চৈতন্যের মুক্তবাতায়ন-মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও সমাজতন্ত্র by যতীন সরকার

ধর্মনিরপেক্ষতা আর রাষ্ট্রধর্মকে একই আধারে ধারণ করে এক হাস্যকর প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে চলছে আজকের বাংলাদেশ। এখনো এখানে অসাম্প্রদায়িক জাতিচেতনার মৃত্যু না ঘটলেও একে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করছে যারা, তাদের শক্তি কেবলই ক্রমবর্ধমান। বলতে গেলে, পাকিস্তানি অপচেতনাই আজ নতুন লেবাস পরে ফিরে এসেছে।


অথচ ধর্মনিরপেক্ষতা ও সুস্থ জাতীয় চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভিযাত্রা। সে অভিযাত্রার লক্ষ্যবিন্দু ছিল সমাজতন্ত্র।
না। বাংলাদেশকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করা হয়নি। অত্যন্ত সংগত কারণেই তা করা হয়নি। জোর গলায় ঘোষণা করে দিলেই যে কোনো দেশ সমাজতান্ত্রিক দেশ হয়ে যায় না- এ কাণ্ডজ্ঞানটুকু সেদিনকার সংবিধান প্রণয়নকারীদের ছিল। তবে সমাজতন্ত্র ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা যে অসম্ভব, এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের মনে সামান্য সন্দেহও ছিল না। সন্দেহমুক্ত প্রত্যয় নিয়েই তাঁরা চাইতেন যে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' রাষ্ট্রটি যেন সমাজতন্ত্রের অভিমুখী হয়ে থাকে। এ রকম অভীক্ষা থেকেই বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয়করণ করা হয়েছিল যেমন, তেমনই দেশটিতে যাতে কোনোমতেই একচেটিয়া পুঁজির উদ্ভব ঘটতে না পারে, সংবিধানে সে রকম বিধিও সংযোজিত ছিল। উৎপাদনের উপকরণের ওপর ব্যক্তিমালিকানা নিষিদ্ধ করা হয়নি বটে, কিন্তু পুঁজির সর্বোচ্চ সীমানা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ দেশটিতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উপযোগী বাস্তব অবস্থা সৃষ্টি করার আন্তরিক প্রয়াস নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা তাঁদের নীতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের মধ্যে অনেক মুনাফিকেরও অবস্থান ছিল। এই মুনাফিকরা শুধু সমাজতন্ত্রেরই বিরোধী ছিল না, তারা ছিল অনেক বদ মতলবেরও ধারক। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এ ভূখণ্ডে একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী হয়তো তারা ছিল না। তবে সে রাষ্ট্রটি যাতে কোনোমতেই পাকিস্তানের থেকে অন্য রকম না হয়, অভ্যন্তরীণ সব কর্মকাণ্ড যাতে পরিচালিত হয় পাকিস্তানকেই আদর্শ ধরে নিয়ে, বৈদেশিক নীতিতে গাঁটছড়া বাঁধা থাকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে- এ রকম মতলব নিয়েই ওই মুনাফিকরা মুক্তিযুদ্ধের শিবিরে ঢুকে গিয়েছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি যেন একটি মিনি পাকিস্তান ছাড়া অন্য কিছু না হতে পারে- সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়েছিল তাদের সব কর্মকাণ্ড।
তবু এই মতলববাজ মুনাফিকরা চার মূলনীতিভিত্তিক সংবিধান প্রণয়নকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। সেদিন তা না পারলেও তক্কে তক্কে থেকে এক দিন ওরা স্বাধীন বাংলার স্থপতিকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়। তাদেরই উত্তরসূরিদের হাতে সংবিধানটির খোলনলচে পাল্টে যায়, পাকিস্তানের ভূত বাংলাদেশের ঘাড়ে এসে ভর করে। এই ভূতের কবলে পড়ে স্বভাবতই অসাম্প্রদায়িক জাতিচেতনা ও ধর্মনিরপেক্ষতার মতো সমাজতন্ত্রও চূড়ান্ত পর্যুদস্ত হয়। এ রকম পর্যুদস্ত অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সমাজতন্ত্রকে তার যথাস্থানে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার গরজ ও শক্তি এখনকার বাংলাদেশের কোনো কর্তৃর্ত্বশীল গোষ্ঠীরই নেই- থাকতেও পারে না। বিশেষ করে, বিগত শতকের নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতনের পর থেকে সমাজতন্ত্রের কথা বলা তো এদের মতে বোকামিরই নামান্তর।
শুধু এদের কথাই বা বলি কেন? সমাজতন্ত্রই ছিল যাঁদের ধ্যান-জ্ঞান, সমাজতন্ত্র সাম্যবাদকেই জীবনের ধ্রুবতারা করে নিয়ে ব্যক্তিক পারিবারিক সুখশান্তি আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়েছিলেন যাঁরা, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থার উৎসাদন ঘটবেই- সব সত্তাজুড়ে এমন দৃঢ় প্রত্যয় ছিল যাঁদের, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতনের তীব্র ঝাঁকুনিতে সেই কমিউনিস্টদের কী অবস্থা হলো?
