সিদ্ধিরগঞ্জে ১২০ মে.ও. ইউনিটের উৎপাদন শুরম্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি

 আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রে ১২০ মেগাওয়াট মতা সম্পন্ন দু'টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট অনুষ্ঠানিক উৎপাদনে যাচ্ছে। এদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদু্যত কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদু্যতকেন্দ্রে ১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাসভিত্তিক দু'টি ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে বিদু্যত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি-এর প্রকল্প বাসত্মবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (ইজিসিবি) সঙ্গে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেডের (বিএইচইএল) চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে এই কেন্দ্রের দু'টি ইউনিট ২০০৮ সালের ৭ নবেম্বর উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। দেড় বছর পর আগামী ১৪ ফেব্রম্নয়ারি এই কেন্দ্রের ১২০ মেগাওয়াট মতা সম্পন্ন একটি ইউনিট বিদু্যত উৎপাদনে যাচ্ছে। একই মতা সম্পন্ন অন্যটি আগামী মাসে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ দু'টি ইউনিটের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু এই পরিমাণ গ্যাস পেট্রোবাংলার প েদেয়া সম্ভব নয়। শুরম্ন থেকে গ্যাসের নিশ্চয়তার জন্য পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেয়া হলেও সর্বশেষ ২০০৯ সালের নবেম্বর পিডিবির প থেকে পুনরায় বিদু্যত কেন্দ্রে গ্যাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চাওয়া হয়। সর্বশেষ চিঠির জবাবে পেট্রোবাংলা কর্তৃপ জানিয়ে দেয় নতুন গ্যাস পাওয়া গেলে তাহলে বিদু্যত কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। উলেস্নখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদু্যত কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের কারণে নারায়ণগঞ্জে এমনিতেই গ্যাসের তীব্র গ্যাস সঙ্কট বিরাজ করছে। তাই গ্যাস সরবরাহের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই উদ্বোধন হচ্ছে এই ইউনিটটি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন ক েএক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.