বোকো হারাম নিয়ে যা বলল ইউনিসেফ

বোকো হারামের কারণে ১০ লাখেরও বেশি শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। এর ফলে শিক্ষার অভাবে নাইজেরিয়া ও এর চারপাশে জঙ্গিবাদ আরো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।
ইউনিসেফ জানায়, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, শাদ ও নাইজারে দুই হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বোকো হারাম জিহাদিরা একটি স্বাধীন ইসলামিক স্টেট কায়েমের লক্ষ্যে আরো কয়েক শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালায় বা আগুন ধরিয়ে দেয়।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু বুহারি তার সামরিক কমান্ডারদের বোকো হারামের সহিংসতা দমনে এ মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে বিজয় অর্জিত হলেও শিশুরা স্কুলে যেতে না পারায় শিক্ষা ক্ষেত্রে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে এতে সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে যা তার সরকারকে মোকাবেলা করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
ইউনিসেফের পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক ম্যানুয়েল ফন্টেইন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে তাদেরকে স্কুলে যেতে দেয়া না হলে তাদের নির্যাতন, অপহরণ ও সশস্ত্র গ্রুপে কাজে লাগানোর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাচ্ছে।’
বোকো হারামের যোদ্ধারা ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় চিবোক শহরের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ২৭৬ অল্পবয়সী মেয়েকে আটক করে। এরা বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ অপহরণের ঘটনায় সারা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়ে।
২০০৯ সালে নাইজেরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই বোকো হারাম বিভিন্ন স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বোকো হারামের অর্থ পশ্চিমা শিক্ষা নিষিদ্ধ।
মডার্ন সিকিউরিটি কনসালটিং গ্রুপের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ইয়ান সেন্ট পিয়েরে বলেন, বোকো হারামকে নির্মূল করা হলেও এ অঞ্চলে শিক্ষাখাতে যে ইতোমধ্যে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা আর পূরণ করা সম্ভব না।

No comments

Powered by Blogger.