সহজিয়া কড়চা- ভবের নাট্যশালায় নেতা চেনা দায় by সৈয়দ আবুল মকসুদ

প্রাজ্ঞ লোককবি গেয়েছেন, ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়। বাংলাদেশটা ভবের বাইরে নয়; তবু বাংলার মাটিতে মানুষ চেনা সোজা।

এই ভবের সব জায়গায় গণতন্ত্র নেই। কোনো কোনো জায়গায় গণতন্ত্র এই আছে তো এই নেই। থাকলেও কী রকম আছে, তা বিধাতার পক্ষেও বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। বিশেষ করে তাঁর পক্ষে না বোঝার কারণ তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে অতি ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশের সংবিধানটি পাঠ করেননি। কিন্তু বাংলাভাষী যাঁরা ওই বইটি পড়েছেন, তাঁরা জানেন, ওতে যেসব শ্লোক লেখা আছে, তার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো সম্পর্কই নেই। বাংলাদেশিরা জাতীয় কবির প্রতি প্রবল শ্রদ্ধাবশত তা-ই করে যখন যা চাহে মন। সংবিধান, আইন-কানুন, প্রচলিত রীতিনীতি— কোনো কিছুই বঙ্গসন্তানদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
ঐতিহাসিক রানা প্লাজার স্তম্ভ নাড়াচাড়ার কিছুকাল পরেই আমরা শুনলাম, বাংলাদেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে ‘গণতন্ত্রের সূত্র’মতো। আমরা বীজগণিত আর জ্যামিতির সূত্রের কথা জানতাম, এবার জানলাম গণতন্ত্রের সূত্র। শুধু যদি গণতন্ত্রের সূত্রমতো নির্বাচন হতো, তাহলেও কথা ছিল না। বলা হলো ‘নিয়মরক্ষার নির্বাচন’। গণতন্ত্রের সূত্র নিয়ে মাথা ঘামায় না, এমন সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের আগে যেসব বিষয় ও উপকরণের কথা শোনা যায়, তা হলো সভা-সমাবেশ, বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযান, লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ভোটকেন্দ্রে ভোটের বাক্স প্রভৃতি। আমাদের সূত্রাবদ্ধ গণতন্ত্রে নির্বাচনের আগে দেখা গেল সেকেলে ককটেলের পরিবর্তে পেট্রলবোমা, বাসে-ট্রাকে-বেবিট্যাক্সিতে আগুন। বালুভর্তি ছয়টি ট্রাক যে বাড়ির পাহারায়, তার চারপাশে ১০ জন পুলিশই যথেষ্ট, সেখানে পুলিশ-র‌্যাবের শত শত সদস্য, ফুটন্ত গরম পানিভর্তি পানিকামান, আরও এমন সব উপকরণ, যা দেখলে গণতন্ত্র ভয়ে কাঁপতে থাকে।
এ এমন এক সূত্রায়িত গণতন্ত্র যে একটি বড় দলের যুধিষ্ঠিরের মতো সত্যবাদী নেতা তিন দিব্যি দিয়ে বললেন, আমি নির্বাচনে যাব না, যাব না, যাব না। সেটি তাঁর মুখের কথা, না মনের কথা, তা তাঁর অন্তর্যামীর জানার কথা, সংবাদমাধ্যমের মানুষদের নয়। কিন্তু তাঁর ওই ঘোষণার পরে যা ঘটল, গণতন্ত্রের সূত্র ও নিয়মরক্ষার নির্বাচনে তাতে বীরভূমের এক লোকগায়কের গাওয়া একটি চরণ আমার মনে পড়ছে: ‘সত্য পীর বলে আমি শিন্নি নাহি খাব/ ভক্তেরা কহে তোমার পোঙ্গায় বেঁধে দেব’।
নির্বাচন করা না-করা, সাংসদ হওয়া না-হওয়া চাওয়াচাওয়ির ব্যাপার নয়, ওপরওয়ালার মর্জি হলে এ মাটিতে জীবিতের মৃত আর
মৃতের জীবিত হওয়া, নমিনেশন জমা না দিয়েও সাংসদ হওয়া কোনো ব্যাপার নয়। আদেশ হবে: তুমি হও। আপনি অবলীলায় হয়ে যাবেন।
এ এমন এক সূত্রাবদ্ধ গণতন্ত্র যে এই গণতন্ত্রে রোগবালাই পর্যন্ত ভূমিকা রাখে। কারও কোনো ব্যামো হয়েছে কি হয়নি,
সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। নির্বাচনের আগে রোগ একটা বাধাতেই হবে। সে রোগের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক-কবিরাজ-হেকিম-বৈদ্য ডেকে বাড়িতে করা সম্ভব নয়। বিমারিস্থানেই যেতে হবে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতন্ত্রের স্বার্থে।
