গণপিটুনিতে নিহতেরা তালিকাভুক্ত ডাকাত: পুলিশ

নরসিংদীর মনোহরদীতে গণপিটুনিতে আহত
আমিনুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ছবিটি
মনোহরদী থানা থেকে তোলা। ছবি: মনিরুজ্জামান
নরসিংদীর মনোহরদীতে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ফারুক মিয়া (২৬) ও আমজাদ হোসেন (২৮)। পুলিশ বলছে, তাঁরা তালিকাভুক্ত ডাকাত। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ফারুক মিয়ার বাড়ি মনোহরদীর গোতাশিয়া ইউনিয়নের নামাগোতাশিয়া গ্রামে। আমজাদের বাড়ি শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর এলাকায়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের ভাষ্য, হতাহত সবাই পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত। গণপিটুনিতে আহত আমিনুল নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিহত আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শিবপুর থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। নিহত ফারুকের বিরুদ্ধে মনোহরদী ও বেলাব থানায় ডাকাতির অভিযোগে মামলা রয়েছে। ডাকাতির অভিযোগে পালিয়ে যাওয়া রাজ্জাক ও মোশারফের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গণপিটুনিতে আহত আমিনুলের তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুকুন্দী-মনোহরদী সড়কের সুতারলরিকান্দা এলাকায় গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ফারুক মিয়া, আমজাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, রাজ্জাক মিয়া ও মোশারফ হোসেন নামের পাঁচজন যুবক আসেন। সেখানে তাঁরা সড়কের মাঝখানে গাছ ফেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকান। পরে চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে নেয়। আশপাশের লোকজন এ সময় তাঁদের ঘিরে ফেলে। রাজ্জাক মিয়া ও মোশাররফ পালিয়ে যান। ফারুক, আমজাদ ও আমিনুলকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ফারুক ও আমজাদ মারা যান। আমিনুল এখন মনোহরদী থানায় রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.