অস্বস্তি বাড়ছে সরকারে by মাসুদ করিম ও সৈয়দ আতিক

সন্দেহভাজন এই লোকটিকেই খুঁজছে আইনশৃংখলা বাহিনী
(১নং ছবিতে পেছন ও ২নং ছবিতে সামনে থেকে)।
মোটরসাইকেলে অপেক্ষায় খুনিদের বহনকারী এক সহযোগী
এবং তার পেছনে এসে বসে এক খুনি (৩নং ও ৪নং ছবি)।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবিতে গোল চিহ্নিত
বিদেশীদের নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিদেশীরা জঙ্গি হামলার টার্গেট বলে আশংকা ব্যক্ত করেছে প্রভাবশালী একাধিক দেশ। দেশগুলো দাবি করছে, তাদের কাছে হুমকির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট খবর আছে। কিন্তু তারা সরকারকে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই দিচ্ছে না। সোমবার রাতে গুলশানে ইতালির নাগরিক খুন হওয়ার পর থেকে প্রভাবশালী দেশগুলো দূতাবাস ও মিশন থেকে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের আশংকার কথা প্রচার করছে। জঙ্গি সংগঠন আইএস সোমবার রাতেই দাবি করে তারাই সিজারি তাভেল্লাকে খুন করেছে। এদিকে মার্কিন দূতাবাস মঙ্গলবার ঐচ্ছিক ছুটি ছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমেরিকান ক্লাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর আশংকাই সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইতালির নাগরিক খুনের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশী নাগরিক ও তাদের স্বার্থের ওপর জঙ্গি হামলা বিষয়ে কোনো হুমকি ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। সম্প্রতি জঙ্গি হামলার আশংকায় বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল তাদের সফর স্থগিত করে। তাদের কাছ থেকে এ ধরনের হামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কিছু জানতে পেরেছে কিনা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কিছুই জানাতে চায়নি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, কোনো দেশ যদি জেনে থাকে অন্য একটি দেশে হামলা হতে পারে তখন সে দেশের উচিত হুমকিতে থাকা দেশকে তা জানানো। কারণ, বিশ্বায়নের সুযোগে জঙ্গিদের সক্রিয়ভাবে দমন করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ইতালিতে আইএসের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্য দেশে যেভাবে আইএস সক্রিয় ইতালির ক্ষেত্রে তেমনটা এখনও দেখা যায়নি।
তিনি বলেন- আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট রাজনীতির সঙ্গে নতুন করে জঙ্গি নিয়ে শংকা তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এর সুবিধা নেয়ার সুযোগ খুঁজছে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে প্রচারিত হল নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী প্রতিনিধি আসতে ভয় পাবে, শংকা তৈরি হবে। আর এর সঙ্গে ইতালিয়ান নাগরিক খুনের ঘটনা যোগ করে সেই শংকাকে ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব এখনও পাইনি। তবে তাদের কিছু সমর্থক আছে- যেমন নিষিদ্ধ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও হিজবুত তাহরির সেই ধাঁচের। জেনারেল রশীদ বলেন, পাকিস্তান বা আমেরিকায় যেভাবে জঙ্গিরা হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে এ ধরনের হামলার মতো জঙ্গিদের শক্তি-সামর্থ্য নেই। কারণ, আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক এবং জঙ্গিদের দমনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও বলেন, আইএস এখন সর্বত্র আতংক ছড়াচ্ছে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশসহ ১০১টি দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামী স্টেট রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, ইতালীয় নাগরিককে হত্যা প্রসঙ্গে আইএসের স্বীকারোক্তির কথাটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আইএসের নামে এ স্বীকারোক্তিটির কথা যদি আমরা ধরি সেটা তাদের একটি শাখা হতে পারে। তারা যদি ধরা পড়ে তা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, এটা আইএসেরই একটা অংশ কিনা। যদি আইএসের অংশ হয় তাহলে সেটা বাংলাদেশের জন্য বড় ভয়ের কারণ আছে। এখানে প্রশ্ন উঠবে যে, তাহলে আমরা বিগত সময় জঙ্গি দমনে কি করলাম। আইএস কর্তৃক এ হত্যাকাণ্ড হলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের সিকিউরিটি ব্যর্থতা আছে। আর এটা যদি সত্য হলে বুঝতে হবে সরকারের ব্যর্থতা আছে।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে জঙ্গিরা হামলা করতে পারে বলে শুক্রবার আশংকা প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দফতর। এরপরই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আসে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দল। তারা ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনশৃংখলা বাহিনী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। প্রতিনিধি দলটি এ বিষয়ে তাদের মত জানাবে এমন ধারণা করা হচ্ছিল। ঠিক এমন সময় ইতালির সাহায্যকর্মী সিজারি তাভেল্লা খুন হন। এরপর দলটি কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়েই বাংলাদেশ ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, অস্ট্রেলিয়া তাদের আগের অবস্থানে স্থির আছে। ‘ফক্স স্পোর্টস’ জানিয়েছে, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার গুলশানের কূটনৈতিকপাড়ায় সিজারি তাভেল্লা নামে ইতালির এক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। ফলে আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে আসন্ন সিরিজটি। দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলার আশংকা করা হয়। ফলে শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যেতে পারে।
