মহাকাশের প্রথম জরুরি মিশনে সফল চীন

প্রথম জরুরি মহাকাশ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে চীন। এ মাসের শুরুতে কক্ষপথে একটি মহাকাশযান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ক্রু যুক্ত স্পেস স্টেশনে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় এই সফলতা পেলো দেশটি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ-২এফ রকেটে চড়ে মানববিহীন শেনঝো-২২ মহাকাশযান আকাশে উড়াল দেয়। উৎক্ষেপণের পর যানটি সফলভাবে রকেট থেকে পৃথক হয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, রকেটটি আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে মহাকাশের দিকে ছুটে যাচ্ছে। আর যানটি কক্ষপথে প্রবেশ করার সময় পৃথিবীর পটভূমি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সিসিটিভির তথ্যমতে, তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সফলভাবে নোঙর করে শেনঝো-২২। যানটিতে চড়ে এ মাসের শুরুতে চীনা তিন নভোচারীকে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু এর রিটার্ন ক্যাপসুলের জানালায় ফাটল দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়।

২০২১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শেনঝো মিশনের মাধ্যমে চীন ছয় মাস মেয়াদি অভিযানে নভোচারীদের তিয়ানগংয়ে পাঠাচ্ছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সবসময় একটি ব্যাকআপ রকেট ও শেনঝো মহাকাশযান প্রস্তুত রাখা বাধ্যতামূলক। সিএমএসএ জানিয়েছে, জিউকুয়ানে পূর্বেই রকেট ও শেনঝো-২২ প্রস্তুত থাকায় মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে জরুরি উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যেখানে সাধারণত একটি শেনঝো মিশনের প্রস্তুতিতে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ ইতিহাসে গত বছর নাসার দুই নভোচারী বোয়িং স্টারলাইনারের ত্রুটির কারণে মাত্র এক সপ্তাহ থাকার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে ছিলেন নয় মাস। পরবর্তীতে নানা বিলম্বের পর তারা স্পেসএক্স ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ২০২১ সাল থেকে মহাকাশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বা তার আগেই চাঁদে নভোচারী পাঠানো।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.