কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর নীতির ব্যর্থতাই দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ: মেহবুবা মুফতি
জম্মু–কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছয় বছর কেটে গেছে। কাশ্মীরি জনতার সঙ্গে সরকার এখনো কোনো রকম আলোচনাই শুরু করল না। সব দরজা–জানালা তারা বন্ধ করে রেখেছে। সমস্যার সমাধানের পথে এগোনোর চেষ্টাও নেই। তল্লাশি আর তল্লাশি চলছে। নিরীহদের ধরপাকড়ও অব্যাহত। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
মেহবুবা মুফতি বলেন, মানুষের মন জয়ের কোনো চেষ্টা নেই। তরুণেরা বিচ্যুতির পথে সরে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত পরিবেশ। লালকেল্লার কাছে সাম্প্রতিক গাড়ি বিস্ফোরণে কাশ্মীর নীতির এই ব্যর্থতাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে মেহবুবা বলেন, ‘আপনারা গোটা বিশ্বকে বলে চলেছেন, কাশ্মীর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু আপনারা প্রতিশ্রুতি পালন করলেন না। আপনাদের নীতি দিল্লিকেও অনিরাপদ করে তুলেছে।’
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারে কতজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক আছেন, জানি না। উচ্চশিক্ষিত তরুণ, চিকিৎসক যদি এভাবে মৃত্যুবরণ করেন, শরীরে আরডিএক্স বিস্ফোরক বাঁধতে পারেন, তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, দেশটা কতখানি অনিরাপদ।’
কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে মেহবুবা বলেন, ‘হিন্দু–মুসলিম রাজনীতি করে আপনারা ভোটে জিততে পারেন। কিন্তু ভেবে দেখুন, দেশটা কোন রসাতলে যাচ্ছে।’
জম্মু–কাশ্মীরের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সকে হারিয়ে বদগাম বিধানসভার উপনির্বাচনে জেতার পর পিডিপি নেত্রী গতকাল রোববার দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করেন।
সরকারের উদ্দেশে মেহবুবা বলেন, যুদ্ধবাজ বিশ্বনেতাদের কথায় উদ্বুদ্ধ না হয়ে শীর্ষ নেতাদের উচিত গান্ধীজি ও অটল বিহারি বাজপেয়ীর দেখানো শান্তির পথে হাঁটা। সে জন্য নীতির বদল হওয়া জরুরি।
দিল্লির উদ্দেশে সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভয়ের বাতাবরণ শেষ করুন। আত্মানুসন্ধান করুন। ভোটব্যাংকের রাজনীতি ছেড়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হোন। কাশ্মীরি জনগণের দুঃখ–দুর্দশা কষ্ট অনুভব করুন। গুটিকয় মানুষের ভুলের জন্য সব কাশ্মীরি জনতাকে দোষারোপ করবেন না।’
মেহবুবা বলেন, ২০১৯ সালের পর ছয় বছর কেটে গেছে। কাশ্মীরি ক্ষতে এখনো প্রলেপ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা করে তিনি বলেন, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য তদন্তে যাবতীয় সহযোগিতা করা উচিত।
![]() |
| পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। ছবি: এএনআই |

No comments