বাংলাদেশী আইকম্যানের মৃত্যুদণ্ড এবং একশ্রেণীর আঁতেলের বিলাপ by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

১২ ডিসেম্বর ছিল আমার জন্মদিন। ৮০ বছরে পা দিলাম। রোগে জর্জরিত দেহ। কোনো রকমে টেনেটুনে যদি আর একটা বছর বাঁচতে পারি, তাহলে প্রতিভা, মেধা ও খ্যাতিতে নয়, বয়সের দিক থেকে রবীন্দ্রনাথকে ছুঁতে পারব। আমার এবারের জন্মদিনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এ দিন ৪২ বছর পর বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী আইকম্যানদের একজনের ফাঁসি হল। এ দিনটি বাংলার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন বলে চিহ্নিত হবে। বর্তমান হাসিনা সরকারের ভাগ্যে কী লেখা আছে জানি না। কিন্তু শেখ হাসিনা ইতিহাসে একজন কালজয়ী অমর নেত্রী হিসেবে নিজের স্থায়ী আসনটি করে নিলেন। আইকম্যান ছিলেন হিটলারের সহচর, জার্মানির নাৎসি যুদ্ধাপরাধী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে লাখ লাখ ইহুদি হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত। তার ইতিহাস আজ সবারই জানা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে অধিকাংশ নাৎসি যুদ্ধাপরাধী ধরা পড়ে এবং তাদের বিচার ও দণ্ড হয়। কিন্তু আইকম্যান জার্মানি থেকে ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান যুদ্ধাপরাধীদের কারও কারও মতো প্রায় ৪০ বছর বিচার ও দণ্ড এড়াতে পেরেছিলেন। তিনি নাম-পরিচয় গোপন করে দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে বিশ্বময় তাকে খুঁজতে শুরু করে। লাখ লাখ ইহুদি নর-নারী-শিশুকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তিকে দণ্ড না দিলে মানবতা কলঙ্কমুক্ত হবে না বলে তারা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ কয়েক দশক পর আইকম্যানের খোঁজ মেলে। কিন্তু যে দেশটিতে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা তাকে ইসরাইল সরকারের হাতে তুলে দিতে রাজি ছিল না। ততদিনে ব্রিটেনসহ ইউরোপের বহু দেশে মৃত্যুদণ্ড প্রথা বাতিল হয়ে গেছে। আইকম্যানকে আশ্রয়দানকারী দেশটির সরকারেরও যুক্তি ছিল, ইসরাইলে তাকে পাঠালে মৃত্যুদণ্ড সুনিশ্চিত, সুতরাং তাকে ইসরাইলে পাঠানো যাবে না।
ইসরাইল সরকার তাতে দমে যায়নি। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা নিপুণ পরিকল্পনা করে তাকে গোপনে অপহরণের। আন্তর্জাতিক সব আইন-কানুন, বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ করে ইসরাইলি গোয়েন্দা চক্র আইকম্যানকে অপহরণ করে ইসরাইলে নিয়ে আসে এবং তার নারীঘাতী, শিশুঘাতী জঘন্য অপরাধের বিচার শুরু হয়। বিচারে আইকম্যানের সব অপরাধ প্রমাণিত হয় এবং আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবেন এটা সুনিশ্চিত জেনে তিনি এবং তার আইনজীবীরা একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করেন। এই কৌশলটি হল, হঠাৎ করে দাবি করা বিচারাধীন আইকম্যান যুদ্ধাপরাধী নাৎসি ঘাতক আইকম্যান নন। ইসরাইলের গোয়েন্দা ভুলক্রমে আইকম্যানের মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে ধরে এনেছে।
এই কৌশলটি কাজে লাগেনি। তার বাড়ি থেকে জব্দ করা কাগজপত্র এবং পরিচিতজনের সাক্ষ্য থেকেই তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে এবং তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। এই ফাঁসি হওয়ার পর লন্ডনের একটি প্রথম শ্রেণীর দৈনিকের সম্পাদকীয়ের হেডিং ছিল Justice was delayed but not denied (ন্যায়বিচার বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু অস্বীকৃত হয়নি)। আইকম্যানকে যে ইসরাইল অন্য দেশ থেকে অবৈধভাবে অপহরণ করে এনে নিজেরাই বিচারক সেজে (কোনো আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নয়) এমন এক সময় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যখন ইউরোপের বহু দেশে এবং আমেরিকারও কোনো কোনো রাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, তাতে এসব দেশের কোনো মানবতাবাদী বা মিডিয়া টুঁ শব্দটি করেনি। পরবর্তীকালে ভানু (ঠধহঁ) নামে এক পলাতক ইহুদিকেই ইসরাইল বিদেশ থেকে অপহরণ করে এনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। তাতেও যে খুব একটা হৈচৈ হয়েছে, তা আমার স্মরণ হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্বদেশদ্রোহী বিদেশী হানাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণে বর্বরতার বিশ্বরেকর্ড তৈরি করেছে, যাদের সন্ত্রাসের বিভীষিকায় প্রায় এক কোটি মানুষকে দেশত্যাগ করে বিদেশে আশ্রয় নিতে হয়েছিল; বাংলাদেশের সেই স্বদেশদ্রোহী ও মানবতার শত্র“দের দীর্ঘ ৪২ বছরেও কোনো বিচার ও দণ্ড হয়নি। তাদের শীর্ষ নেতারা বিদেশে পালিয়ে গিয়েও স্বদেশী মিত্রদের সহায়তায় শুধু দেশে ফিরে আসা নয়, ক্ষমতায় বসারও সুযোগ পেয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির বিরল। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশেই তা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় নিহত মানবতা হয়তো চিরকাল কেঁদে বেড়াত, কয়েক লাখ শহীদের দীর্ঘশ্বাসে হয়তো দেশটির আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে থাকত, যদি না শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে নিজের জীবন বাজি রেখে এই মানবতার শত্র“দের বিচার ও দণ্ডদানের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু এই বিচার শুরু হওয়ার প্রস্তুতি পর্বেই দেশে এবং বিদেশে হঠাৎ একদল ‘নব্য মানবতাবাদী’র আবির্ভাব লক্ষ্য করা গেল, যারা এই বর্বর ঘাতকদের বিচার ও দণ্ডদানের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মায়াকান্না শুরু করে দিতে দ্বিধা করেননি। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী ঘাতক আইকম্যানদের একজন কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতেই ব্রিটেন, আমেরিকা, এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত যেমন হায় হায় করে উঠেছে, তেমনি দেশের ভেতরে সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার একদল মাথাওয়ালা ব্যক্তি পর্যন্ত মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের নামে হায় হায় করছেন।
এরা কেউ বলছেন না, বিচারাধীন ও দণ্ডিত যদ্ধাপরাধীরা কেউ যুদ্ধাপরাধ করেনি। তারা বলছেন, এদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হচ্ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসিনা সরকার কেন তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহণ করতে যাবে? ’৭১ সালে তো তারা শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যা করেনি। ’৭১ সালের মার্চ মাসে এবং ১৪ ডিসেম্বর তারিখে তারা যে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে, তাদের মধ্যে দু-একজন আওয়ামী লীগের সমর্থক থাকলেও বাকি সবাই ছিলেন বামপন্থী এবং বিভিন্ন বামপন্থী দলের সমর্থক।
একাত্তর সালে জামায়াত এবং তাদের উপদলগুলো তো কেবল আওয়ামী লীগার হত্যায় নামেনি, তারা বাঙালি হত্যায় নেমেছিল। তাই গোটা বাঙালি জাতির দাবি তাদের বিচার ও দণ্ড। এটা দলীয় প্রতিশোধ গ্রহণের ব্যাপার হয় কী করে? বরং বর্তমান হাসিনা সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী জাতির এই দাবি পূরণের জন্যই চারদিকের বিশাল বাধা অতিক্রম করে এই বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। যদি এটা প্রতিশোধ গ্রহণ করা হয় তাহলে বলা চলে এটা গোটা বাঙালি জাতির প্রতিশোধ গ্রহণ। নুরেমবার্গ ট্রায়ালে নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডদান কি ছিল চার্চিল ও রুজভেল্টের রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহণ? এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে, এটা ছিল বর্বর ফ্যাসিবাদের বিলোপ ঘটিয়ে সারা বিশ্বমানবতাকে রক্ষা করা।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হচ্ছে না বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এই প্রচার যারা চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে সুশীল সমাজের একদল নবীন ও প্রবীণ আঁতেলকেও দেখা যায়। এদের বক্তব্য ও বিবৃতি পাঠ করলে ফাউস্টের কাহিনীর শয়তানের কাছে আÍবিক্রি করার বিবরণ আমার মনে পড়ে। পেট্রো ডলারের কৃপায় বাংলাদেশের জামায়াতিদের ঘরে এখন অঢেল টাকা। কেউ কেউ বলেন, এই টাকা দিয়ে তারা ইকোনমিস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো পত্রিকার সুর ঘুরিয়ে ফেলতে পারেন এবং তারা ঘোরাচ্ছেনও। কেউ কেউ বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ধনী আরব দেশের সহায়তায় এবং ইসলামের নাম ভাঙিয়ে ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স ও এনজিওর একচেটিয়া ব্যবসা করে জামায়াত আন্তর্জাতিকভাবে যে বিশাল জিহাদ ফান্ড তৈরি করেছে, তা দিয়ে ইউরোপের কোনো কোনো দেশের পার্লামেন্ট সদস্য এবং আমেরিকার সিনেট সদস্যও কিনে ফেলতে পারে এবং তারা কিনছেও।
