রেকর্ড গড়ে শেষ করলেন বোল্ট

উসাইন বোল্টের আফসোস কমল নাকি বাড়ল? বলা মুশকিল। ১০০ মিটারের ফলস স্টার্টের দুঃখ ঘোচারই কথা, ২০০ মিটারের পর ৪–১০০ মিটার রিলেতেও সোনা জিতলেন। কাল দেগু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনটা বোল্ট আর তাঁর জ্যামাইকান সতীর্থরা আলোকিত করেছেন রিলেতে নতুন রেকর্ড গড়ে। এর পরও বোল্টের আফসোস হওয়ার কথা, ১০০ মিটারের ফলস স্টার্টটি না হলে হয়তো বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের আরেকটি বিরল ‘ট্রেবল’ হতো তাঁর। গত চ্যাম্পিয়নশিপেও জিতেছিলেন তিন সোনা।
কাল শেষ দিনে আরেকটি আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। গতবার মেয়েদের ৮০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতার পর বহু আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া কাস্টার সেমেনিয়াকে হারিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রায় অখ্যাত দৌড়বিদ মারিয়া শাভিনোভা। তাঁর টাইমিং ১ মিনিট ৫৫.৮৭ সেকেন্ড। আর ১ মিনিট ৫৬.৩৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন সেমেনিয়া। অবশ্য রুপা পেয়েও খুব অখুশি নন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দৌড়বিদ।
৪–১০০ মিটার রিলের সোনা যে জ্যামাইকা জিততে চলেছে, সেই পূর্বাভাস ছিলই। ১০০ মিটারের দুঃখ ভুলে অনায়াসে ২০০ মিটারে জিতেছেন বোল্ট, ১০০ মিটারে ইয়োহান ব্লেক। কাল জ্যামাইকার রিলে দলে আর ছিলেন নেস্তা কার্টার ও মাইকেল ফ্র্যাটার। এবার আর ফলস স্টার্টের ভয় ছিল না বোল্টের। কারণ অ্যাঙ্কর ছিলেন তিনি, মানে সবার শেষে দৌড়েছেন। দারুণ শুরু করা জ্যামাইকা দল বোল্টের ছোঁয়ায় ৩৭.০৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে। ভেঙে দেয় ২০০৮ অলিম্পিকে নিজেদেরই গড়া ৩৭.১০ সেকেন্ডের বিশ্ব রেকর্ড। বোল্ট, কার্টার আর ফ্র্যাটার আগের রেকর্ডেরও অংশীদার ছিলেন। এই ইভেন্টে জ্যামাইকার বড় প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র দৌড় শেষই করতে পারেনি। ট্র্যাকে পড়ে গেছেন ডারভিস প্যাটন।
শেষটা দুর্দান্তই হলো বোল্টের। কিন্তু বলতে কি পারছেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার?

No comments

Powered by Blogger.