খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন

পিতৃত্ব ছুটি... দুনিয়ার বহু দেশে মাতৃত্ব ছুটির ব্যবস্থা আছে। সন্তান জন্মদানের সময় এবং তার পরে মায়েরা এই ছুটি ভোগ করেন। কিন্তু পিতৃত্ব ছুটি? সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে জানা গেল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মাতৃত্ব ছুটির সঙ্গে সরকারী পুরুষ কর্মচারীদের জন্য পিতৃত্ব ছুটিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।


সন্তানের জন্ম হলে তার দেখাশোনার ক্ষেত্রে মায়েদের ভূমিকার পাশাপাশি বাবাদের ভূমিকার গুরুত্বও কম নয়। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সেকথা স্বীকার করেছেন। পুরুষ সরকারী কর্মচারীদের পিতৃত্ব ছুটির দাবি ছিল অনেক দিনের। সে দাবি পূরণ হলো। সরকার ৭ দিনের পিতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর করেছে বলে জানা গেল।
বাড়িতে সন্তান জন্মেছে সবাই আনন্দ করছে, সবার মুখে হাসি, একটা যেন ঘরোয়া উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পরিবারে, সেখানে সবাই থাকবে, শুধু পিতাটি অফিস টাইমে মাথায় দু’ঘটি পানি ঢেলে নাকে মুখে কিছু গুঁজে ছুটবেন অফিসে আর সারাদিন সেখানে বিরস বদনে কলম পিষবেন, এটা কেমন দেখায়! তাছাড়া ঘরে সন্তান এলে শুধু সন্তানের দেখাশোনাই নয়, সন্তানের মায়ের সেবাযতও তো দরকার। সেজন্য সন্তানের বাবার ঘরে থাকা দরকার। তাই কাজটির প্রশংসা করতেই হয়। খবরে আরও জানা গেছে, প্রথম দুটি সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বাবাদের এই ছুটি কার্যকর হবে। দুইয়ের পরবর্তী পর্যায়কে নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি হয়ত কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে।

গরুর নাম উঠল গিনেস বুকে
দুধ দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেছে কানাডার একটি গাভী। আমেরিকার মিশিগানের বিশ্ব রেকর্ডধারিণী গাভীকে হারিয়ে কানাডার এই গাভীটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে উঠে এসেছে গিনেস বুকে। কানাডার এক ব্যক্তির খামারের এই গাভীটির নাম ‘স্মার্ফ।’ গাভীটি এরই মধ্যে ১১টি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। তার রেকর্ড হচ্ছে : ১৫ বছরে তার দুধ দেয়ার পরিমাণ ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৯১ কেজি। গ্লাসে করে মাপলে দাঁড়াবে ১০ লাখ গ্লাস। ১৫ বছরে দুধ দেয়ার হিসাবের ক্ষেত্রে কানাডার এই গাভীটি ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের সব গাভীকে। প্রকাশিত এক খবরে জানা গেল একথা।
কানাডার ঐ ব্যক্তির খামারের দুধেল গাভীটি যে একটা পয়মন্ত গরু তাতে সন্দেহ নেই। দুধের ধারা বইয়ে দিয়ে সে যে শুধু তার মালিকের জন্য বেশি অর্থ লাভের পথ খুলে দিয়েছে তাই শুধু না, দুধ দেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস বুকে নাম উঠিয়ে মালিককেও বিশ্বখ্যাত করে দিয়েছে।
গরু খুবই উপকারী প্রাণী সে কথা সবাই জানে। গরু মানুষের বহু ধরনের উপকার করে। এর দুধ খুবই পুষ্টিকর খাদ্য, আবালবৃদ্ধ সবার জন্যই উপকারী।
এই উপকারী মূল্যবান জিনিস গরু দিয়ে যাচ্ছে মানুষকে। পরোপকারের একটা উজ্জ্বল উদাহরণ এটি। ঠিক সেই নদী বা বৃক্ষের মতো। সেই যে কবিতায় আছে : ‘নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল/তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল।’ গাভী সম্পর্কেও তেমনি কথা আছে : ‘গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান।’ এমন শত শত কেজি দুধ দেয়ার খবর শুনলে ভালই লাগে, তবে শুধু এই ভেবে আফসোস হয়, এদেশে কবে সস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গরুর খাঁটি দুধ পাওয়া যাবে, যে দুধ এ দেশের সকল শিশুর কাছে পৌঁছবে! আর এখনই যে দুধ পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে কোন কোনটিতে নাকি পানি মেশানো থাকে, কোন কোনটিতে কেমিক্যালও নাকি দেয়া হয়। তাই একই সঙ্গে আরও প্রশ্ন জাগে, ভেজাল তথা অপদ্রব্যমুক্ত খাঁটি দুধ পাওয়ার সামগ্রিক নিশ্চয়তাই বা কবে সৃষ্টি হবে!

No comments

Powered by Blogger.