ফ্রান্সে ইহুদিবিদ্বেষ অভিযোগ তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব
তিনি ম্যাক্রনকে ইসরাইলবিরোধী সমালোচনা কমানোর আহ্বান জানান এবং বলেন, আমি প্রস্তুত আছি ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গে কাজ করে একটি কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির জন্য। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্রান্স এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। এগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। একই সঙ্গে তারা ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১-এর কথা উল্লেখ করে জানায়, কোনো রাষ্ট্রদূতের বিদেশি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি নেই। এই চিঠি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও মিলে যায়। গত সপ্তাহে ম্যাক্রনকে চিঠি লিখে নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়ে ম্যাক্রন ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দিচ্ছেন।
ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। ঘোষণার সময় ম্যাক্রন বলেন, আমাদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ইসরাইলকে পূর্ণ স্বীকৃতি দিয়ে ও নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সবার নিরাপত্তায় অবদান রাখতে হবে। অন্য কোনো বিকল্প নেই। ম্যাক্রন আগেও প্রকাশ্যে বলেছেন, ইহুদিবিদ্বেষ ফরাসি মূল্যবোধের পরিপন্থি। এ কারণে গাজা সংঘাতের পর ইহুদিদের উপাসনালয় ও কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ চালায়। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরাইল গাজায় হামলা চালায়। সেখানকার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইতিমধ্যে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজা সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ক্ষুধা, নিঃস্বতা ও মৃত্যুর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। অন্যদিকে ইসরাইল এই প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করে একে নির্লজ্জ মিথ্যা বলে দাবি করেছে।
No comments