ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর অনুমতি রুশ পার্লামেন্টের

ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক অনুরোধ অনুমোদন করেছে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ। ক্রিমিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ওই অঞ্চলের নতুন প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসিওনভের সাহায্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন চান রুশ পুতিন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, এর অর্থ এই নয় যে ইউক্রেনে রুশ সেনা মোতায়েন আসন্ন। আর পুতিনের এ অতি আগ্রহকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ক্রিমিয়ায় ছয় হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইগোর তেনইয়ুখ অভিযোগ করে বলেন, ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত উপদ্বীপ ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার ছয় হাজার সেনা ও ৩০টি সাঁজোয়া যান প্রবেশ করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল দেশটির পার্লামেন্টে জানান, ইউক্রেনের সম্মতি ছাড়াই বা সতর্কতা জারি না করেই শুক্রবার থেকে সেনা পাঠাতে শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সহযোগিতা চাইলেন ক্রিমিয়ার নেতা: ক্রিমিয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বলে এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন ওই অঞ্চলের মস্কোপন্থী নতুন প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসিওনভ। তাঁর ওই অনুরোধে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিয়ে মস্কোও জানিয়ে দিয়েছে, এ অনুরোধ ‘পাশ কাটিয়ে’ যাবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এদিকে রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে,
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালে মস্কোকে এর মূল্য দিতে হবে। আর ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রুশ সাঁজোয়া যান ইউক্রেনের শহরগুলোতে চক্কর দেবে, এমনটি বরদাশত করা হবে না। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে সের্গেই আকসিওনভ বলেন, ‘আমি পুতিনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, ক্রিমিয়ার শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিন।’ আকসিওনভ গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু কিয়েভের অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাঁকে অনুমোদন দেয়নি। গত শুক্রবার ইউক্রেন অভিযোগ করেছিল, রাশিয়ার বাহিনী ক্রিমিয়ার দুটি বিমানবন্দর দখলে নিয়েছিল। এরপর ওই দিনই হোয়াইট হাউসে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালানো হলে মস্কোকে এর মূল্য দিতে হবে। মস্কোর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবামা আরও বলেন, ইউক্রেনে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন চালানো হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইউক্রেন সরকারের অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌঘাঁটি থেকে ক্রিমিয়ায় শত শত সেনা চলাচল করছে। ওই সেনারা মস্কোপন্থী মিলিশিয়াদের সহযোগিতা দিচ্ছে। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.