মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলের উদ্যোগ

মালয়েশিয়ায় ঔপনিবেশিক আমল থেকে বিদ্যমান রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ আইনবলে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে জোরালোভাবে চেপে ধরা যায় বলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। প্রায় ছয় দশকের পুরনো আইনটির পরিবর্তে 'জাতীয় সম্প্রীতি আইন' কার্যকর হবে। প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক গত বুধবার রাতে এ ঘোষণা দেন।


সরকারের দাবি, প্রস্তাবিত জাতীয় সম্প্রীতি আইনটি অনেক বেশি উদারনীতিক। মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে এটি। মানুষের বৃহত্তর স্বাধীনতার ক্ষেত্র প্রসারিত করার অংশ হিসেবে 'বিগত যুগের' আইনটি বাতিলের কথা জানান নাজিব।
তবে বিরোধীরা সরকারের এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, গত এপ্রিলে ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনের (আইএসএ) পরিবর্তে নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ বিধান) আইন প্রণয়ন করা হলেও তার সুফল পায়নি দেশবাসী। দাবির পক্ষে তারা গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কথা তোলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারি দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পাঁচটি প্রদেশের ক্ষমতা হাতছাড়া হয় ক্ষমতাসীন বারিসান জোটের। ক্রমে বিরোধীরা শক্ত অবস্থানে চলে যাচ্ছে। এটি আঁচ করতে পেরে ২০০৯ সালে শাসনভার হাতে নিয়ে জনগণের স্বাধীনতার ক্ষেত্র প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেন রাজাক। তারই অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত কয়েকটি 'দমনমূলক' আইন বাতিল বা সংস্কার করছে সরকার। পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতায় আছে বারিসান জোট। সূত্র : এএফপি, আইএএনএস।

No comments

Powered by Blogger.