কোনো ব্যক্তির বিমারি হলেও তার বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণ রোগশয্যায় রোগীকে লুডু খেলতে দেখা যায়। তা সে মইলুডুই হোক আর সাপলুডুই হোক। চিকিৎসক বললেন, আপনার কঠিন ব্যামো, আপনার একটাই ওষুধ—গলফ খেলতে হবে। নয় বছর দেশের মানুষের ঘাম ঝরিয়েছেন, এখন নিজের শরীরে ঘাম ঝরাতে হবে। শয্যা থেকে লাফিয়ে উঠে রোগী ট্র্যাকস্যুট পরে নিলেন। গলফ মাঠে যেতে হবে। এবং রাজনীতির খেলার মতো আসল খেলা খেলেও শরীরে ঘাম ঝরাতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কোনো রোগী গলফ খেলে গণতন্ত্র রক্ষা করলেন। এরপর গণতন্ত্রের ইতিহাস যখন নতুন করে লেখা হবে, তার শেষ অধ্যায়টির শিরোনাম হবে: ‘গলফ ও গণতন্ত্র’। এই যে গণতন্ত্রের গলফ থেরাপি, এর কথা বঙ্গীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে একদিন লোহার অক্ষরে লেখা থাকবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন, তবু নির্বাচন কমিশনের আনুকূল্যে নির্বাচিত হলেন এবং সুড়সুড় করে এসে শপথও নিলেন। এ জন্যই তো পল্লিবন্ধুর ক্ষেত্রে পল্লিকবির গানটি শতভাগ সত্য: ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়।
তবে বঙ্গীয় গণতন্ত্রশালায় মানুষ তথা নেতা চেনা মোটেই কষ্টকর নয়। প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে বিমারিস্থান, রোগশয্যা থেকে গলফের মাঠ, হাসপাতালের খাটিয়া থেকে স্পিকারের কক্ষে গিয়ে সংগোপনে শপথপাঠ, আবার হাসপাতালে প্রত্যাবর্তন, সেখান থেকে অতিথিদের করতালির মধ্যে বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রবেশ—এসব দৃশ্যই গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী পর্যবেক্ষণ করেছে। এক বুড়া রিকশাচালক আমাকে বলেছেন, আমাগো
এত বোদাই মনে কইরেন না। আমিও তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, কে আপনাদের তা মনে করে তা জানি না, আমি আপনাকে আকসার তা মনে করি না।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু আগে থেকেই আমাদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। পিপলস রিপাবলিক না হয়ে এটি পরিণত হয়েছে গণতন্ত্রশালায়। গণতন্ত্রে একটি নির্বাচিত দল বা দলগুলো থাকে সরকারে। তারা প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী। সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি নির্বাচিত বিরোধী দলও থাকে সংসদে। পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ কোনো দিন শোনেনি: আমরা সরকারেও আছি, বিরোধী দলেও আছি। সরকারের মন্ত্রীও হব, সংসদে সরকারের সমালোচনাও করব। গণতন্ত্রের একটি নতুন সূত্র আবিষ্কৃত হলো। এসব কাণ্ড-কারবারে ওই রিকশাচালকের কথাই সত্য মনে হয়। দেশসুদ্ধ সব মানুষ তো ইয়ে হয়ে যায়নি। এখনো কিছু মানুষের কিছু আক্কেলবুদ্ধি আছে।
সরকারের মন্ত্রিত্বও করব, বিরোধী দলেও থাকব—এই অকল্পনীয় থিওরি বাংলাদেশের গণতন্ত্রশালাকে একটি গোশালার পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছে। জাতীয় পার্টির মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তি এবং তাদের নেত্রীর ‘বিরোধী দলের নেতা’র মর্যাদাপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ৪৩ বছর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত আদর্শ ধুলায় মিশে গেছে। বাহাত্তরের সংবিধানের এত বড় অপমান এর আগে আর কখনো হয়নি—যত আজেবাজে সংশোধনীই হোক না কেন।
