিসহ ১০৯ জন প্রাণ হারান।

No comments

Powered by Blogger.