মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে মারা নেপথ্যে বিয়েতে রাজি না হওয়া! by শামীম সুমন

সন্ত্রাসীদের ছোড়া পেট্রোল ও আগুনে পুড়ে মা এবং তিন মেয়েসহ চারজন মারা গেছেন। সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া গ্রামে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা হচ্ছেন মালেশিয়া প্রবাসী মজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০), তার কন্যা নবম শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা (১৫), বাক প্রতিবন্ধি মেয়ে মীম (১১) শিশুকন্যা মলি (৪)। 
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মূলহোতা জাহাঙ্গীরের চাচী নাসিমা বেগম (৫০) এবং পেট্রোল কন্টেইনার বহনকারী রিকসাচালক মোহাম্মদ আলীকে (৩৪) পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। একই পরিবারের চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শত শত লোকজন বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। 
মৃত নাসিমা বেগমের পিতা আলাল উদ্দিন (৫৬) অভিযোগ করেন, সোহাগপাড়া গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে নাতনী মনিরার বিয়ে নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল । তার কথামতো বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার রাতে নাসিমা তিন মেয়ে নিয়ে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগিরা মিলে নাসিমার ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে পুড়ে মা ও তিন মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।  
এ দিকে ঘটনার পর পরই  সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার আবু সালেহ মোহাম্মদ তানবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। মূলহোতা জাহাঙ্গীর পলাতক। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

No comments

Powered by Blogger.