এটা কতটা সত্য জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী প্রচার অভিযান দেখে কথাটা সত্য বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ ও মিডিয়ার এক অংশের বর্তমান ভূমিকা দেখে তো ফাউস্টের শয়তানের কাছে আÍবিক্রির কাহিনীটি সম্পূর্ণ সত্য বলে মনে হয়। আইকম্যানের মতো একজন হত্যাকারীর পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে ইসরাইলের একজন ইহুদি আইনজীবীও রাজি হননি। ইসরাইল সরকারকে বিশেষ আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। আর কাদের মোল্লা বা অন্য ঘৃণ্য ঘাতকদের পক্ষে দাঁড়াতে বাংলাদেশে বাঙালি আইনজীবীর অভাব হয়নি। শুধু আইনজীবী হিসেবে ঘাতকদের পক্ষে দাঁড়ানো নয়, একজন ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির চূড়ান্ত রায় হতেই এরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছেন।
ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার কেন আন্তর্জাতিক বিচারের মানসম্পন্ন হচ্ছে না, তার একটাও নজির তারা দেখাতে পারেনি। ঘাতকদের দণ্ড থেকে বাঁচানোর জন্য আইকম্যানের মতোই একই ধরনের কৌশল তারা গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। এই কৌশলটি হল- ঘাতক কাদের মোল্লা আসল কাদের মোল্লা নন বলে শেষ সময়ে প্রচার। এ জন্য আওয়ামী লীগেরই একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং নানা দুষ্কৃতির দায়ে দণ্ডিত এক ব্যক্তির সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছে। এই ব্যক্তি জেল থেকে বেরিয়েই কাদের মোল্লার লিখিত চিঠি বলে দাবি করে একটি চিরকুট দেখিয়ে বলেছেন, মোল্লা দাবি করেছেন, তিনি আসল কাদের মোল্লা নন। আসল কাদের মোল্লার বদলে নির্দোষ কাদের মোল্লাকে দণ্ড দেয়া হয়েছে।
ঠিক এই প্রচার আরেক দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কেও প্রচার করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এই সাঈদী একাত্তরের ঘাতক সাঈদী নন, বর্তমান সাঈদী এতই বুজুর্গ ব্যক্তি যে, তার চেহারা নাকি চাঁদের মধ্যেও দেখা গিয়েছিল। এই একুশ শতকে এ ধরনের মধ্যযুগীয় তামাশা সম্ভবত একমাত্র বাংলাদেশেই দেখানো সম্ভব। যা হোক শেষ পর্যন্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডদানের প্রথার বিরোধী। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো লোক রাগে, উত্তেজনায় বা হিংসা ও লোভের বশবর্তী হয়ে যদি কাউকে হত্যা করে, তাকে প্রাণদণ্ড না দিয়ে লাইফ সেনটেন্স দেওয়া উচিত। অনেক সময় দেখা গেছে, বিচারের ভুলে নির্দোষ ব্যক্তিরও ফাঁসি হয়ে গেছে। একবার ফাঁসি হয়ে গেলে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে আর প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া যায় না। এজন্যই মৃত্যুদণ্ডের প্রথা রদ হওয়া উচিত।
কিন্তু যারা রাগ, সাময়িক উত্তেজনা বা লোভের জন্য নয়, ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে জনসমষ্টিকে হত্যা করে এবং হত্যা করার পরও অনুতপ্ত হয় না, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া ছাড়া মানবতাকে কলঙ্কমুক্ত ও নিরাপদ করার দ্বিতীয় কোনো বিকল্প পথ নেই। এজন্যই কাদের মোল্লার প্রাণদণ্ডে আমি দুঃখিত নই। বরং আমার দাবি, অন্যান্য নরপশু যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও দণ্ডদানও ত্বরান্বিত করা হোক। এই ঘাতকদের সামনে খাড়া করে কারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে তার প্রমাণ তো পাওয়া গেছে পাকিস্তানের জামায়াত দলের ঘোষণায়। তারা পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে বাংলাদেশ আক্রমণের আহ্বান জানিয়েছে। আর এই আহ্বান অনুসরণ করেই বাংলাদেশের জামায়াতিরা একাত্তরের মতো সারা দেশে বর্বর নাশকতার অভিযান শুরু করেছে।
কঠোরভাবে এই যুদ্ধের মোকাবেলা করতেই হবে এবং শেষবারের মতো প্রমাণিত হোক, এই যুদ্ধে বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে কারা দেশটির শত্র“ এবং মিত্র।

No comments

Powered by Blogger.