ব্যাংক খাত ছয় মাসে আকর্ষণীয় পরিচালন মুনাফা করেছে
দেশের ব্যাংক খাত ২০১০ সালের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আকর্ষণীয় পরিচালন মুনাফা করেছে।
সাম্প্রতিক বিশ্বমন্দার প্রথম কারণ হচ্ছে, ব্যাংক ও আর্থিক, বিশেষত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবাজারে বিপর্যয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং সে সময়ও ব্যাংকগুলো বেশি মুনাফা করতে সক্ষম হয়।
তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ব্যাংকই ঋণের বদলে শেয়ারবাজারকেন্দ্রিক তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে মুনাফার প্রবৃদ্ধি ভালো করেছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ঋণ ব্যবসায় খুব মুনাফা করতে পারেনি, এমন কথাও বলা হচ্ছে।
বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নিজস্ব উদ্যোগে সংগ্রহ করা সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বরাবরের মতো অর্ধবার্ষিকীর হিসাবে পরিচালন মুনাফার পরিমাণের দিক থেকে সর্বাধিক আয় হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। ছয় মাসে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৪৯৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪০৪ কোটি টাকা।
তবে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ (ঋণ) পদ্ধতি ভিন্ন। উপরন্তু, ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ বেসরকারি একক কোনো ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে পরিচালন মুনাফা প্রকাশের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো পরিচালন মুনাফা প্রকাশ করতে পারে না। এই বিধিনিষেধ এসেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও তাতে সম্মতি দিয়েছে।
তবে শেয়ারবাজারে যাঁরা প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করেন এবং যাঁদের হাতে কোনো ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে, তাঁরা ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমেই এ তথ্য আগেভাগেই পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী পরিচালন মুনাফা প্রকাশ একটি সাধারণ ঘোষণার বিষয়। তবে নিট মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত আয়। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) এবং কর (৪২.৫ শতাংশ) বাদ দিয়ে নিট মুনাফার হিসাব হয়। ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীকে অপেক্ষা করতে হয় নিট বা প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া পর্যন্ত।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩৩৫ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে করেছিল ২৫০ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক এবার করেছে ৪০০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ২০০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংক করেছে ২৮৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৮০ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক করেছে ২৯৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৭৭ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক করেছে ৩৬৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৬৪ কোটি টাকা। এনসিসি ব্যাংক করেছে ১৮৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৪৫ কোটি টাকা। ইউসিবিএল ২২৬ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩২ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক করেছে ১৮১ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩০ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়া করেছে ২১৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৮ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক করেছে ২১০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৭ কোটি টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২৩০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৫ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২২০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৯৩ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি, আগের বছর করেছিল ৮১ কোটি টাকা। আল-আরাফাহ্ ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ৮০ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। এসআইবিএল করেছে ১০৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৬২ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক করেছে ১৩৯ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭১ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক করেছে ১০৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭০ কোটি টাকা। ওয়ান ব্যাংক করেছে ১৬৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৬৮ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১৫ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে, গত বছর করেছিল ৫০ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে।
সাম্প্রতিক বিশ্বমন্দার প্রথম কারণ হচ্ছে, ব্যাংক ও আর্থিক, বিশেষত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবাজারে বিপর্যয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং সে সময়ও ব্যাংকগুলো বেশি মুনাফা করতে সক্ষম হয়।
তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ব্যাংকই ঋণের বদলে শেয়ারবাজারকেন্দ্রিক তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে মুনাফার প্রবৃদ্ধি ভালো করেছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ঋণ ব্যবসায় খুব মুনাফা করতে পারেনি, এমন কথাও বলা হচ্ছে।
বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নিজস্ব উদ্যোগে সংগ্রহ করা সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বরাবরের মতো অর্ধবার্ষিকীর হিসাবে পরিচালন মুনাফার পরিমাণের দিক থেকে সর্বাধিক আয় হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। ছয় মাসে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৪৯৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪০৪ কোটি টাকা।
তবে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ (ঋণ) পদ্ধতি ভিন্ন। উপরন্তু, ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ বেসরকারি একক কোনো ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে পরিচালন মুনাফা প্রকাশের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো পরিচালন মুনাফা প্রকাশ করতে পারে না। এই বিধিনিষেধ এসেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও তাতে সম্মতি দিয়েছে।
তবে শেয়ারবাজারে যাঁরা প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করেন এবং যাঁদের হাতে কোনো ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে, তাঁরা ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমেই এ তথ্য আগেভাগেই পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী পরিচালন মুনাফা প্রকাশ একটি সাধারণ ঘোষণার বিষয়। তবে নিট মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত আয়। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) এবং কর (৪২.৫ শতাংশ) বাদ দিয়ে নিট মুনাফার হিসাব হয়। ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীকে অপেক্ষা করতে হয় নিট বা প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া পর্যন্ত।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩৩৫ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে করেছিল ২৫০ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক এবার করেছে ৪০০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ২০০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংক করেছে ২৮৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৮০ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক করেছে ২৯৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৭৭ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক করেছে ৩৬৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৬৪ কোটি টাকা। এনসিসি ব্যাংক করেছে ১৮৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৪৫ কোটি টাকা। ইউসিবিএল ২২৬ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩২ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক করেছে ১৮১ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩০ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়া করেছে ২১৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৮ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক করেছে ২১০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৭ কোটি টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২৩০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৫ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২২০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৯৩ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি, আগের বছর করেছিল ৮১ কোটি টাকা। আল-আরাফাহ্ ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ৮০ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। এসআইবিএল করেছে ১০৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৬২ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক করেছে ১৩৯ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭১ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক করেছে ১০৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭০ কোটি টাকা। ওয়ান ব্যাংক করেছে ১৬৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৬৮ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১৫ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে, গত বছর করেছিল ৫০ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে।
No comments