পর্নো ছবিতে অভিনয়ের চাপ স্বামীকে খুন করেছেন তামিল অভিনেত্রী

পর্নো ছবিতে কাজ করতে চাপ দেয়ায় নিজের ব্যবসায়ী স্বামীকে খুন করেছেন এক তামিল অভিনেত্রী। এমনটাই ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু তামিল ও কন্নড় ছবিতে কাজ করা শ্রুতি চন্দ্রলেখা নামের ওই অভিনেত্রী ও তার দুই সন্দেহভাজন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, শ্রুতি আরও দু’জন মিলে খুন করেছেন এস রোনাল্ড পিটার প্রিঞ্জোকে। এরপর তার লাশ আরও ৫ জনের সহযোগিতায় অন্য এক জায়গায় সমাহিত করা হয়। শ্রুতি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসায় বিশাল আর্থিক ক্ষতি হওয়ায়, প্রিঞ্জো পর্নো ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সেখানে অভিনয় করার জন্য শ্রুতিকে ক্রমাগত চাপ দেয়। শ্রুতি আরও বলেন, পর্নো দাবিতে গ্রুপ সেক্সে অভিনয় করতে তাকে চাপ দিতে থাকে প্রিঞ্জো। কিন্তু তিনি তা করতে রাজি হননি। তদন্তকারীদের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন, এ কারণে প্রিঞ্জোকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেন তিনি। এ হত্যায় প্রিঞ্জোর সাবেক দুই ব্যবসায়িক সহযোগী উমাচন্দ্রন ও প্রিনসনের সহযোগিতাও গ্রহণ করেন শ্রুতি। এ দু’জন মনে করতেন, প্রিঞ্জো তাদের প্রতারিত করেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রুতির। তার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেলে তিনি প্রিঞ্জোকে বিয়ে করেন। ঠিক সে সময় উমাচন্দ্রন ও প্রিনসনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে বিকিকিনির একটি অনলাইন দোকান খোলেন প্রিঞ্জো। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হয়। এরপর তার কাছ থেকে নিজেদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চান উমাচন্দ্রন ও প্রিনসন। কিন্তু প্রিঞ্জো কোন টাকা দিতে অস্বীকার করে বেঙ্গালুরু গিয়ে আরেকটি ব্যবসা খোলেন। তাই তারা প্রিঞ্জোর ওপর প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ হয়ে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন তারা দু’জন। বাগে পেয়ে যান প্রিঞ্জোর স্ত্রী শ্রুতিকে। এরপর শ্রুতি তার স্বামীর খাবারে বিষ মেশান। তারপর উমাচন্দ্রন ও প্রিনসনসহ আরও কয়েকজন গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রিঞ্জোকে। হত্যা করার পর লাশ গাড়িতে করে আসিরভাথা নগরে নিয়ে মাটিচাপা দেয়া হয়। নিজেদের মধ্যে ৭৫ লাখ টাকা সমমূল্যের জিনিসপত্র ভাগ-বাটোয়ারাও করে নেয় তারা। ঘটনার ১৫ দিন পর শ্রুতি পুলিশের নিকট নিজের স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে প্রিঞ্জোর ভাই জাস্টিনও স্থানীয় পুলিশের কাছে একই রকম অভিযোগ করেন। জাস্টিন একদিন দেখতে পান, তার ভাই প্রিঞ্জোর গাড়ি ব্যবহার করছে প্রিনসন। প্রিনসন ও প্রিঞ্জোর মধ্যকার বিরোধের কথা জানতেন জাস্টিন। তাই দ্রুত পুলিশকে সতর্ক করে দেন তিনি। পুলিশ প্রিনসন ও তার বন্ধুদের ১০ই মে গ্রেপ্তার করে। ২ দিন পর খোঁজ পাওয়া যায় প্রিঞ্জোর মৃতদেহ। কিছুদিন আগে শ্রুতিকে বেঙ্গালুরু থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশের বিশেষ বিভাগ। তবে উমাচন্দ্রন এবং তার সহযোগী এলিসা ও বিনোদ নির্মলকে খুঁজছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.