অস্ট্রেলিয়ার সরকারি স্টাফদের পরিবারকে দেশে ফেরার পরামর্শ

বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার সরকারি স্টাফদের পরিবারকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসাথে অস্ট্রেলিয়ার অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর স্বেচ্ছাসেবকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন আইএসের দায় স্বীকারের খবরের মধ্যে আজ শুক্রবার এদেশে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্য হলনাগাদ করা সতর্কবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। সর্বশেষ বগুড়ায় শিবগঞ্জের হরিপুরে একটি শিয়া মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে খবর প্রকাশের পর এই সতর্কতা হালনাগাদ করা হল।
তবে বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতার মাত্রায় পরিবর্তন না এনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্য দেয়া বার্তায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরে দুটি টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তা স্থগিত করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। তারপর বিদেশীদের ওপর আক্রমণসহ বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর জন্য আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় কিচক ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আল মোস্তফা মসজিদে অজ্ঞাত তিন বন্দুকধারী হামলা চালায়। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।
মসজিদে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ব্রিটিশ হাইকমিশনার : বগুড়ার কাছে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের ওপর আক্রমণে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন।
আজ দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্ম চর্চার সময় এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না। ঘটনায় হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ধারাবাহিক সহিংস চরমপন্থার ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি সর্বশেষ। প্যারিস, মালি ও বৈরুতে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে কোনো দেশই এ ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষিত নয় এবং আসন্ন হুমকী মোকাবেলা ও সহিংস চরমপন্থার মূল কারণ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.