'১১ সালের এসএসসিতে গণিতে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকছে না- অন্য বিষয়গুলোর পরীক্ষা ওই পদ্ধতিতে হবে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

মাধ্যমিক সত্মরে গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতি থাকছে না। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১১ সালের এসএসসি পরীায় গণিতে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রথমবারের মতো চালু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আপাতত গণিত বিষয়ে নতুন এই পদ্ধতি চালু না করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে সরকার। তবে ঘোষিত অন্যান্য বিষয়ের পরীৰা এই প্রশ্ন পদ্ধতিতেই গ্রহণ করা হবে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ঘোষিত সূচকের আলোকে গ্রেডিং পদ্ধতির ভিত্তিতেই শিৰা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি হবে। কোন দলীয় পরিচয় প্রাধান্য পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি, বিনামূল্যের বই বিতরণ, এমপিও নীতিমালা, অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীৰাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন শিৰামন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি বছর থেকেই অষ্টম শ্রেণীতে সমাপনী পরীা অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম শ্রেণীর মতো এ পরীাও দেশব্যাপী একই প্রশ্নপত্রে হবে। এতে শিার মান বাড়বে। পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীার মাত্র তিন বছরের মাথায় এ ধরনের পরীৰা শিার্থী ঝরে পড়া রোধেও সহায়ক হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন শিৰামন্ত্রী। এমপিওভুক্তির বিষয়ে নূরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেন, চলতি বছরে এমপিওভুক্তির জন্য ১১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ অর্থ দিয়ে অপেমাণ বিপুল সংখ্যক শিা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে না। তবে শিায় অনগ্রসর, ভৌগোলিকভাবে অসুবিধাজনক, পাহাড়ী এলাকা, হাওর-বাওড়, চরাঞ্চল, নারী শিা, সামাজিকভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির েেত্র অগ্রাধিকার পবে। তিনি জানান, শিা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য কয়েকটি সূচকের আলোকে গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতির তারিখে ২৫, শিার্থীর সংখ্যায় ২৫, পরীার্থীর সংখ্যায় ২৫ এবং পরীৰায় উত্তীর্ণের হারে ২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালায় জনবল কাঠামো ও শিকদের বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নতুন জনবল কাঠামোর বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানে যদি অতিরিক্ত জনবল থাকে তারা বেতন-ভাতাদির সরকারী অংশ পেতে থাকবেন। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক, সহকারী প্রধান শিক এবং দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এবং সহকারী সুপারিনটেনডেন্টের বেতন স্কেল আপগ্রেড করা হয়েছে। এ েেত্র তিন হাজার এক শ' ১৮ জন প্রধান শিক, ১২ হাজার ৪০০ সহকারী প্রধান শিক, ৫ হাজার ১৪১ জন সুপারিনটেনডেন্ট ও ৫ হাজার ১৪১ জন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট উচ্চতর স্কেলের সুবিধা পাবেন।
শিামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চাহিদা দেয়া সকল স্থানে বিনামূল্যের বই পৌঁছে দিয়েছি। ঢাকায় জেলা শিা অফিসারের গাফিলতির কারণে কিছু সমস্যা হয়েছিল। সরকার গঠিত কমিটি ঢাকার ৫০টি স্কুলে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। বিনামূল্যের বই পাওয়ার পর বিদ্যালয়গুলোতে শিার্থী ভর্তির হার বেড়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে নতুন করে আরও ৪৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১টি বইয়ের চাহিদা দেয়া হয়েছে। এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছি। এদিকে এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালায় জনবল কাঠামো ও শিকদের বিভিন্ন সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতীয় শিৰক কর্মচারী ফ্রন্ট। দেশের ডিগ্রী পর্যায়ের কলেজে তৃতীয় শিৰক হিসেবে কর্মরত শত শত শিৰকের দীর্ঘদিনের দাবি বাসত্মবায়িত হওয়ায়ও সনত্মোষ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যৰ কাজী ফারম্নক আহমেদ। এক বিবৃতিতে তিনি সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, শিৰামন্ত্রীসহ সরকারের সংশিস্নষ্টদের ঐকানত্মিক ইচ্ছার ফল হিসেবে এতদিন পর আমরা একটি শিৰা ও শিৰকবান্ধব নীতিমালা পেলাম।

No comments

Powered by Blogger.