২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আদভানি?

বিজেপির এখনও লালকৃষ্ণ আদভানির প্রয়োজন? বুঝিয়ে দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আর তার এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। তাহলে কি ২০১৪-য় বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন আদভানিও। কয়েক মাস আগে তাকে উপেক্ষা করেই গোয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে অনেকেই বলে থাকেন, আদভানির অনুপস্থিতিতে এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস রাজনাথ সিংহরা নিতে পেরেছিলেন কারণ, সেই নির্দেশ এসেছিল নাগপুর থেকে। মোদির মাথায় হাত ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের। বিজেপিতে মোদি অধ্যায়ের সূচনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠে গেছে, তাহলে কি আদভানি-যুগ পুরোপুরি শেষ। বিজেপি কি প্রকারান্তরে আদভানিকে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেয়ারই বার্তা দিচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে সেই সংঘ প্রধান ভাগবতই ফের বিজেপির মিশন ২০১৪-য় আদভানির সক্রিয় ভূমিকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা জোরালো করলেন। আদভানির ব্লগের লেখাগুলোকে একত্রিত করে তিনটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর সেখানেই সম্ভবত তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি তার নতুন প্রজন্মের নেতাদের নিয়ে এগোতেই পারে, কিন্তু সেইসঙ্গে আদভানির মতো বর্ষীয়ান নেতার রাজনৈতিক বুদ্ধি ও শুভেচ্ছারও অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে দলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ২০১৪-য় ক্ষমতা দখল করতে হলে বিজেপির একাধিক শরিক প্রয়োজন। কারণ, একার দমে সরকার গড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করেন, কট্টরপন্থী মোদি অপেক্ষা আদভানি এখনও একাধিক রাজনৈতিক দলের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। তাই কি মোদি শরিক জোগাড়ে অসমর্থ হলে সেক্ষেত্রে আদভানির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার গড়ার রাস্তা খোলা রাখতেই সরসংঘচালকের এই বার্তা।

No comments

Powered by Blogger.