এদিকে ইতালির এই সাহায্যকর্মী নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্য বলেছে, বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থে হামলা হতে পারে। এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের হাতে আছে। ইতালির নাগরিক হত্যার ঘটনায় কূটনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় বইছে। ইইউ ও যুক্তরাজ্য এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশ বাংলাদেশে তাদের দেশের নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, ঢাকায় ইতালির নাগরিককে হত্যার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তবে তিনি এ ঘটনায় আইএস জড়িত থাকার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আইএসের হত্যার ধরন এমন নয়। তারা প্রথমে অপহরণ করে, মুক্তিপণ চায় এবং তারপর হত্যা করে কিংবা ছেড়ে দেয়। কিন্তু আইএস বাংলাদেশে এমনটা করতে যাবে কেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতালির নাগরিককে কেন হত্যা করা হয়েছে তার একটা স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এই হত্যার ঘটনা জঙ্গি হামলা কিনা সেটা জানি না। তবে এ ঘটনার প্রভাব বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এখন অনেক প্রভাবশালী দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে’।
বাংলাদেশে জঙ্গি ভাবমূর্তির ব্যাপারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্যকে দায়ী করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সারাক্ষণ জঙ্গি জঙ্গি করছে। বিদেশী দূতাবাসগুলো এ বিষয়ে নোট নিচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল আর আসবে না। ক্রিকেট দলের সফরের সিদ্ধান্ত ক্রিকেট দল নিজেরা নেয় না। সরকারের পররাষ্ট্র দফতর থেকে নেয়া হয়’।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আরও বলেন, ‘অনেকে বলেন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা মুখে বললে হবে না। সেই ষড়যন্ত্রেরও একটা প্রমাণ থাকতে হবে। সব ঘটনাকে রাজনৈতিক কালার দেয়াও সমীচীন নয়’। তিনি এ ঘটনা তদন্তে ইতালির গোয়েন্দা সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ‘গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির একজন নাগরিক খুন হয়েছেন। এ বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর অবগত আছে। আমরা নিহতের পরিবারবর্গ, বন্ধুবান্ধব ও ইতালির প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। মার্কিন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছে। এই তথ্য মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলা এবং বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত হুমকির বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মধ্যে আছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উগ্রবাদবিরোধী লড়াইয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।’ ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাস ইতালির নাগরিক খুনের নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।
ইতালির নাগরিক সিজারি তেভেল্লা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়াডোন। মঙ্গলবার ঢাকায় ইইউ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিওতে কর্মরত ইতালীয় সাহায্য কর্মী সিজারি তেভেল্লার বর্বর হত্যাকাণ্ডে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াডোন হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি অপরাধীদের বিচার করারও দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সিজারি তাভেল্লা হতদরিদ্র মানুষদের সহায়তা করতে এসেছিলেন। তার ওপর এই অপরাধ ঘটনাকে আরও অনেক বেশি ভয়াবহ করেছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতালীয় সাহায্য কর্মী সিজারি তেভেল্লাকে সহিংস হত্যাকাণ্ডে তিনি ক্ষুব্ধ। এটা হল একজন সাহায্য কর্মী যিনি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সবচেয়ে দুস্থ অংশের জন্য কাজ করছিলেন তার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর এবং কাপুরোষিত অপরাধ। তিনি তেভেল্লার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
অস্ট্রেলিয়া ও পশ্চিমা স্বার্থে হামলার আশঙ্কার মাধ্যমে নিরাপত্তা হুমকির পর বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তার আপডেটে বলা হয়, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রসহ অপরাপর বিদেশীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন সতর্কতায় বলা হয়, সন্ত্রাসী গ্রুপ দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনা, নাগরিক কিংবা স্বার্থের ওপর হামলা করতে পারে। এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের সব কর্মকর্তাকে বড় ধরনের জনসমাগমস্থলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া বিদেশীরা অবাধে চলাচল করে যেমন- হোটেল, রেস্তোরাঁ এমন স্থানে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে দ্য আমেরিকান অ্যাম্বাসি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (এইইএ) ব্যবস্থাপনা বিভাগ মঙ্গলবার সকালে ক্লাবের সদস্যদের প্রতি সতর্কতামূলক একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। আমেরিকান দূতাবাসের পাঠানো ই-মেইলে বলা হয়েছে, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমেরিকান ক্লাব বন্ধ থাকবে।
কানাডার সতর্কতা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের হুমকি এবং ভঙ্গুর রাজনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তাদের দেশের নাগরিকদের সতর্ক হয়ে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আশংকা ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক ও বাণিজ্য দফতর। এই দফতর বলেছে, ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য মোতাবেক, জঙ্গিরা বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছে।’ এই তথ্য পাওয়ার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আগমন বিলম্বিত করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.