ভারতকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করছে ব্রিটেন

আগামী ২০১৫ সালের মধ্যেই ভারতকে দেওয়া ব্রিটিশ আর্থিক সাহায্য কমে আসবে শূন্যের কোঠায়। ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সচিব জাস্টিন গ্রিনিং সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই বরাদ্দকৃত কোনো প্রকল্প প্রত্যাহার করা না হলেও এ সময়ের মধ্যে আর কোনো নতুন প্রকল্প অনুমোদন করা হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর ফলে প্রতি বছর ব্রিটেনের কমপক্ষে ২০ কোটি পাউন্ড সমপরিমাণ অর্থ বেঁচে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর্থিক সহায়তার বদলে এরপর থেকে ভারতকে ব্রিটেন কারিগরী সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ব্রিটেনের এ ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে উভয় দেশে।তবে জাস্টিন গ্রিনিং দাবি করেছে তাদের এ পদক্ষেপ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধির একটি স্বীকৃতি।

এর আগে অবশ্য বেশ কয়েকবারই ভারতকে দেওয়া সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রক্ষণশীল দলীয় সদস্যরা। যে দেশ মহাকাশ প্রকল্পে কোটি কোটি পাউন্ড খরচ করে তাদের সাহায্য দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত মূলত তা নিয়েই এতদিন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের এ ঘোষণা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ভারতের সরকারের কাছেও এ ঘোষণা বিস্ময়কর ছিলো না বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। বরং সাহায্য বন্ধের যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণাকে উদীয়মান শক্তি হিসেবে ভারতের প্রতি উন্নত বিশ্বের এক ধরণের স্বীকৃতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে ভারতীয় মিডিয়ায়।

ব্রিটেনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদও মন্তব্য করেন “সাহায্য অতীত, কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যই ভবিষ্যত।”

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে তৃতীয় বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র ভারত। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাদে যুক্তরাজ্যে উৎপাদিত পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজারও বর্তমানে ভারত।

ব্রিটেনের দেওয়া অধিকাংশ সাহায্য মূলত ব্যয় হয় ভারতের পিছিয়ে পড়‍া এলাকার দরিদ্র জনগণের জীবন মান উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে । অনেকেই আশঙ্কা করছেন ব্রিটেন সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় ওই সব এলাকায় জীবন মান উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অতি দরিদ্র জনগণ।

No comments

Powered by Blogger.