নাশিদকে ‘রাজনীতি থেকে তাড়াতে’ মালদ্বীপে আইন

কেউ আদালতে সাজা পেলেই রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ হারাবেন এমন একটি আইন পাস করেছে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট। সাবেক প্রেসিডেন্ট কারাবন্দী মোহাম্মদ নাশিদকে রাজনীতি থেকে তাড়ানোই এই আইন পাসের উদ্দেশ্য বলে সমালোচকদের অভিযোগ। খবর এপি ও আল-জাজিরার।
৮৫ আসনের পার্লামেন্টে সোমবার রাতে আইনটি ৪২-২ ভোটে পাস হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদের দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা এ আইনের বিরোধিতা করেন। তাঁরা আইনটির ওপর ভোটাভুটিতেও অংশ নেননি।
পার্লামেন্টে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের দল প্রোগ্রেসিভ পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে তিনি বিরোধীদের দমন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নতুন আরেকটি বিলও বিবেচনা করছে। সেটি পাস হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাশিদের ভাতা এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যাবে।
এক মামলায় চলতি মাসেই ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয় মোহাম্মদ নাশিদের। ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১২ সালে একজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়ার অভিযোগে ওই মামলা হয়েছিল। নাশিদের সমর্থকদের ভাষ্য, আগামী ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাতে তিনি অংশ নিতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই ওই অভিযোগ আনা হয়েছিল।
মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক ইভান আবদুল্লাহ বলেন, তাঁদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নতুন আইনটি তাঁদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বর্তমানে কারাবন্দী নাশিদই দলটির নেতা হিসেবে থাকবেন।
২০০৮ সালে ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন মোহাম্মদ নাশিদ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মামুন আবদুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের কঠোর শাসনের অবসান ঘটে।

No comments

Powered by Blogger.