পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার ইসরায়েলের উদ্যোগ শান্তিচুক্তির জন্য হুমকি: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারা গত মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরকে (ইসরায়েলের সঙ্গে) সংযুক্ত করা ও ইহুদি বসতি সম্প্রসারণসংক্রান্ত দুটি বিল সামনে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেন।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে বিলটি ২৫-২৪ ভোটে পাস হয়।
গাজায় ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে মাত্র এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দেন।
গতকাল বুধবার রুবিও বলেন, পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রেসিডেন্টও বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এটি এমন কিছু নয়, যেটি আমাদের এখনই সমর্থন করতে হবে।’
সংযুক্তিকরণে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা শান্তিচুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে বলেও মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক। এদিন সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘তারা একটি গণতান্ত্রিক দেশ; তারা ভোট গ্রহণ করবে এবং লোকজন নিজ নিজ অবস্থান জানাবেন। কিন্তু এ মুহূর্তে, এটি এমন কিছু, যা নেতিবাচক হবে বলেই আমরা মনে করছি।’
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর উগ্র ইসরায়েলি বসত স্থাপনকারীদের সহিংসতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুবিও বলেন, ‘আমাদের অর্জনকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে—এমন যেকোনো কিছু নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
এদিন রুবিও সামগ্রিকভাবে শান্তিচুক্তি রক্ষার বিষয়েও আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই শান্তিচুক্তির বিরুদ্ধে হুমকি আসবে। তবু আমি মনে করি, আমরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কাজে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এগিয়ে আছি এবং সপ্তাহান্তে সে লক্ষ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেটা ভালো লক্ষণ।’
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থক। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এখন পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্যোগের সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন গাজায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে সেনা ও অর্থ প্রদানে কয়েকটি আরব ও ইসলামি দেশকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পদক্ষেপ একটি বিপৎসীমা।
![]() |
| ইসরায়েলি হামলার মুখে শরণার্থীশিবির ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। পশ্চিম তীরের জেনিনে। ফাইল ছবি: এএফপি |

No comments