ইসরায়েলের মিত্ররা কি ‘ডুবন্ত জাহাজ’ ত্যাগ করছে by জোসেফ মাসাদ
ইসরায়েল–সমর্থক ব্রিটিশ ও আমেরিকান ইহুদি সংগঠনগুলোও এই নতুন উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে ও পরে সংঘটিত ইসরায়েলের চলমান অপরাধগুলোকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও আগুনঝরা হামলার পাশাপাশি জীবিত ফিলিস্তিনিদের পরিকল্পিতভাবে গণ-অনাহারের মধ্যে রাখার ঘটনাগুলো তাদের মধ্যে নৈতিক দ্বিধার সঞ্চার করেছে।
জায়োনিজমবিরোধী ও অন্যান্য বামপন্থী ইহুদি সংগঠন শুরু থেকেই ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে ও প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু ব্রিটিশ ও আমেরিকান প্রো-ইসরায়েলি ইহুদি সংগঠনগুলোর অধিকাংশই এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেখিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে এ অবস্থার পরিবর্তন দেখা গেছে। সমন্বিত ও প্রায় একই সময়ে দেওয়া একাধিক বিবৃতিতে তারা গাজায় দুর্ভিক্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অতিশয় কঙ্কালসার শিশুদের ছবি, সামরিক নিয়ন্ত্রিত সাহায্যকেন্দ্রে ভিড় জমানো হতাশ জনতা আর খাদ্যের সন্ধানে দৌড়ে আসা ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞ—এসব দৃশ্য ইসরায়েলপন্থী পশ্চিমা সরকার ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ইসরায়েলের অপরাধকে বৈধতা দেওয়া বা এই মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা উপেক্ষা করা অসম্ভব করে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতাকে বাদ দিলে এখন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে, ইসরায়েলের অবশিষ্ট অল্প কয়েকজন মিত্রও গণহত্যা ও গাজার পুনর্দখলের পথে প্রত্যাশিত মাত্রায় তাদের সমর্থন দিতে প্রস্তুত নয়, বরং কেউ কেউ হয়তো ইতিমধ্যে ‘ডুবন্ত জাহাজ’ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিলম্বিত উৎকণ্ঠা
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত দেশটির সমর্থকেরা সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধ নিয়ে তাদের উল্লাস কিছুটা স্তিমিত করেছে এবং ‘মানবিকতার প্রতি কৃত্রিমভাবে মাথা নেড়ে’ তারা চেষ্টা করছে যেন ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযান বৈশ্বিক ক্ষোভ সত্ত্বেও অবাধে চলতে পারে।
২৭ জুলাই প্রো-ইসরায়েল আমেরিকান জিউইশ কমিটি (এজেসি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ‘হামাস নির্মূল ও অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ন্যায্যযুদ্ধ’ সমর্থন করে। একই সঙ্গে তারা ‘ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের ওপর এই যুদ্ধে পড়া গুরুতর ক্ষতির জন্য গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করে এবং গাজায় ক্রমবর্ধমান খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানায়।
এজেসি একই সঙ্গে গাজায় সাহায্য প্রবাহ ও বণ্টন বাড়াতে ইসরায়েলের ঘোষিত ‘একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে’ স্বাগত জানায়।
তারা আহ্বান জানায়, ইসরায়েল, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘ এবং সাহায্য বিতরণে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যেন সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ায়, যাতে গাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছায়।
ফিলিস্তিনিদের জন্য এই বিলম্বিত উদ্বেগ প্রকাশের লাইনে এজেসি একা নয়। একই সপ্তাহে নিউইয়র্কভিত্তিক র্যাব্বিনিকাল অ্যাসেম্বলি, যা ইহুদি ধর্মের রক্ষণশীল অংশের প্রতিনিধিত্ব করে—এ সংগঠনটিও ‘গাজায় ক্রমশ অবনতিশীল মানবিক সংকট’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা ‘নাগরিক ভোগান্তি লাঘব ও সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে।
অ্যাসেম্বলি আরও আহ্বান জানিয়েছে: ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়, মর্যাদা ও নিরাপত্তাভিত্তিক এক ভবিষ্যৎ গড়া এবং মানবিক সাহায্য যাতে প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে পৌঁছায়, তার জন্য ইসরায়েল যেন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। ইহুদি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি ইঙ্গিত করে তারা বলে, ‘ইহুদি ঐতিহ্য আমাদের আহ্বান জানায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে।’
তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ইউনিয়ন ফর রিফর্ম জুডাইজম। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় ইহুদি ধর্মীয় সংগঠন, যা ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত জায়নবাদের কঠোর বিরোধী ছিল।
২৭ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রিফর্ম মুভমেন্ট বলেছে, ‘সামরিক চাপ বাড়ানো বা মানবিক সাহায্য সীমিত করার মাধ্যমে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তির কাছাকাছি আসতে পারেনি কিংবা যুদ্ধ শেষও করতে পারেনি।’ তারা আরও যোগ করেছে: ইসরায়েল তার নৈতিক অবস্থান বিসর্জন দিতে পারে না… গাজার বেসামরিক মানুষকে অনাহারে রাখা ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে যে ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ চাইছে, তা এনে দেবে না আর এটি ইহুদি মূল্যবোধ বা মানবিক আইনের দ্বারা কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না।
এর কয়েক দিন পর বিশ্বের বিভিন্ন মতাদর্শিক শাখার এক হাজার রাব্বির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঘোষণা করা হয় যে তারা অসংখ্য নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বেসামরিকদের গণহত্যা কিংবা যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারেন না। তাঁরা লিখেছেন, ‘এটি শুধু ইসরায়েলের নয়, বরং ইহুদিধর্মেরই নৈতিক সুনামের প্রশ্ন—যে ইহুদিধর্মকে আমরা আমাদের জীবন উৎসর্গ করেছি।’
ক্ষয়ক্ষতি সামলানো
ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের বিবৃতি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়েছে। ২৯ জুলাই যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ইহুদি সংগঠন বোর্ড অব ডেপুটিজ গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘সব উপলব্ধ চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত, বাধাহীন ও টেকসইভাবে সাহায্য বাড়ানোর’ আহ্বান জানায়; যুদ্ধাপরাধের সমালোচনা করায় মাত্র এক মাস আগে নিজেদের সদস্যদের শাস্তি দেওয়ার পরই তারা এ অবস্থান নিল।
সেদিনই ৩১ জন বিশিষ্ট ইসরায়েলি ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখার দায়ে ইসরায়েলের ওপর ‘অত্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান। এই আহ্বান আসে তার এক দিন পর, যখন দুটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন বেতসেলেম এবং ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে এককাতারে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
সাম্প্রতিক এক ফোনকলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চিৎকার করে বলেন, তিনি যেন দুর্ভিক্ষের বিষয়টি অস্বীকার করা বন্ধ করেন, এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
এরপরও কেউ যেন না ভাবে যে এই মনোভাব সর্বজনীন। কারণ তা বাস্তব নয়; সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৯ শতাংশ ইসরায়েলি ইহুদি গাজায় দুর্ভিক্ষ ও ভোগান্তির খবরে ‘খুব একটা বিচলিত নন’, কেউ কেউ ‘একেবারেই বিচলিত নন’।
ইসরায়েলি নীতির বিরুদ্ধে আপত্তি এসেছে অধিকাংশ পশ্চিমা সরকারের পক্ষ থেকেও। বিশেষত ইসরায়েলের নবঘোষিত গাজা পুনর্দখল পরিকল্পনা নিয়ে। এমনকি ইসরায়েলপন্থী ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান–এর প্রধান অনেক লেখকও তীব্র আতঙ্ক প্রকাশ করে সতর্ক করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে এ পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, এটি ‘কোনো সামরিক বিজয় নিশ্চিত করে না’ বরং ‘হামাসের সঙ্গে সংঘাতকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায়, যার কোনো সমাপ্তি নেই।’
ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অন্যরা—পুনর্দখলের বিরোধিতায় একত্র হয়েছে।
তাদের এই প্রতিবাদ এসেছে নেতানিয়াহুর দাবির পরও, যেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য কেবল ‘গাজাকে হামাস থেকে মুক্ত করা এবং সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেওয়া’।
