আফ্রিদির স্পিনেই শেষ কেনিয়া

দেখতে দেখতেই ম্যাচটা শেষ। জিততে না পারলেও একটু লড়াই তো করতে পারত কেনিয়া। তা আর হলো কই। শহীদ আফ্রিদির লেগ ব্রেক ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে অলআউট মাত্র ১১২ রানে। ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক হয়ে গেলেন কেনিয়ার ঘাতক।
উপমহাদেশের উইকেটে স্পিনাররাই গড়বেন ম্যাচের ভাগ্য—বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশেষজ্ঞরা ঘুরেফিরে কথাটি বলেছেন। কিন্তু আগের ৫ ম্যাচে সেভাবে স্পিনাররা আলোটা কাড়তে পারেননি। ষষ্ঠ ম্যাচ দেখল আফ্রিদি-জাদু।
নিজেরা ব্যাট হাতে করেছেন ৩১৭। কেনিয়া এই রান তাড়া করে জিতবে—বাজি ধরার লোক বলতে গেলে ছিলই না। কেনিয়া আর আগের কেনিয়া নেই—এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে পাকিস্তানের জয়টাই দেখছিলেন অনেকে। এই অবস্থায় কেনিয়া যখন ১৮ ওভার ২ উইকেটে ৬০, জয় তো তখন প্রায় আলিঙ্গনই করে ফেলেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
১৯তম ওভারে বল হাতে নেন আফ্রিদি। প্রথম প্রথম ওভারে রান দেননি। দ্বিতীয় ওভারে ৪ রান। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টিভ টিকোলোকে বোল্ড। পঞ্চম ওভারের তৃতীয়, ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয়, সপ্তম ওভারের পঞ্চম, অষ্টম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন কেনিয়াকে।
কেনিয়া তখন ধ্বংসস্তূপ, ৯ উইকেটে ১২২। শেষ উইকেটটা তাঁর নেওয়া হলো না, ওটা যে রানআউট। ওয়ানডেতে এর আগে আফ্রিদির সেরা বোলিং ছিল ৩৮ রানে ৬ উইকেট। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, দুবাইয়ে। শেষ উইকেটটা রানআউট না হয়ে আফ্রিদি নিলে এদিনই নিজের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়তে পারতেন।
নানা বিতর্কের ছায়া নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে পাকিস্তান। অধিনায়ক কাকে করা হবে, সেটা নিয়েও জল ঘোলা হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত ওই দায়িত্ব পেয়ে দলটাকে এক সূত্রে গাঁথার কথা বারবারই বলেছেন আফ্রিদি। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ৭, কিন্তু বল হাতে একাই কেনিয়াকে শেষ করে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে। পাকিস্তান তাদের অধিনায়ককে এভাবেই দেখতে চায়। কিন্তু ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী ইমরান খানের জুতোয় কি পা গলাতে পারবেন আফ্রিদি?

No comments

Powered by Blogger.