যুক্তফ্রন্ট সরকার, জাতীয় সরকার, জাতীয় ঐকমত্যের সরকার—সেসব অন্য জিনিস। মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বা জাসদের নেতাদের মন্ত্রিত্ব গ্রহণে কোনো দোষ নেই। তাঁরা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেন। কোয়ালিশন সরকারে তাঁরা মন্ত্রী হতেই পারেন। এবং হওয়াটা তাঁদের প্রাপ্য। কিন্তু যেসব নেতা শাহবাগ চত্বরের কঠোর সমালোচক এবং শাপলা চত্বরের আদর্শের অনুসারীই শুধু নন, লাখ লাখ বোতল পানি সরবরাহকারী, তাঁরা মহাজোটে থাকেন কী করে। যিনি বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে ‘থুতু দেবে’, তিনি প্রক্সি নির্বাচনে ‘জয়ী’ হয়ে নীরবে নৌকার পাটাতনে গিয়ে বসলেন। আঁতাতের মাধ্যমে ‘ভাগাভাগি’ করে দলের এক অংশ মন্ত্রিত্ব করবে, আরেক অংশ বিরোধী দলের সুবিধা ভোগ করবে—একি একটা পুতুল খেলা? ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে জাতীয় সংসদকে বিরোধী দলহীন করা বাংলাদেশের সংবিধানকেই কলঙ্কিত করা। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেই নিশ্চিহ্ন করা। দলবল করে না, এমন সাধারণ মানুষও এখন মনে করবে, খালেদা জিয়াকে অপমান করতেই জাতীয় পার্টির অসুস্থ নেতার সুস্থ পত্নীকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি উপহার দেওয়া হয়েছে। এ যেন তাঁকে বলা: তোমাকে পর পর দুবার বিরোধীদলীয় নেত্রী করতে চেয়েছিলাম। তুমি বেঁকে রইলে। দ্যাখো, তোমার পাপ্য পদটি কাকে দিলাম। আমরা যাকে খুশি যা-খুশি দিই, যার কাছ থেকে যা খুশি ছিনিয়ে নিই।
জাতীয় পার্টিকে মন্ত্রিত্ব ও বিরোধীদলীয় নেতার পদ উপহার দিয়ে শুধু সংবিধানকে অবমাননা নয়, নিবেদিত আওয়ামী লীগের নেতাদেরও ক্ষতি করা হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে আওয়ামী লীগ করছেন, এমন অনেক নেতাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত করে উড়ে এসে জুড়ে বসাদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া দলের নেতাদের প্রতি মারাত্মক অবিচার। একটি পুরোনো গণতান্ত্রিক দল আওয়ামী লীগ। প্রচুর তার নেতা। তাঁদের অবহেলা করা তো অপমান করারই নামান্তর।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা সরকারের সঙ্গে নেই, তারাও এসব নিয়ে জোরালো প্রশ্ন করছে না। বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রশালায় তাদের ভূমিকাটা বোঝা যাচ্ছে না। দলীয় কর্মকাণ্ডের চেয়ে, জনগণের সঙ্গে মেলামেশার চেয়ে, তাঁরা দিনের প্রথম অংশে বসে বসে পত্রিকার উপসম্পাদকীয় নিবন্ধ লেখেন, সন্ধ্যাটি হলে চলে যান চ্যানেলে টক শোয়। চেতনার পক্ষে কথা বলার জন্য টক শোয় নতুন নতুন অজ্ঞাত লোক নিযুক্ত হচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে থাকছেন ছোট রাজনৈতিক দলের খ্যাতিমান নেতারা। চুটিয়ে তাঁরা বক্তব্য দিচ্ছেন। মানুষের কাছে না গিয়ে, মানুষকে সংগঠিত না করে উপসম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখে এবং টক শোয় হড়হড় করে গণতন্ত্র বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতের অপরাজনীতির সমালোচনা করি, ছোট দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তা চোখের আড়ালে থেকে যায়। একটি বলিষ্ঠ নাগরিক সমাজও তৈরি হয়নি। যা আছে, তা-ও সুবিধাবাদে আক্রান্ত।