অক্টোবর ২০২৩ থেকে প্রতিটি ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করা উগ্র ইসরায়েলপন্থী জার্মান সরকারও এখন গণহত্যারত এই রাষ্ট্রের কাছে নতুন কোনো অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে, যা চলমান নিধনযজ্ঞে ব্যবহৃত হতে পারত।
এর পাশাপাশি পশ্চিমাদের নতুন কৌশল হলো আগামী মাসে জাতিসংঘে এক কাল্পনিক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া, যা ইসরায়েলি ঔপনিবেশকে নিজ থেকেই বাঁচানো এবং গণহত্যায় পশ্চিমা প্রকাশ্য ও সক্রিয় সমর্থনকে আড়াল করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।
একইভাবে পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত আরব দেশের একনায়কেরাও, যারা গণহত্যা শুরুর পর থেকে বাস্তবিকভাবে (যদিও সব সময় বক্তব্যে নয়) ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তারা এসব পদক্ষেপের সহযোগী হচ্ছে।
ডুবন্ত জাহাজ
জাতিসংঘের স্বাধীন র্যাপোর্টিয়ার এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো দেরিতে হলেও গাজায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর পশ্চিমা সরকার ও মূলধারার গণমাধ্যম, এমনকি কিছু ইসরায়েলি সংগঠনের জন্য গাজার ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মাত্রাকে যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা, অস্বীকার করা বা সন্দেহ তৈরি করা অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। গত কয়েক মাসে এ ধরনের বয়ান ক্রমেই অ–টেকসই হয়ে পড়েছে।
তার ওপর হামাসের বিরুদ্ধে কিংবা ইরানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে জয়লাভে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা মূলত বেসামরিক মানুষ হত্যার মধ্যেই সীমিত অথচ তাদের বশ্যতা স্বীকার করাতে ব্যর্থ—এই বাস্তবতা পশ্চিমা সরকারগুলোর জন্য একটি বড় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।
পশ্চিমাদের প্রতিদিনের সামরিক, গোয়েন্দা, আর্থিক ও কূটনৈতিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল এই গণহত্যা চালাতে পারত না; এমনকি আবার তাদের দশকের পর দশক ধরে শত্রু বানানো দেশগুলোর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারত।
অধিকাংশ ইসরায়েলি ইহুদি ভোটারের সমর্থনে গঠিত ইসরায়েলি সরকার যেসব নীতি চালিয়ে যাচ্ছে, তা দেশের পশ্চিমা জনমতের
কাছে দেশটির অবস্থানকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; পশ্চিমাদের জন্য আঘাতের ওপর আঘাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর ফলে সাম্প্রতিক ব্যর্থতাগুলো দেখে ইসরায়েলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের বাকি মিত্রদেশগুলো ‘লাইফবোট’ খুঁজতে শুরু করেছে, তারা হয়তো ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে তলিয়ে যেতে চাইছে না।
১৯৫০-এর শেষ ও ১৯৬০-এর শুরুতে আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধের শেষে যেমন ফরাসি জনগণ উপনিবেশ রক্ষার শেষ চেষ্টায় আলজেরীয়দের বিরুদ্ধে এবং ফ্রান্সের ভেতরে ফরাসি বসতিদের চালানো বর্বর সহিংসতায় ক্লান্ত হয়ে উঠেছিল, ইসরায়েলি ঘটনাতেও আমরা তেমন প্রবণতা লক্ষ করছি।
পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে জরিপগুলো দেখাচ্ছে, ডান থেকে বাম পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসরায়েলের নৃশংসতাকে নিন্দা করছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও শুধু বাম নয়, ট্রাম্পপন্থী ডানপন্থীরাও ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রটিকে পরিত্যাগ করেছে এবং এর প্রতি মার্কিন সমর্থনের বিরোধিতা করছে।
ইসরায়েলের একগুঁয়ে পশ্চিমা সমর্থকদের আশঙ্কা হচ্ছে, এর পরিণতি ফরাসি আলজেরিয়ার মতো হতে পারে। নেতানিয়াহু নিজেও এক দশক ধরে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ইসরায়েল হয়তো তার শততম জন্মদিন পর্যন্ত টিকে থাকবে না; এটি এই ভয়কে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে যে ইসরায়েল নিজেই নিজের পতনকে দ্রুততর করছে।
* জোসেফ মাসাদ, নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক আরব রাজনীতি ও বৌদ্ধিক ইতিহাসের অধ্যাপক। তিনি বেশ কিছু বই এবং একাডেমিক ও সাংবাদিকতামূলক প্রবন্ধের লেখক।
- মিডলইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম
![]() |
| ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফাইল ছবি: এএফপি |

No comments