পশ্চিমবঙ্গে ৩,০০০ গাছ পরিচয়পত্র পেলো

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার কন্যাগর পৌরসভার গাছগুলো এবার তাদের পরিচয় পেলো। বিশ্বে যখন জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় নিয়ে নানা পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ ভারতে এটাই প্রথম। হুগলি জেলার কন্যাগরে বায়ুম-ল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডকে টেনে নিয়ে বা শোষণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারে, এমন ২৮টি প্রজাতির গাছকে শনাক্ত করা হয়েছিল। এরপর ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিলো কর্তৃপক্ষ। এ প্রজাতিগুলোর প্রায় ৩,০০০ গাছের জন্য পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। ওই পরিচয়পত্রে গাছগুলোর সাধারণ নাম, বৈজ্ঞানিক নাম, ভৌগোলিক অবস্থান এবং গাছগুলো কি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারে, সে পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এ উদ্যোগ সবুজ বাসযোগ্য পৃথিবীর তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে সাহায্যক করবে। মানুষ আরও সচেতন হবে। কন্যাগর পৌরসভার চেয়ারম্যা বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, গাছগুলোর সঙ্গে তাদের পরিচয়পত্রগুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে শিশুরা প্রতিটি প্রজাতির গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা পাবে। যতোগুলোতে সম্ভব, আমরা ততোগুলো গাছে এভাবে পরিচয়পত্র লাগিয়ে দেবো। বিজ্ঞানী অভিজিত মিত্র প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছেন। এ প্রকল্পটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে অন্য প্রজাতির গাছগুলোকেও শনাক্ত করা হবে। বাপ্পাদিত্য বলছিলেন, এ অঞ্চলে সাধারণভাবে নিম, কৃষ্ণচূড়া, পিপুল জাতীয় গাছ বেশি দেখা যায়। তিনি জানান, ভারতে এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ এটি। চেয়ারম্যান আরও জানান, এ প্রজাতির গাছগুলোর ওপর একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে এবং অচিরেই এটি অনলাইনে আপলোড করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.