এ প্রশ্নের জবাবে কিছু বলার কিছুটা অধিকার আমার আছে। কারণ ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতার সূত্রে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ভেতর থেকেই আমি অনেক কিছু অবলোকন করেছি। তখন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ছিল ৭৭। কী করে যেন আমিও এই সাতাত্তরের একজন হয়ে পড়েছিলাম। যদিও আমি খুব ভালো করেই জানতাম, এ রকমটি হয়ে পড়ার সামান্যতম যোগ্যতাও আমার নেই। আমার মতো অযোগ্য ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বানিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কোনোই লাভ হয়নি। কিন্তু আমি নিজে হয়েছি খুবই লাভবান। আগে যা জানতাম না ও বুঝতাম না, এখন এর অনেক কিছুই জানার ও বোঝার সুযোগ পেয়ে গেলাম।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের পর্যায়ে যাঁরা উঠে আসেন তাঁরা শুধু ত্যাগী ও লড়াকু কর্মীই নন, কমিউনিজমের দর্শনেই তাঁরা গভীর জ্ঞানের অধিকারী, একই সঙ্গে তাঁরা গভীর জ্ঞানযোগী ও বলিষ্ঠ কর্মযোগী- এ রকম ধারণা আমি ছাত্রজীবন থেকেই পোষণ করে এসেছি। আমার এ রকম ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেশ কিছু কমরেডের স্নেহসান্নিধ্যেও আমি ধন্য হয়েছি, তাঁরাই আমাকে মার্কসীয় দর্শন পাঠে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিলেন। ছাত্রজীবনের এই স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাই পরিণত বয়সে কমিউনিস্টদের সম্পর্কে আমার ভেতর অনেক উচ্চ প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছিল।
সে প্রত্যাশা যে পুরোপুরি মিথ্যা হয়ে গেছে, তা নয়। অনেক কমিউনিস্ট নেতার মধ্যেই জ্ঞান ও কর্মের থিয়োরি ও প্র্যাকটিসের সুষম সম্মিলন বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্দিনেও প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু একান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছি সেই দুর্দিনে এককালের বাঘা কিছু কমিউনিস্ট নেতার মুখে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ সম্পর্কে দুর্বচন শুনে এবং তাঁদের সীমাহীন অজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করে। অনেককেই দেখলাম তাঁদের আগেরকার ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান গ্রহণ করতে। 'ধনতন্ত্রেই ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটে গেছে, এরপর আর কোনো নতুন তন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ঘটবে না'- বুর্জোয়া পণ্ডিতের এ রকম প্রচারণার সঙ্গেও তাঁরা অনায়াসে কণ্ঠ মিলিয়ে ফেললেন। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন যিনি, তেমন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতাও সেদিন সখেদে বলে চললেন- 'সারা জীবন একটা মোহের পেছনেই ছুটে গেলাম আমরা।... এখন বুঝলাম, বিপ্লবটিপ্লবের স্বপ্ন দেখে জীবনটার অপচয়ই করেছি কেবল,... দেশের জন্য মানুষের জন্য কিছুই করতে পারলাম না...।'
এসব না করে রাজনীতির অন্যতর পথে হাঁটা দরকার, কমিউনিস্ট পার্টিটার্টি বাদ দিয়ে আশু ক্ষমতায় যাওয়ার 'আসল' পথের সন্ধান করা উচিত, এত দিন যে ভুল করেছি সে ভুলের সংশোধন করতে হবে এখনই- এমন অনেক কথাই সেদিন পার্টির নেতাদের মুখ থেকে নিঃসৃত হচ্ছিল। দুই দিন আগেও যাঁরা 'মুমূর্ষু পুঁজিবাদ' ও 'জঘন্য সাম্রাজ্যবাদ'-এর বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণাব্যক্তক বাক্যাবলি উচ্চারণ করে চলছিলেন, এমন কিছু নেতার কণ্ঠেই দুই দিনের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা ধ্বনিত হতে লাগল। যাকে বলা হয়, 'অক্টোবর বিপ্লব' তাতে বিপ্লবের ছিটেফোঁটাও ছিল না, ওটা ছিল একটি ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান মাত্র- এ রকম কথা যখন কমিউনিস্ট পার্টিরই কোনো নেতার মুখে শুনতে পেলাম, তখন নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তবে একটু ধাতস্থ হয়েই বুঝে নিলাম যে এমনটি হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক ছিল না। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ রকম আকস্মিক বিপর্যয় ঘটে গিয়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে পারে- এমন আশঙ্কা তো ছিল স্বপ্নেরও অগোচর। সে রকম অঘটনের ধাক্কায় সারা দুনিয়াই যখন কম্পমান, তখন বাংলাদেশের কমিউনিস্টদেরও ভাব-ভাবনায় যে লাগবে ভাটার টান, আশা ভঙ্গে বেদনায় তাদের ভাষাও যে হয়ে পড়বে পারম্পর্যহীন, তাতে বিস্ময়ের কি আছে? কিন্তু আমি বিস্মিত হয়েছিলাম আমাদের অনেক জাঁদরেল কমিউনিস্ট নেতার দর্শনজ্ঞানের দীনতা দেখে। মার্কসবাদের দর্শন ডায়ালেকটিক্যাল বস্তুবাদকে তাঁরা বললেন, 'অবৈজ্ঞানিক ও বোগাস'। দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞানের অধ্যাপনায় নিরত এক খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী ও কমিউনিস্ট নেতা জোর গলায় বললেন, 'ডায়ালেকটিক্যাল বস্তুবাদ যে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানবিরোধী, সে কথা আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রমাণ করে দিতে পারি।'
কিভাবে সেটি তিনি প্রমাণ করবেন, কিংবা আদৌ তা করতে পারবেন কি না, সে নিয়ে তাঁর বা তাঁর সমমতাবলম্বীদের সঙ্গে বাদ-বিবাদে প্রবৃত্ত হতে এমনকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেও কোনো উৎসাহ বোধ করিনি। কারণ আমি নিঃসংশয় হয়েছিলাম যে এ রকম মানুষ কোনোমতেই বুদ্ধিজীবী- বিশেষ করে কমিউনিস্ট বুদ্ধিজীবী হতে পারেন না। অথচ কী আশ্চর্য, এঁরাই কিনা এত দিন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরূপে কল্কে পেয়ে এসেছেন!