গণতন্ত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকাটা হওয়ার কথা হেডমাস্টারের মতো। যেমনটি আমরা দেখেছি ভারতে টিএন সেশনের মধ্যে। কিন্তু আমাদের দেশে হেডমাস্টার নয়, দপ্তরির দায়িত্ব পালন করেন। একটি উদাহরণ দেওয়া যায়। মেয়র নির্বাচনে যাঁরা বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত হলেন, তাঁদের সম্পর্কে ফতোয়া দেওয়া হলো সরকারি দলের মেয়রদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তাঁরা দায়িত্ব বুঝে পেলেও পেতে পারেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচনের পর তাঁরা বলতে পারলেন না, বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে। তার আগে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। দোতলা থেকে প্রতিদিন সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে সিঁড়ির গোড়ায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে প্রচারের জন্য কিছু খোশালাপ করা এক কথা আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা অন্য কথা।
আমাদের সংবিধানে এমন কিছু বিধান আছে, যা অক্ষরে অক্ষরে পালিত হলে ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হবে না। নির্বাচন কমিশন ও সরকার বলতে পারে, সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবার ১৫৩টি আসনে। কোনো কারচুপি হয়নি। সন্ত্রাস হয়নি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, তা-ই হয়েছে। কে তা অস্বীকার করবে? অবশ্য সংবিধানে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের দ্বারা ‘নির্বাচিত’ হওয়ার কথাও বলা আছে। তার জবাবে আমাদের ইসি ও বিজয়ী প্রার্থীরা বলবেন, ১৫৩টি আসনে যে এক শ ভাগ ভোটারই সমর্থন দেননি, তার প্রমাণ কী? বিতর্কপ্রবণ কেউ বলতে পারে, একজন ভোটারও যে তাঁদের সমর্থন দেননি, তারই বা প্রমাণ কী?
বাংলাদেশের গণতন্ত্রশালার যে অবস্থা, তাতে মন্ত্রীর সূত্র নয়, সাংবিধানিক সূত্র অনুসারেই তিন লাখ ৬২ হাজার ভোটারের আসনে মাত্র তিনটি ভোট পেয়েও একজন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেন, যদি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পান দুই ভোট। এমন দিন হয়তো আসবে, যখন কোনো প্রার্থী পাবেন তাঁর নিজের একটি ভোট, তাঁর স্ত্রী/স্বামীর একটি আর শ্যালক/শ্যালিকারটি। তিন ভোটওয়ালাকে বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশনের আইনগত ও সাংবিধানিক কোনো সমস্যা নেই।
বঙ্গীয় গণতন্ত্রশালার অনেকের প্রসঙ্গেই বলা হলো। স্থানের অভাবে বাদ পড়লেন পঞ্চমী নির্বাচনের একক নির্বাচন পর্যবেক্ষকের কথা। একটি সাধারণ নির্বাচনে একজন মাত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকই যথেষ্ট। তিনি যত ভোটকেন্দ্রে গেছেন, তার চেয়ে বেশি গেছেন টিভিকেন্দ্রে। আবারও সেই একই কথা বলতে হয়: ভবের নাট্যশালা বা গণতন্ত্রশালায় মানুষ চেনা দায়।
নূর হোসেন বেটা তুই শান্তিতে থাক। তুই যা চেয়েছিলি, সে জিনিসের মুক্তি পেতে বহু দেরি। বরং তোর সময় যার দুহাত ছিল পিঠমোড়া করে বাঁধা, আজ তার দুপায়েও শক্ত করে শিকল বাঁধা। চোখে ঠুলি। মুখে কুলুপ।

সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.