কড়া হরতালে জনদুর্ভোগ চরমে

আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, সারা দেশে গণহত্যার প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় বিরোধী জোটের ডাকে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।
গত একমাসে এই প্রধান বিরোধী জোটটির ডাকা যেকোনো হরতালের চেয়ে সর্বাত্মকভাবে পালিত হচ্ছে বুধবারের হরতাল। আগের হরতালগুলোতে রাজধানী ও প্রধান শহরগুলোতে থেমে থেমে প্রায়ই বেশ কিছু যানবাহন চলতে দেখা গেলেও বুধবার দেখা যাচ্ছে পুরো ভিন্ন চিত্র।
ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা ও খুলনাসহ নানা জায়াগা থেকে আমাদের ব্যুরো অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা যে তথ্য পাঠিয়েছেন; তাতে দেখা যাচ্ছে জনদুর্ভোগ নজিরবিহীনভাবে চরমে পৌঁছেছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি দোকানপাটে তালা, আর রাস্তায় রিকশা ছাড়া যানবাহন বলতে গেলে নেই। প্রধান শহরগুলো চিত্র এরকমই।

অবশ্য বিকেলে দিকে রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। তবে এই অপ্রতুল হওয়ায় বিপাকে পড়ে অফিস ফেরত মানুষ। অনেককেই পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

তবে সকাল থেকে রাজধানীতে মেক্সি, লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক ও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে মেক্সি, লেগুনা ও অটোবাইক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন যাত্রারা। বেশি ভাড়ার কারণে অটোরিকশা ও রিকশায় চড়েননি অনেকে।

হরতালের আগের দিন মঙ্গলবার দুপুর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে বেশ কিছু গাড়ি পোড়ানে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। আগের হরতালগুলোতে সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকেই এমন নাশকতা শুরু হতে দেখা গেলেও সর্ব সম্প্রতি এসব শুরু হচ্ছে দুপুর থেকে।

এছাড়া হরতালকারীদের দেখামাত্র গুলি করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক হরতালগুলোতে পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষের হতাহত হওয়ার প্রচুর ঘটনা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের বনানীর বাসায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মন্ত্রী বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। হরতালকারীদের দেখামাত্র গুলি ও হরতাল আহ্বানকারী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.