যাই হোক, সে সময়কার সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির ৭৭ জন সদস্যের মধ্যে ৬৩ জনই পার্টি পরিত্যাগ করে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়লেন। তবে স্বস্তির বিষয় এই- এঁদের কারো কারো চূড়ান্ত অধঃপতন ঘটলেও অনেকেই কমিউনিস্ট নৈতিকতাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পেরেছেন এবং জনমনে শ্রদ্ধাস্পদ হয়ে আছেন।
কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে এখানে আর অধিক বাক্বিস্তারে প্রবৃত্ত হচ্ছি না। শুধু বলি, বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক শিবিরে বিপর্যয়ের ধাক্কায় সমাজতন্ত্রের জন্য নিবেদিতপ্রাণ কমিউনিস্টদের যদি এমন বেহাল দশা হয়, তবে অন্যদের কাছে অন্য রকম কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে?
এ পর্যায়েই উদ্ভব ঘটল তথাকথিত বিশ্বায়নের। 'তথাকথিত' বলছি এ কারণে যে এই বিশ্বায়ন বিশ্বজুড়ে সুস্থ আন্তর্জাতিকতার বিস্তার ঘটায়নি, কিংবা প্রতিটি জাতির স্বাধীন বিকাশের পথ অবারিত করে দিয়ে জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতিমূলক সহাবস্থানের পত্তন করেনি। শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অবর্তমানে এখনকার এককেন্দ্রিক বিশ্বে নিরঙ্কুশ শক্তিধর হয়ে উঠেছে যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সেই সাম্রাজ্যবাদের একচেটিয়া প্রভুত্ব বিস্তারেরই নাম দেওয়া হয়েছে 'বিশ্বায়ন'। বাংলাদেশের জনগণও এই বিশ্বায়নের গাড্ডায় পড়েই হিমশিম খাচ্ছে।
একচেটিয়া ধনতন্ত্রের বাহক সাম্রাজ্যবাদীরা কখনো কোনো দেশেই স্বাধীন ধনতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে দেয় না, কেবল কিছু উচ্ছিষ্টভোজী তৈরি করে রাখে। বিভিন্ন দেশে সাম্রাজ্যবাদের উচ্ছিষ্টভোগীদের হাতে যে ব্যবস্থার পত্তন ঘটে, তারই নাম 'লুটপাটতন্ত্র'। লুটপাটতন্ত্রীরাই এসব দেশের কর্তৃত্বশীল শক্তি। এদের অবস্থান তো সমাজতন্ত্রের থেকে সহস্র যোজন দূরেই থাকবে এবং আছেও তা-ই।
কিন্তু কত দিন এমন থাকবে? বিশ্ব কি সমাজতন্ত্র থেকে দূরে থাকতে পারবে? সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের সংকট কি এখনই প্রকট হয়ে উঠছে না? 'ধনতন্ত্রেই ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটে গেছে'- এমন মূঢ় বক্তব্যই কি ঐতিহাসিক সত্য রূপে প্রতিষ্ঠিত হবে? 'শ্রেণীসংগ্রাম মিথ্যা' এবং 'সভ্যতার সংঘাতই সত্য'- এমন আজগুবি তত্ত্বই কি সত্য প্রমাণিত হবে?
এসব প্রশ্নের বস্তুনিষ্ঠ উত্তর-অন্বেষার মধ্য দিয়েই বিশ্ব পরিস্থিতির অনেক ধূম্রজাল অপসারিত হতে পারে। তখনই স্পষ্ট প্রতিভাত হবে ভাবী বাংলাদেশের চিত্রটি এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের অন্তর্গত সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যবিন্দুর ব্যাপারটিও।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.