লক্ষ্য বিশ্বের ১০০০০০ পুরুষ

বিশ্বের ১০০০০০ পুরুষের শয্যাসঙ্গী হওয়ার বিশেষ অভিযানে নেমেছেন পোল্যান্ডের আনিয়া লিসেওস্কা। দেখতে সুন্দরী। বয়সও তেমন বেশি নয়, মাত্র ২১। জীবনটাকে একটু অন্যভাবে উপভোগ করতে গত মাসে তিনি নিজের শহর ওয়ারসো থেকে এ ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ব অভিযান শুরু করেছেন।
হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তিনি ২৮৪ জনকে নিজের বিছানায় টেনেছেন। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, আনিয়ার এ ঘোষণার পরও তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক তাকে ছেড়ে যায়নি কিংবা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেননি। অবশ্য আনিয়ার এ বিশেষ অভিযানকে সে হয়তো খুব উচ্ছ্বসিতও নয়। এ ব্যাপারে আনিয়া বলেছেন, তাকে এ শর্ত মেনেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। অস্ট্রিয়ান টাইমসকে আনিয়া বলেছেন, ‘আমি পোলান্ড, ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুরুষের সঙ্গে আনন্দ করতে চাই। কারণ, অনেক পুরুষের সঙ্গে আনন্দ করতে আমার খুব ভাল লাগে। অন্য দেশের পুরুষের সঙ্গে সময় কাটানোর আগে তিনি পোল্যান্ডের পুরুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান বলে তার ফেসবুকে দাবি করেছেন। তবে পোলান্ডে ‘সেক্স’ বিষয়টিকে এখনও নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে কেউ বেশি আগ্রহ দেখালে তাকে নৈতিক স্খলন, বারবনিতা বা মানসিক বিকৃতি সম্পন্ন বিবেচনা করে থাকে। তবে এসব নিয়ে আনিয়ার তেমন মাথাব্যথা নেই। আনিয়া যে কোন মূল্যে তার এ লক্ষ্য পূরণ করতে চান। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতেই তিনি কেবল লক্ষ্যপূরণের জন্য কাজ করতে চান। এজন্য তিনি ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট খুলেছেন। বিভিন্ন পুরুষদের সঙ্গে তার যোগাযোগ করতে সুবিধার জন্য ফেসবুকেও তিনি একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তার ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ৯০০০-এর বেশি লাইক পড়েছে। আনিয়া বলেছেন, প্রতি সঙ্গীকে মাত্র ২০ মিনিট করে সময় দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে তার এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য ঘেঁটে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ, তার ওয়েবসাইটটি কেবল প্রথম পৃষ্ঠা ছাড়া অন্য কোন পৃষ্ঠা সক্রিয় নয়। এছাড়া কোন মিডিয়ার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি এড়িয়ে যান। অনেকে মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই তিনি এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আনিয়া যদি ঘুম, নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে তার এ মিশন পূরণ করতে চান তবে সময় লাগবে ৩.৮ বছর। আর প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে কেবল শনিবার এবং রোববার তিনি যদি পুরুষের সংস্পর্শ চান তবে তার লক্ষ্যপূরণে সময় লাগবে টানা ২০ বছর। তার সম্পর্কে সমালোচনার আরেকটি কারণ হলো বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার জন্যই তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ, গিনেজ বুকে এ ধরনের কোন রেকর্ড এখনও কেউ করেননি। আনিয়া এখন দাবি করছেন, তাকে ঘিরে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাই তার ফেসবুক হ্যাক করে সেখানে কেউ তার এইডস রয়েছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। এ প্রচারণার জবাব দিতে তিনি নিজেই তার এইডস নেই বলে ডাক্তারি পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.