ভারতরত্ন টেন্ডুলকার

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ তুলে দিলেন শচীন টেন্ডুলকারের হাতে। ভারতের বিশিস্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক সিএনআর রাওকেও ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে সম্মানিত করা হল। শচীনের বাবা ছেলের নাম রেখেছিলেন বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী শচীন দেব বর্মণের নামে। স্বভাবতই শচীনের সম্মানপ্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত বাঙালিরাও। শচীন যখন পুরস্কার নিচ্ছেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের দর্শকাসনে তখন স্ত্রী অঞ্জলি, মেয়ে সারা। শচীনের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে করতালি। পরনে কালো স্যুট। প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘ভারতরত্ন’ শচীন। সর্বকনিষ্ঠও।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী। শচীন ২০০৮ সালে সে সময়ের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সঙ্গে পদ্মবিভূষণ উপাধিতে সম্মানিত হয়েছিলেন। এদিন তিনি সেই প্রণব বাবুর হাত থেকেই সম্মান নিলেন। ভারতরত্ন পুরস্কার একটি স্বর্ণপদক ও মানপত্র। এই পদকটি কলকাতার টাকশালে তেরি করা হয়। ২০০০ সালে শচীন যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যান, তখনই এই পদক তৈরি করা হয়েছিল। পদকটি তৈরি করতে দুই লাখ রুপি খরচ হয়। স্বর্ণপদকটির মধ্যে হিন্দিতে ‘ভারতরত্ন’ শব্দগুলো খোদিত রয়েছে। পুরস্কার দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি শচীনকে বলেন, ‘আপনাকে পুরস্কৃত করায় গোটা দেশ আনন্দিত। আপনার আরও সাফল্য কামনা করি।’ পরে শচীন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি ২২ গজে ব্যাট করা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু ভারতের জন্য ব্যাট করেই যাব। সারা জীবন যে সম্মান, সহযোগিতা পেয়ে এসেছি তার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ শচীন আরও বলেন, ‘আমার এই পুরস্কার আমার মা এবং ভারতের সব মায়ের জন্য উৎসর্গ করছি। যারা নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পুত্র-কন্যার জন্য জীবন নিবেদিত করেন।’

No comments

Powered by Blogger.