আমাকে শিক্ষিত হতে হবে: মালালা

মালালা ইউসুফজাই
‘আমি লেখাপড়াটা শেষ করতে চাই। চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে। নিজের সক্ষমতা বাড়াতেই আমাকে শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষাই হাতিয়ার।’ কথাগুলো মালালা ইউসুফজাইয়ের। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বসবাসরত পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের এই অদম্য কর্মী সম্প্রতি অবজারভার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলে। এতে নিজের লেখাপড়া, ভবিষ্যৎ ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে সে। ২০১২ সালের অক্টোবরে দেশে তালেবান হামলায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যে থাকছে মালালা। সেখানে সে মানবিক বিভাগে মাধ্যমিকে পড়ছে। দূর প্রবাসে ছোটবেলার সঙ্গীদের কথা মালালার খুব মনে পড়ে। স্কাইপে কথা বলে অনেকের সঙ্গে। তার বন্ধু মেয়েদের বেশির ভাগেরই বিয়ে হয়ে গেছে। মালালার কথা, ‘আমি ওদের বলি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে। সমস্যা হচ্ছে, বিয়ে হওয়া বান্ধবীদের স্বামীর পরিবার ওদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়,
কিন্তু পরে আর কথা রাখে না।’ পশ্চিমা সংস্কৃতির অনেক কিছুই এখনো সহজভাবে নিতে পারে না মালালা। সে বলে, ‘এখানে নারীকে যেভাবে তুলে ধরা হয়, তাতে আমি কিছুটা বিরক্ত; বিশেষ করে যখন পপ গান শুনি। গানের সব কথা বুঝতে পারি না সব সময়। কিন্তু কেউ যখন আমাকে গানের অর্থ বুঝিয়ে দেয়, তখন মনে হয়, এতে কী আছে? অনেক গানে নারীদের স্রেফ বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।’ রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মালালার বক্তব্য, এখন প্রতিটি দেশেই তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি করাকে সময়ের অপচয় বলে মনে করে। তবে দেশে যদি মানবাধিকারবিরোধী আইন হয়, তবে এর বিরুদ্ধে তরুণেরা কথা বলবেই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা মালালার। তার কাছে পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো একজন হিরো। তবে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে সে আগ্রহী, সেই পাকিস্তানে যেতে মালালা কি ভয় পায়? মালালা বলে, ‘আমি এখনই যেতে পারি। একদিন আমাদের সবাইকে মরতে হবে। মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না।’

No comments

Powered by Blogger.